কিং সাইজের ঊ 



-২ 
অন্তর্লীন ব্যাকস্টেজ থেকে কুয়াশা রঙের এক পাক্ষিক চাদর গড়িয়ে যায় ডায়রির ভেতর কামরায় সাজানো ইতর পোকাদের ভিড়ে যে সন্ত্রাস নামাবলী জড়িয়ে ঘুরছে ফিরছে সোঁদা গর্ভের কোয়ান্টাম মেকানিক্স অলৌকিক চায়ের অতিথি নদীর মতো জল ভাঙে




-১
ভাঙে বুক ও কপট শব্দদের উলুধ্বনি এক্ষুনি এল সাইজের খিদে পেয়েছে মিডিয়াম সাইজের পিজ্জা ডেলিভারি বয়ের পকেট ভর্তি গরম ছায়া দুপুরকে পাই বর্ণের অসংলগ্ন পর্দা, সাঁকো, নখ ও সর্বভূক হাসির পশ্চিমে ব্ল্যাকহোলের সহবাস 




মহাপ্রকৃতির দুটি ঠোঁট ডিভোর্সের সংক্ষিপ্ত ভাঁজ ছড়িয়ে বর্গমূলের ভেতর খরগোশ পুষে একই বিছানায় শুয়ে থাকে জ্বলে জ্বলে ফসফরাসের চোখ স্বপ্নের নিস্তেজ ভিখারি হয়ে ছায়াপথ, অক্ষরেখা বদল করে কেউ কেউ গল্পগুচ্ছ ভাবে স্ট্রিট ল্যাম্পের জানলায় ডোরা কাটা বাঘ আঁকা অন্ধকারকে




চোখের দ্রাঘিমাংশ ভুলে আলো খুঁজছে যে সকাল তার পিঠে কোনও 'ক' নেই, বসন্তের কাছাকাছি চোয়াল শক্ত হয়, এগিয়ে যাওয়া বয়েসের দিকে চেয়ে থাকা সূর্যের তরতাজা হাসি অল্প বিস্তর সুদ বাড়িয়ে দেয় মধ্যরাতের দ্বাদশী জোৎস্নায়, উদাসীন বেওয়ারিশ কংক্রিটে লুকানো আঙুল ভেঙে সৃষ্টি করে বিপর্যাস, ভাষার তারতম্যে বৃষ্টি নামে কখনও সন্ধ্যা বা ঘাড় নীচু ঝড়ের গতিপথ বৃত্ত থেকে জল ঘোলা দুপুরে উলম্ব রোদ ঈশ্বরকে ডেকে নেয়




অন্তর্বাসের পাতলা আস্তরণ চেপে বেরিয়ে আসে একটা হাত, করকুর্চাস্থি পর্যন্ত আনইনষ্টল করা হয়েছে নিষিদ্ধ বাতাসের অঙ্কুরোদগম, চিনি মেশানো সমস্ত কাহিনি পুংলিঙ্গ হতে হতে উষ্ণ নিশ্বাসে বেঁচে থাকে যেটুকু স্ত্রী-স্পর্শ তার রাস্তাগুলো দিকশূন্য স্বপ্নহীন হয়ে বেঁচে থাকে অর্ধসমাপ্ত যান্ত্রিক দুষ্ট শোকে অথবা ঠোঁট বেয়ে চূর্ন বিচূর্ণ এক্স ফ্যাক্টর কোয়ান্টামের সুতো কেটে ভ্যানিশ, প্রতারিত মৃত্যুকালের মতো ধেয়ে আসে মিশাইলয়ের ধর্মসংকট 






উৎপল দাস

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন