কাকতালীয়

দুরন্ত রাস্তার ধারে একটা সবুজ গালিচার পাশে খড়ের চালে ঘুঘনির দোকান।বাঁশের কাবারি পরপর সাজিয়ে বানানো দুটো বেঞ্চ।এখানে খরিদদারদের বসার জায়গা।ডানহাতে রসিয়ে পানটা মুখে ভরেই লোকটি বলে, ক প্লেট।আমি আর আমার কলিগ হাসিমুখে বলি, দুই প্লেট।লোকটা বিগত হেমন্তের কথা বলে।সে বলে,জানেন বাস দুর্ঘটনায় আমার বামহাত ভেঙে গেছে।পা মুড়ে বসতে হয় কারণ হাঁটুর অবস্থাও খারাপ।আমার কলিগ বলেন,বাসগুলোর অবস্থা ঠিকমত পরীক্ষা না করেই ওরা ফিটনেস সার্টিফিকেট পেয়ে যায় গোপন কায়দায়।তারপর বিপদ হয় সাধারণ মানুষের।  ঘুঘনি চেটেপুটে খেয়ে আমরা সিগারেট ধরাই।ততক্ষণে রাস্তার দুধারে ঢেউখেলানো কুয়াশা-মাখানো প্রকৃতির শোভা নাচে মনজুড়ে।অনেকক্ষণ বসার পরে লোকটি বলে,মোটরসাইকেল চালাবেন সাবধানে। কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না।
আমি বলি,ঠিক বলেছেন। কুয়াশায় গাড়ি আস্তে চালানোই ভালো।
আমার কলিগ গাড়ি স্টার্ট দিতেই সজোরে একটা বাস চলে আসে সামনে।তারপর কী হয়েছিলো আমাদের মনে নেই।
আজ আমরা দুজনে একটা রেডিমেড পোশাকের ব্যাবসা খুলেছি। অখন্ড অবসর জুড়ে আমাদের অপেক্ষার পালা শুরু হয়েছে ঠিক ঘুঘনির দোকানের লোকটার মত।



সুদীপ ঘোষাল 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন