জন্মের পর যবে থেকে সাঁতার শিখেছি সেইপথ পেরোতে পেরোতে আরও কতশত নিজেরই জন্ম পেরিয়ে যাওয়া ছুঁয়ে বটছায়ায় কখন যেন প্রকাশিত হয় উদাসীন আলো। এ মেয়েলি আলোর প্রকরণ! এ কোনো উৎশৃঙ্খল তো নয়। শৃঙ্খলের পরত পড়ে হারিয়ে যাওয়া নিছক সে এক আলনা। নিজেকে সাজিয়ে রাখার দায়ভার ছিল তার অসমাপনের বিস্ময়! এ বিস্ময় যে ভেঙেছে, সে জেনেছে গার্গী জন্ম, মৈত্রেয়ীর আত্মজ্ঞান। এগিয়েছে শূন্যহাতে। এগিয়ে যাচ্ছে বর্তমানের দূর টিলায়। ওখানে ঋতুমতী সে প্রতুল করেছে জল, মায়ার স্তর। সিঞ্চন করেছে কৃত্রিমকে ঠেলে, পায়েসান্ন পরিবেশন করেছে মহাপুরুষের পদতলে। আবার প্রেমে অপ্রেমে জীবনের ভেসে যাওয়া গান গেয়ে ভুলেছে অভিমানের যন্ত্রণা। নাড়ী ছিঁড়ে নাড়ীর ভেতর পুরে রাখে তারা তখনও সর্বশেষ আলোর বিচ্ছুরণ। 

অবিরত এই যাপনে বিষ্ণুপ্রিয়ার বিরহ যন্ত্রণা আছে, আছে উৎসর্গ ও উৎসব কিন্তু তিলে তিলে ক্ষীণলব্ধ তার শ্বাস। উদযাপনের ভিড়ে তবু দিনে দিনে বাঁধা হয় স্বর--- সে আদিম নয়, দ্রোহের তাগিদে মিলে যাওয়া সকল ঠোঁট। 

কতদিন আর তোমরা বাঁধবে মন্ত্রজলে চুবিয়ে? 

জয়লক্ষ্মী পায়ে হেঁটে এসে নিশান দিচ্ছেন দেখো সমানতর চিহ্নে চিহ্নে। নবীন-প্রবীন সম্মেলিত এই শব্দবাণ। দেখো, আঘাতের পর আঘাত ছুটছে অথচ রক্তহীন মায়ার রাজনীতিতে তারা কেমন ভালোবাসে আচ্ছন্ন হতে স্বেচ্ছায়। কোমল ও পরমের তুমি আমি পরস্পরে সমর্পিত হলে বেঁধে যেত অভিযান---- জীবনের অভিযান।

অভিযোজন কিন্তু বড় আদিম শব্দ। অথচ এই আদিমতার দিকে মন ছুঁড়ে পাত্র ও জলের সম্পর্কে এতকাল শিলমোহর দিয়ে সাবিত্রীমন্ত্র জপধারণ করা মায়েরাও আজ ভাবছেন রেশনের আশ্রয় সাশ্রয় ছেড়ে নির্ভেজাল এক উড়ান পুরে দেবে। এভাবে অধীনের উন্নয়নে যদি তালা লাগানো যায় সমুদ্র হবে চরম আত্মীয়--- মনে হবে সুদূর ছোট। তাদের নিজস্ব স্বর যেমন আছে, ভাষা আছে, আছে কারণে অকারণে জাদুকরী দোকান। রূপম নাগরিক, একবার ভেবে দেখবেন বর্তমান যাপনে আপনার অভ্যস্ত আঙুলটি ঠিক কেমন আচরণে এগিয়ে থাকবে ভবিষ্যত কুঞ্জবনে...

অভিমানের বিপরীতে ঢাল আর অভিযানের ত্রিভূবনে সন্ত্রাস নিয়ে এবারের সং্খ্যাটি ২৩জন নারীর শব্দে গর্জে উঠেছে। আপনাদের পাঠের অপেক্ষায়।



রুমা ঢ্যাং অধিকারী

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন