অবাধ্য কালবৈশাখী
কিউমুলোনিম্বাস মেঘ পৃথিবী ছুঁয়ে ফেলেছে
কালো ডানায় বাজপাখির আঁচড়
ঝুড়ো অনুভবের ধূসর সকাল
ভূমিতে ফাঁটল ধরিয়েছে কয়েক গজ
যেন কোনো নদীর গতি-মুখ পরিবর্তন
অবাধ্য কালবৈশাখী
বজ্রপাত এতটুকু ভীতি জমাতে পারেনি তার চোখেমুখে
আবহাওয়ার দোর্দণ্ড প্রতাপ সব কিছু ছাড়িয়ে চরম উচ্চতায়
অশনিসংকেতেও মন স্থির
জিরো ডিগ্রিতে জমাট বরফের মত
বজ্রমেঘও প্রচন্ড শীতল
অবশেষে জলীয় বাষ্পের সংস্পর্শে বৃষ্টি হয়ে মিশে গেছে মাটির ত্বকে
উৎসব হয় শহর জুড়ে
কার্পাস তুলো ফেটে বেরিয়ে আসছে তন্তুজ বস্তু
ছড়িয়ে পড়ছে বাতাসে বাতাসে
দমবন্ধ করা পরিবেশে আর থাকার ইচ্ছা নেই
আলাদিনের চিরাগের দীর্ঘদিনের বন্দীদশা আজ মুক্ত
প্রাণখোলা বাতাসে বিছিয়ে দিচ্ছে সকল সুখ
অনুরাগ জন্মেছে মনের আগাছায়
ইচ্ছাশক্তির ঘুড়িতে অভিযোগ আর অভিমানের সারি
মায়ার সফর কেটে গেলে
অবশিষ্ট রূপে থাকবে শুধু বীজগুলো আর তন্তু
জন্ম নেবে তন্তুকীট
কীটনাশক ছড়ানো লতানো পাতায় বিলিয়ে দিয়ে উপহারের সমাহার
ফুল ফোটে অজস্র উৎসব হয় শহর জুড়ে
তুমি কি শামিল হবে সেই উৎসবে তুফানের হিসাব কষতে কষতে
মহাবিশ্বের প্রাণকেন্দ্রে
এত মিথ্যা অবিশ্বাসের চিহ্ন নিয়ে আলপনা আঁকবো কীভাবে
এমন ঘন নীল জোয়ারের ভূমিতে দাঁড়াব কীভাবে
সুনামি কি মনে নাকি ঘরের মেঝেতে
চারাগুলি প্রচন্ড তাপে শুকিয়ে হয়েছে কাঠ
কোথায় পাবে মেঘেদের দেখা
কোথায় পাবে পালকের মতো হাল্কা চাদর
যা ঢেকে দেয় সমস্ত বিস্বাদ ওষুধের ঘোর
কল্পনায় তার হৃদয়ের মণিকোঠায় বসিয়েছি আমার আমিকে
একটা কবিতার আভা ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্র
ছোট্ট ঘরে বন্দী করি দূর্লভ সেই চিত্র
চিরকালীন অভয় নগরে
সমস্ত ভীতি রীতি নীতিমালা
আরোপ বারণ বৈষম্য মরিচীকাকে পিছনে ফেলে
ছুটে এসেছি সবুজে ঘেরা মাঠে
ভীড়হীন মহাবিশ্বের প্রাণকেন্দ্রে
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন