সরোদ স্বপ্ন
আমার শরীর বেয়ে খোয়া গেছে স্বপ্ন।
জীবনের ফাঁক ফোকর ভেদ করে
বাতাসের আলিঙ্গন পাই।
স্পর্শ পাই পাতা ও পাথর।
পাতায় দোয়েলের ডিম।
উঁকি দেয় জীবন।
আমি হাঁটি। আমার শরীর বেয়ে যেন পোনা মাছের ঝাঁক নামে।
কতোবার টেনে তুলে আনি সেই সরোদ স্বপ্ন। কলাপাতা মাছরাঙা
বাঁশপাতা ঘুঙুর বালিকা ঘুঘু।

বর্ষায় বৃষ্টিতে কৈ মাছের স্বপ্ন চড়চড় করে হাঁটে। পুকুরপাড় উলুখাগড়া
ধানখেত বিল পাথারে দৌড়ায় স্বপ্নেরা। মাথায় ছাতা করে কোঁচ হাতে
দৌড়ায় গৌরাঙ্গদা। তার চকচকা চোখ। ডিঙি নৌকায় দোল তোলে স্বপ্ন।
আমি হাঁটি। চরাচরে ভ্রমণ করে চোখ। আকাশের চোখ মেলে ধরে
গভীর নীল দেহের ক্ষুধিত তারা। স্বপ্নের ভেতর স্বপ্নান্তরিত হই আমি।

আমি রাখালিয়া গৃদান গ্রামের একজন কৃষক

এই শীত বসন্তে আমার ধান চাষেই মন। গেল বছরের চেয়ে এই বৈশাখে
বেশি ধান চাই। এ সময় ঘুঘুর ডাক ও একজন পড়শির গার্হস্থ্যকালও
নজর কাড়বে না আমার।
.
এ বছর উপরওয়ালা ঠিকমতো রৌদ্র আর বৃষ্টি না দিলে, খেতের কোণায়
দাঁড়িয়ে চৈতের আকাশকে বকাঝকা করবো আমি।

কেননা সন্তানের পেটে ক্ষুধা, গায়ে আগুন পোড়া জ্বর। গণেশ হাওরে একখণ্ড
জমিতে কাজ করতে করতে আজ আমার মন উড়ছে, পুড়ছে সৌরজ্বলা পিঠ।
ধানশিশু হাতে আমি রাখালিয়া গৃদান গ্রামের একজন কৃষক।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন