লুসিফার

সেন্ট লুসিফার not equal to রাঙা জবার বক্সাইট মার্কা ফিজিওলজিক্যাল স্তনভোজী চামড়া দৃঢ় , পিথাগোরাস বৃষ্টির ৩০ ডিগ্রির কোণে ফাঁসি দেওয়া গোলকীয় চুম্বক দুলছে । নষ্ট নষ্ট আপেক্ষিক হাড়ের ঘনত্ব । কোন কঙ্কাল সমর্পণের প্রেসক্রিপশন লিখতে পারছে না । হো হো হি হি থম থম মন্দিরে যাচ্ছি মন্দিরে পুড়ছি মন্দিরের গর্তে আরো গর্ত করছি। শয়তান আমার পূর্বপুরুষ , শয়তান আমার সহোদর । শয়তানের চামড়া পরে আমি নীল নীল ২ য় জনুর কাশ্যপ গোত্রের পুরোহিতদের ধরে ধরে আগুনের রম্বস খাচ্ছি । হে তৃণভোজী আদিত্য শাঁখের উপবৃত্তে নগ্ন হও , চমৎকার শব্দ করো ইলিয়াড ব্লার্বে ।
ঈশ্বর মামেকং স্মরণম ব্রজ । চৌহদ্দির ইসট্রোফেনাক ব্যথার ওষুধ , রতিক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার পর্বত ভেঙে ফেলে কে ? গরম জলে স্নান করছে শ্মশানের দৈত্যের কিন্নর নদী ।  এখানে মৃতদেহ বিক্রি করি কালো কৌটায় ভরে ‌ । ১/২ কেজি ঈশ্বরী নেমে আসে ভূত ও প্রেত দ্বন্দ্বের অবক্ষয় মৃন্ময় মূর্তির ছাল ছাড়ানো মৃতদেহের সাথে । ধীর স্থির নক্ষত্রেষু পুর ।  আগন্তুকের মুদ্রাদোষ আমি ( ক্রি ) নামক আলোকে নক্ষত্র জলে ডুবিয়ে খাচ্ছি মৃত মরার পাউরুটি রস । শ্মশানের চুল্লিতে( টং) ছাই উড়ছে আমাদের । কে কাকে হিমবাহের গঙ্গোত্রী মুখ থেকে সর্পিলাকার দাঁতে করে ঝলসানো সেফটিফিনে আটকানো একটি তরমুজের মাংস (√বদ )আর কচ্ছপের ডিম ভর্তি স্বাদগ্রহণের অব্যহতি পরে চোঁয়া চোঁয়া (√র )  ঢেকুরের বিষাক্তের মতো সংক্রমিত আণুবীক্ষণিক স্ত্রীলিঙ্গের ছিদ্র দিয়ে বেশ্যালয়ে যায়। প্রমিলা এন্টারপ্রাইজে জড় ঘোড়া বিক্রি হয়।







আসরাইল

দানবেরাই আসল সন্ধি বিচ্ছেদের জটিল গণিত তৈরি করে । জাহান্নামের কলসিকা বিহীন অক্টোপাসের থেকেও আরো মারাত্মক মাথাটার ভেতরে ভয়ঙ্কর ভগ্নাংশ রূপক খেলা করছে । আমি মাছেদের পালক খেতে খেতে নিজের মাংস চিবোতে থাকি সরু নখ দিয়ে । ঈশ্বরকে কতবার আমার কবরের পাশে আমার পচে যাওয়ার শব্দ শুনিয়েছি
দানবেরা দাঁত বের করে আমাকে দেখে । পিতামহের হত্যা দৃশ্য পুনরায় শেখাবে বলে প্রেত সাধনা করে নেমে আসছি । বোতলে রাখি জিনের হাওয়া আর এ মায়াজগতের এক একটা আত্মা । মধ্যরাতে ওঠে সরলবর্গীয় ডিম । মাংসাশীদের স্তন । আর উচ্চমার্গের কথা বিষয়ক ফল ভাণ্ডার । আমার রন্ধনশালায় একটা তীব্র তেজস্ক্রিয় দুর্ঘটনা ঘটে গেল দৈবাৎ । আমি সেই গোলার্ধ শুন্য নারীটির কথা ভাবি ডার্ক ক্রিমিনাল ডার্ক ড্রপলেট অ্যাবস্ট্রাক্ট সোল প্রমিথিউসের ছবি । সরু সরু দাঁত আর উচ্চ আসনকারী রাক্ষসের মতো প্রতিটা শরীর থেকে এক একটা ডিম্ব কোষের উদগীরণ হচ্ছে । ক্রমাগত আমি অর্ধমৃত প্রায় উন্মাদ আজরাইল মানুষগুলোকে ধরে ধরে নিয়ে যাই অপরিত্যক্ত হাসপাতালের চতুর্থ কেবিনের ডায়ালিসিস রুমে । ছুরিটা চকচকে নয় মরচে রঙের । বাদামি পাহাড় লেগে আছে রক্তের দীর্ঘ অন্ডকোষটার গায়ে।  গর্তের ভেতরে থাকা দুটো পাথরের বীজ বের করে দিয়ে সেখানে আখরোট চারা লাগিয়ে দিলাম








ক্যাথেলিনা

ভয়ংকর নক্ষত্র পতনের শব্দ হতেই সারথি অবিনশ্বর রথটিকে যৌথ মন্দিরের সামনে আনলেন । নাট মন্দির । ভয়ংকর গর্ত এখানে । প্রকৃতি ও পুরুষ লাল অবিনশ্বর মুদ্রার ইঙ্গিতে জড়িয়ে আছে সাপের কৌটোর দাঁতে । ব্লেডের তীব্র শান দেওয়া মুখ । ঝড়টি রতি কামড়ে খেলো সারারাত । এ বৃষ্টিতে কোথায় মানুষের অধিক ক্ষয় পূরণের রোগ বেড়ে যাচ্ছে । জলজ স্বপ্নের মধ্যে আমি তুমি ও শিথিল পৃথিবীর জমি ও যোনি। ধ্বংসাত্মক বৃষ্টির মতো ঘুমিয়ে পড়ছে স্রোত ও দুগ্ধগতি তরঙ্গ । হরিণীদের মহাপীঠ আছে । লাল নক্ষত্র আছে ও সর্পের আদিম বাসস্থান আছে । ক্যথেলিনা ক্রশের ঋ-কার আগুনে জল দিচ্ছে
রাতে তীব্র গর্ত বেড়ে ওঠে । স্নায়ু , ঘুম ঘুম রোদের মতো অসুস্থ ‌। এ জন্মের পর আর কত মিশ্র জন্ম ঘুরবে । আমাদের আঁশ বিক্রি হয় নৈসর্গিক হাটে । পুত্রদেরও পুত্র জন্ম হচ্ছে আজকাল । আজ রাতেই স্নান ঘরে যাই , কালো বমি জমিয়ে জমিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ি আরো মহা ক্ষয় রোগের মহৌষধ খেয়ে । কাকে জন্মের নৈশ কথা শোনানো যেতে পারে হে উলঙ্গ দেবী ?








তস্কর

বমি তিন প্রকার । ধ্বংস তিন প্রকার । নেত্র তিন প্রকার । সঙ্গম ৩ প্রকার । ৯০০ পর্বের কুরুক্ষেত্রের সাগ্নিক অভিযানের পদ্ধতি তিন প্রকার । নৈশ নদে অধ্যায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। কুর্মের ছায়া প্রাচীন।
অথচ মহা ঘুমের দুর্গন্ধ রাতগুলোই আমি । একাকী আলোর কৌটে ভরে রাখি, আয়নায় মহা মৃত্যুর মুখ নাচে । কে কাকে জৈবনিক গণিত শেখাচ্ছে মাঝরাতে ? অন্তিম প্রহরে বুকের অদ্ভুত স্পন্দন পরস্পর বিরোধী মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে আজকাল ।
সাপেরাও মাংসের তরল বের করে বিছিয়ে দিচ্ছে শুকনো মাঠের উপর । রথের আর কোন সারথী নেই । একাকী  তীর্যক নাভি ফুটো করে বেরিয়ে আসে জন্মান্ধ সূত্রধর । বাবাই আসল স্ত্রীলিঙ্গের সাপ
এই স্বপ্নদোষ সবারই আছে । পোশাকের এক একটা তীর্য ইঙ্গিত আছে,  পিতা কোথায় কোথায় গর্ভের থলি ঝুলিয়ে রাখে ?  মাংস বিক্রির একটি নিজস্ব পদ্ধতি আছে । হড়হড় দোকানের সামনে ইন্দ্র একবার মাথার খুলি খুলে রেখে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল । তৃতীয়বার জন্মের আবেদন পত্র রাখা আছে । উল্টানো ভদ্রা নক্ষত্র মন্ডলীর কাছে এখন শুধু নষ্ট নদীর আরেকটা সঙ্গমের প্রতিলিপি ।  রেখে যাও অন্তর্গত যোগাযোগ , কৃপণ বৃষ্টির মতো আমাদের ক্ষয় হতে থাকে খনিজ সমগ্র । ধাতুর সরু ছিদ্রের ভেতর দিয়ে পৃথিবী নেমে আসে অন্ডকোষ সমেত , ছিঁড়ে যাচ্ছে তস্করের প্রদাহ








কর্কট

বিদেশি জাহাজের নগরে শীতকালের শব্দ ।  জটিল হতে পারে গলার কফের ঘড়ঘড় আওয়াজ।  এখানে বেশ্যারা সারাদিন নষ্ট চাকু কুড়িয়ে কুড়িয়ে জরায়ু কর্কট রোগের শিকারগ্রস্ত হয় । ব্লেডের উভয় মুখে একটি করে তাপমান যন্ত্র থাকে । কাঠের চেয়ার কিনে ছিদ্র করি মলমূত্র ত্যাগ করি ফিনকি দিয়ে। গাছে গাছে রডোডেনড্রন ঈশ্বর ঝুলে থাকে আড় পাতলা ঝোলের মতো । আমার কোন নির্দিষ্ট আসবাবপত্র নেই । পোশাক দিয়ে ঢাকি জননাঙ্গের অদ্ভুত চিত্রকল্প , ঘোর থেকে ঘোর মহাগ্রন্থ ঘোর , সুড়ঙ্গ
বৈশ্য ত্রিদিব ঘরের প্রতিটি দেওয়ালে ভাস্কো দা গামা এঁকে দিচ্ছে ঘুমের নষ্ট ভ্রুনের পিশাচ দাগের আঙ্গুল।  এ পাঠ্যপুস্তকের ভেতরে শুধু নষ্ট হয়ে যাওয়ার মতো আর কোনো ব্যঞ্জনবর্ণের নিষিদ্ধ সমাপিকা নেই। গ্রাফাইট দিয়ে আঁকি নষ্ট ভুতের শহর । মাংসের কারবারীরা মাঝ রাতের দিকে ফিরে চলে যায় নৌকা কম্পাসের সাইটোপ্লাজম মুখে নিয়ে ।  অদ্ভুত সারথী উলঙ্গ হতে হতে শাঁখ বাজিয়ে কাকে নিষ্ঠুর কথা শোনায় ? এ পথে জল জমে পুঁজ।
গৃহস্থে জল আছে । জৈব আছে । আঙ্গুল আছে । যথারীতি রাগ আছে । তৃষ্ণা আছে । ক্ষুধা আছে শুধু পিতৃপুরুষ নেই প্র-বিষয়ক শিল্পীটি আমাকে মাঝ রাতে উঠে কফি কাপে করে নির্জন জঙ্গলের ভদকায় নিয়ে যায় কেঁচোর বেশ্যাবৃত্তি জল খাওয়াবে বলে । আগ্নেয়াস্ত্রটি স্বয়ংক্রিয় । বুকের চারপাশে জড়িয়ে আছে অজগর রক্তের দলা ।
 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন