ধূসর পাতাদের ইতিহাস
দিনগুলো কে মুড়ে রাখলে
রাতে ফুটে ওঠা ফুলের সুবাস তীব্র হয়ে ওঠে
রংচটা দেওয়ালের গায়ে একটা মুখ ঘনীভূত
হয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে ,
ঠিক যেমন হলুদ পাতার ভেতর কিছু ধূলো
প্রতিনিয়ত ই ঘনীভূত হয়ে চলেছে
ব্রহ্মাণ্ড কে ছিঁড়ে ফেললে আজ আর এককণা ও ক্লোরোফিল ও অবশিষ্ট পাওয়া যাবে না,
সেখানে শুধু তোমার
ও
ঠা
না
মা
আবছা হচ্ছে এখনও
আর বাকিটুকু ধূসর ছাইভস্মের রামধনু তে ঢেকে গ্যাছে . . . ।।
পিছুটান
এইভাবে তোমার অবহেলা টুকু গুছিয়ে রাখছি চোখের কোণে
আজ পর্যন্ত একটুও জল উপচে পড়ে নি,
রাজনৈতিক সমীকরণের মতই তোমার কথাগুলোকে ও শুষে নিয়েছে এই নোনা হৃৎপিণ্ড
শুধু এই বোবা জানালার ফাঁক দিয়ে গলে যায়
অব্যক্ত দীর্ঘশ্বাস
পোশাকের ভেতর লুকিয়ে রাখা দূরত্বকে
খোলা আকাশে ছড়িয়ে দিই
কিন্তু কখনোই কবিতা কে সরাতে পারিনি
স্রোতের বিপরীতে ,
ঘর্মাক্ত শব্দরা যখন এগিয়ে আসে আমার দিকে
শুধু তখন আমি পিছনে সরতে সরতে ধাক্কা খেয়ে
আরো একটা ছন্নছাড়া কবিতা হয়ে উঠি ।।
( সায়ন্তনী হোড়)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন