কবিতা চোর




দয়াময় ভটচাজ ম্যাজিক জানতেন ঝোলার ভেতর থেকে মেঘ উড়িয়ে দিতে দিতে নিজেই একটা গাছ হয়ে যেতেন অজস্র পাখি এসে বসত ডালে ফুলের গন্ধে স্বর্গ হয়ে যেতো চারপাশ আর আমি অজ পাড়াগাঁর মুদি দোকানী থেকে মার্সিডিজ ভোরবেলা গাছটা কাক হয়ে উড়ে যেত আমিনাচাচির কার্নিশ ছুঁয়ে খুকুমণির ড্রইং খাতায় বাড়ি ফিরে দেখি মা ভস্মে ঘি ঢালছেন একদিন বললাম হে দয়াময় আমাকে ম্যাজিক শেখান আমিও বৃষ্টি নামাবো খুব স্মিত হেসে তিনি মাথায় অসম্ভব ঠান্ডা হাত রাখলেন আর আমি মৌমাছি হয়ে বসলাম বেগুন ফুলে দেখলাম একটা গিরগিটি রং পাল্টে বেমালুম ঢিবি হয়ে গেল ভিতর থেকে শব্দ এলো রাম রাম কয়েকটা উইপোকা কাছে এসে বলল আমাদের পেটে অনেক রহস্যময় গল্প আছে এগুলো পাঠ করলে এমনি এমনি ম্যাজিক শিখে যাবে ওদের হত্যা করে কবির ছদ্মবেশে মিশে গেলাম ভালো মানুষের ভিড়ে তারপর থেকে পাহাড় নদী অরণ্য চাঁদের আলো ফুল বেল পাতা মন্দির মাজার অন্ধকার সবাই কবিতা চোর বলে ডাকে সিঁদ কাটি ভজুবাবু রবিবাবু বানী পিসির খাতায় নাম লিখে উড়িয়ে দি লিটিল ম্যাগের আকাশে








চরণদাস বহুরূপী কেষ্টঠাকুরটি সেজে দ্বারে দ্বারে খুঁজেছে তার নন্দিনীদিদিকে কিন্তু কেউ এসে বলেনি এই ঠাঠা রোদে অনেক হয়েছে এই নাও বাতাসা একটু ঠান্ডা জল খাও তারপর বাঁশিতে ধরো শ্যামল মিত্র ততক্ষণ তোমার জন্য খানিক লাল চা করে আনি স্টেশন চত্বরে এক পাতাখোড়ের বিবৃতি থেকে জানা যায় বাঁশি বাজাতে বাজাতে সেদিন চরণদাস কদম গাছ হয়ে গেছিল পাখি বিশারদ সেলিম আলী সেটাকে গন্ধর্ব  মতে যমুনার ঘাটে পুঁতে এসে লিখেছিলেন আমারো পরানো যাহা চায় গিয়াসকাকা চেঁচিয়ে উঠলেন আরে রবি ঠাকুরকেও তোরা ঝেঁপে দিবি এই পর্যন্ত লেখার পর মিস্টার বাসুর মৃত দেহ পাওয়া যায় কামিনী নামের এক পরিচারিকার স্বপ্নে    লেখার টেবিল ছেড়ে উঠে কবিবর নীলমাধব দাস আকাশের দিকে তাকিয়ে সেই তারাটিকে খুঁজছিলেন যার নাম মেহেরুন্নিসা দূরদৃষ্টি সম্পন্ন অবাক দূরবীনটি চুরি হওয়ার পর থেকেই কবিটি অন্ধ সেই  সুযোগে দেয়ালে ঝুলে থাকা টিকটিকি তিনবার ডেকে উঠলো আর


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন