পাহাড় ডিঙনোর সমীকরণ


 

এক

লাল হতে হতে ভারী হয়ে আসে পা তবু ক্ষয়ের কোলাহলে একবারও বেজে ওঠে না স্তব্ধতার গা।আরও কতগুলো যতিচিহ্ন জড়ো করলে রক্ততঞ্চনের স্বাভাবিক গতি শুরুর ঘণ্টায় এসে দাঁড়িয়ে পড়বে আর গলা মেলাবে, সেটা যতক্ষণ পর্যন্ত মীমাংসার ঘরে দু'দণ্ড না বসছে— বলি কীভাবে পাহাড় ডিঙনোর সমীকরণের কথা।



দুই

পাতা শুকিয়ে আসার আগে আবহাওয়া আর জলবায়ু পরিবর্তনের ঈঙ্গিত স্পষ্ট  ছিল।তবু্ উদাসীন থেকে গেলে আর মনে মনে মেপে নিলে ভাঁড়ারের সঞ্চয়ে আলো-জলের উদ্বাহু নৃত্য।অথচ উপকরণের বাতাস কমে শূন্যে নেমে এলে  রান্নাঘরের দরজাকপাট বন্ধ করে তোমারই পরিজন যে অন্যের ডিঙিতে গিয়ে চাপতে পারে এই ধারণাটুকু ছিলনা বলেই আবার তোমাকে ফিরতে হয়েছে শুরুর নামতায়।



তিন

মেঘের ঝলক আর বাতাসের স্বর দীর্ঘ হতে পারে।ধোঁয়াশায় ঢেকে যেতে পারে কাঙ্ক্ষিত ভূমিরূপে নিরাপদ অবতরণ।এমনকি তোমার মানচিত্রের বিতর্কিত অংশ থেকেধেয়ে আসতে পারে উদ্গীরিত লাভা।অথচ এসব মোকাবিলার মুন্সিয়ানায় সূচকের কাঁটা বিকল হলেই আলোর প্রথম বিন্দু ছুঁয়ে দেখবার জল কখনও বয়ে যাবে না তোমার নদীখাত ধরে।তাই দূরে ঠেলে দাও সেই উপকরণ যার শরীরজুড়ে খেলা করছে ক্ষয়ীভবনের গান।বরং আকাশ-তারার হাত ধরে শিখে নিতে পারো—  লক্ষ বছর পেরিয়ে গেলেও কেমন করে হাসতেহয়।



Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন