অলক্তিকা চক্রবর্তী 








সস্ত্যয়ন


হাড়গুলো ভাজা ভাজা হতে দেখলাম
প্রায়  ভস্ম ওড়ে....

তার জিরজিরে কঙ্কালটাকে ঝেড়ে মুছে তুলে রাখি

অনেক আকাঙ্ক্ষার শিলালিপি মিশে আছে কী না... 








মা-গাছ

আদর দাওনি বলে যন্ত্রণার গায়ে লিখে রাখি পরাহত সংলাপ

শেকড়ের জলভার কোথায় নামাবো ভাবতে ভাবতেই 
নামতায় লিখে ফেলি দীনতার ইতিহাস

ছন্দপতনের গোড়াতেই দেখি মা-গাছ হয়ে দাঁড়িয়ে 
চিরন্তনী আলো অনিমেষ

সম্ভবপর সমগ্রতায় তার ঈশ্বর-চেতনার দরজাটি খুলে







আশা

অসম্ভব কোনো এক কষ্ট যখন তোমাকে স্পর্শ করতে যাই
কিরকম যেন পায়ের নীচে  বালি... মাথার ভেতরটা খালি খালি

সরে যাওয়া যাবতীয় টুকু জড়ো করে আবার ... আবার... আবার
ঝাঁপ দিতে যাবো
ঠিক এই সময়
তুমি সোল্লাসে চিৎকার করে উড়িয়ে পুড়িয়ে খাক...

বড়োই আবেগের বন্ধন কিন্ত কী করে যে ছোঁবো,
এদিকে '... ছাড়াতে গেলে ব্যথা বাজে'
এই জটপাকানোটুকুই উল্টে পাল্টে দেখি 
নাড়ি ছাড়ি বুভুক্ষু ধুলো বালি মেখে

তপস্যায় তো অনেক সময় উঠেও আসে দৈবী প্রশ্রয়...








আবহ

 এ বড়ো ধ্যানের আবহ... 

 নক্ষত্রের হাত ধরে বহুদিন বৃষ্টি নেই
  তবু কী এক আশায় জলীয় সঞ্চয় ঘটে গহন 

 বিবর্তনের পথে এক ধারাবাহিক অবাক জলপান-পর্ব
 চলতেই থাকে কায়মনোবাক্যে  ... 

তোমার কাছে এলে

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন