সূর্যের নীচে
আমি
একটি গৃহ
সব শব্দ থেমে গেছে
আমরা
(১)
আপাত পারিপাট্য
ছোট ছোট মলিন খুপরিতে
অজস্র চিরফাট
(২)
মন্দির, সমুদ্র, পাহাড়
যেখানেই যাচ্ছি
মুঠোফোনে গ্রীবা তুলে নিজেকে চিবোচ্ছি
চতুর
নিপুণভাবে নিজেকে একটা খামের মধ্যে ঢোকানো
নিপুণভাবে নিজেকে একটা খাম থেকে বার করা
হিসেবি
নির্ভুল সময় দেওয়া ঘড়ির মতো আমি এখন
ভুল না থাকা, কাটাকুটি না থাকা
অঙ্ক পরীক্ষার খাতার মতো আমি এখন
আর কখনও অঙ্কের সংখ্যা
লতাপাতা জড়ানো সিঁড়ি হবে না?
ঘড়ি তার গতিপথ ভুলে
তোটক ছন্দে নেচে উঠবে না?
আত্মঘাতী
ড্রাগন আঁকা বিরাট ডাস্টবিন
সেখানে এক বিকটাকার দৈত্য
ছুঁড়ে ফেলছে দিন
আমাকেও নিক্ষেপ করবে বলে
ধাওয়া করেছে অদৃষ্ট
কালো রড ভেঙে
সমুদ্র পার হয়ে পালাচ্ছি
আপাতত চরাচর নির্মল
স্বপ্নে হেলান দিয়ে জিরোই কিছুক্ষণ!
আসক্ত
নির্মমভাবে কেড়ে নেওয়া হয়েছে
খাঁচার মধ্যে ক্রমাগত ডানা ঝাপ্টানো
ক্ষুধার্ত উন্মাদের মতো নিজেকে কামড়াই, আঁচড়াই
চারমাস পর
একটু শান্ত মুখ ,পরিপাটি চুল আঁচড়ানো
লেখা
অস্তে যাওয়া সূর্যের নীচে
কালো কালো দাগ
আকাশে লেখা আমার পরাজয়
সংশোধন
(১)
ডিপি বদলানোর মতো যদি নিজেকে বদলানো যেত
নিজেকে বদলাতে গেলে নিজের বিরুদ্ধে নিজের চিৎকার
নিজেকে বদলাতে গেলে শ্রম, জেদ, অধ্যবসায়
(২)
অজস্র কাটাকুটি পার হয়ে একটি সাদা পৃষ্ঠা
নিজেকে নতুন করে লেখা
যাত্রী আসবে আবার?
স্মৃতি হবে আবার?
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন