সাদর আমন্ত্রণ, ভিতরে ঢুকে পড়ুন। দেখুন কিডনি ফুসফুস হৃদপিণ্ড বীর্য রক্তস্রোত নাড়ি-ভুঁড়ি যা কিছু আছে ঘেঁটে ঘ করে দিন। তারপর বন্ধু মন-প্রাণ খুলে বলুন— আমাকে সম্ভোগ করে কেমন লাগলো? টাকায় কি সব হয়, এমনও কিছু আছে— টাকা তাকে কিনে নিতে পারে না। ভালবাসি— বলবো ভাবতে ভাবতে কার সাথে কী জানি ওর বিয়ে হয়ে গেল— এইসব কথা বলবো বলে কত বন্ধু খুঁজেছি। কবরের দেশে বান্ধবীর জন্মদিন পালন করেছি। অভ্যাস করেছি— একা হওয়ার বৃদ্ধ ডানায় যতটুকু ওম ততটুকুতেই উড়তে চাওয়া সেই তরুণীমেঘ। কিন্ত উড়তে না-পারা যতটুকু বুকের ভিতর উসখুশ। আসলে মাথার ব্যামোর নানান মুদ্রা দোষ এবং সঙ্গে একটা রাক্ষস, সে কোনো মূল্যেই যৌনতা বিক্রি করবে না। হবু প্রেমিকার জন্য কোথাও বলতে না-পারা কথাগুলো আকাশের তারা হয়ে যায়। স্বপ্নগুলো ফুলের গায়ে মূর্ছা যায়। জানিনা কেন ছাতিম পাতার মত ভিজতে ইচ্ছে করছে। আজ সব কাজ ফেলে পালানোর ইচ্ছে— তোর সাথে নাম গোত্রহীন ভিনগ্রহে। পাশের বাড়ির জানালার উঁকিঝুঁকিগুলো শ্রীলেখা ম্যাডামের দরজা ভেদ করে শোবার ঘরে পোষ্য হয়ে উঠছিল। তুই কি এখনো বালিতে নাম লিখিস? খাঁচা থেকে আকাশ দেখতে খুব ভালো লাগে। বলতে পারতিস, আগেও তোর অনেক গোপন প্রেমিক ছিল। তাহলে প্রাক্তন হবার আগে আর শুধু-শুধুই স্বপ্ন দেখতাম না। গীতবিতানের পাতায় যাই হোক তোর চুম্বনের দাম দিয়েছিলাম দশ হাজার। আর শোওয়ার জন্য কত নিয়েছিলিস আজ আর মনে নেই। তারপর থেকে তোকে প্রেমিকা ভাবতে এতটুকুও কষ্ট হয়নি। আমিতো জানতাম— গোপন কথাটি রবে না গোপনে, তবু আশার বুকে আজও সবুজ ধান। রাক্ষসটা একদিন বলবেই আমিও কম ঢ্যামনা-না। প্রকাশ্য জনসভায় কণ্ঠনালী থেকে ফিনকি দিয়ে বুকে পুষে রাখা বলতে না-পারা ব্যক্তিগত কথাগুলোও — হাতে আঁকা আকাশে ফুড়ুৎ। আর হালকা হতে হতে বাতাস হয়ে যাওয়ার আগেই— মনগড়া ফুলের গন্ধ বলেছিল তোর দ্বারা কিস্যু হবে না। মাগীবাজির পাঠশালায় কনডম, প্রেগানিউজকে সহাস্যে জিজ্ঞাসা করেছিল কতটা মর্দাঙ্গী এখনো। আসলে সবই নেশা নেশা নগ্ন উড়ু-য় বসে যত্নে ঘষে ঘষে ধার করি পুরনো ছুরি জংধরা। কাকে যেন খুন করবো বলে— বসে থাকি চাঁদের আলোর দিকে। দেখি মোমবাতি-মিছিল থেকে পোঁদ নাচিয়ে ফিরে আসা নেশাগ্রস্ত প্রেমিকা। যত্ন করে ঘাসের ধূ ধূ মেঘ পেতে দিই। তখন মন নেহাতই এক জারুল কাঠের আলাভোলা নৌকা। আর সে ছদ্দবেশী রাক্ষসী নদী তুমি আর অতটা রাত করে বাড়ি ফিরো না। স্বপ্নে দেখছোই তো চারিদিকে কত আততায়ী ওৎ পেতে আছে। যা দিনকাল কেউ ঘুম চুরি করে নিলে তুমিও নিঃস্ব। হাত ছেড়ে দিলে আমিও কাঙাল। ছেড়ে দিলে সোনার গৌর আর তো পাবো না না না ছেড়ে দেবো না— তবুও তেলে-বেগুনের সম্পর্কগুলোয় যত্নশীল হয়ে আমি হৃদমাঝারে রাখবো তোমার প্যান্টির সাইজ। স্পন্দনের পালস্রেট তিলক চন্দন আর তুলসী মালা দেখে ভেবো না আমি খুব হরি ভক্ত।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন