উৎপল দাস
১)
ক্যালকুলাস
কার্ভ ট্রেসিং শেষে পেন্ডুলামের মধ্যে ঝাঁপ, তোমার
নাভিপদ্মে আকাশ ভাঙা বৃষ্টি বেয়ে ওপরে ওঠা, তলা ভুলতে
গাছ কাটা অথচ সে শেকড়ের এমনই জোর কিছুতেই নাভি
ছিঁড়ে না। তুমি মনস্তত্ত্ব বোঝো ভালো,
আমায় গিনিপিগ বা ইঁদুর ভেবে ট্রায়াল ও এরর চেক করে শুধরে নাও শিশু স্বভাব,
ভাঙা সাইকেল মেরামত করার আগে পুরোনো বইখাতার দরদাম
হয় সেনসেক্স- এ, বেমালুম ভুলে যাও পাংচার ফুটবলের
ডেটাবেস এবং হাত বাড়াও আমার শরীরে, নেশা উতরে গেলে
জামা-প্যান্ট ঝেড়ে ভেক্টর গুণফলে পা ধুয়ে এসো, একসময়
লাভ-লসের বাইরে বেরিয়ে পরাবৃত্ত আঁকো আর মনে পড়ে যায়
ক্যালকুলাসের সূত্রাবলী ভিড় জমিয়েছে কুণ্ডলিনী শক্তির জাগরণে
২)
অন্যমনস্ক
তোমার চিন্তার ভেতর ঘুমিয়ে পড়ি
নির্জনতা ও দু'ফোঁটা আলো ফেলে দ্যাখো
ব্যতিব্যস্ত করছি, চঞ্চলতা গ্রাস করছে সর্বস্ব
ঘুম থেকে ঘুমে পাড়ি দিচ্ছ আমার উপলব্ধিতে
ক্রোধ-অশান্তি শেষে সর্বশান্ত হয়ে যাচ্ছে
বন্ধন-সৌজন্যতা,
পরোয়ানাহীন জীবনে
আমিত্বে ভুগছি উভয়েই অথচ চোখ বন্ধ করলেই
স্বপ্ন হয়ে যেত অপ্রত্যাশিত দুঃস্বপ্ন গুলো…
৩)
ষড়যন্ত্র
ভয় পাই
কাছে আসতে
দূরে গেলেই নিরাপত্তাহীনতা
অবাধ মেলামেশায় পরিকল্পনা নেই,
নেই কোন পূর্বাভাষ বিয়োজন কিংবা সংভোগে
তবু অপেক্ষা কার্যসিদ্ধি করে দৈনন্দিন থেকে মানসিকতায়
ভাঙতে ভাঙতে ব্যূহ রচনা হয় একদিকে
অন্যদিকে কঙ্কাল মুক্ত বাক্যালাপে ওজন বাড়ে
সময়ের গোলকধাঁধায় প্রতিবেশী- শব্দের
প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে যায় নিমিষে!
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন