কল্পোত্তমের কবিতা


১.
রাজনীতি 

নদীতে নামতেই
আমাকে খুবলে খেতে চায় মাছ। চুনোপুঁটিরা।

রুই, কাতলা, বোয়ালেরা  
কাছেও ঘেঁষে না। 

সুরক্ষিত দূরত্ব রেখে তারা
আড়াল রাখে নিজেদের। আমার দৃষ্টি থেকে 
আড়াল রাখে তাদের গতিবিধি
তাদের কাম-কাজ।

চুনোপুঁটিরাই এগিয়ে আসে,
তাদের আসা যাওয়ার পথে
কোথায় কী? কোথায় কে? কোথায় কতটা
স্বচ্ছ অথবা ঘোলা জল
সুনিশ্চিত করে তারাই।

চুনোপুঁটিদেরই খেয়ে খেয়ে বলশালী তারা,
চুনোপুঁটিদেরই খেয়ে খেয়ে তাদের এগিয়ে যাওয়া।
অথচ অদ্ভুতভাবে  
একজন চুনোপুঁটি হারিয়ে যাওয়ার পর  
তার খোঁজ না করে
অন্যজন এগিয়ে এসে সুনিশ্চিত করে
রুই, কাতলা, বোয়ালের এগিয়ে যাওয়ার পথ।





২.
যৌবন 

এক ক্ষেতের জল   
গড়িয়ে পড়ে আরেক ক্ষেতে,
এক ক্ষেত শুকিয়ে
টয়টম্বুর হয়ে ওঠে আরেক ক্ষেত।

জল আটকিয়ে ফাটল রোধ করতে হলে  
ফলাতে হলে ফসল  
মজবুত করো আল। বন্ধ করো ছিদ্র
এপাশের ওপাশের।

জল ধরে রাখতে পারলে নিজের ক্ষেতে
নিজের ক্ষেত সবুজ
নিজেরই ক্ষেত শস্যপূর্ণ।

জল ধরে রাখতে পারলে নিজের ক্ষেতে
নিজের ক্ষেতই চির উর্বর।






৩.
বিস্তৃতি

সে ও তারা বাঁধছে তোমাকে 
কঠিন বাঁধনে বাঁধছে
মান-অভিমান, কান্না দিয়ে 
কখনো বাঁধছে লাস্যে।

তিলে তিলে তুমি, সারাজীবনে
গড়েছিলে ঘর কলমে কাগজে 
দিয়েছিলে রঙ মনের মতন
হাজার মাধুরী মিশিয়ে
স্বপ্ন তোমার ছিল প্রতি ধুলি মাঝে।

সব মুছে যাবে?
সব কী লুকোবে
নতুন খেলায়?

জাগবে তোমার পুরনো খেলা
বর্তমানের সাঁঝে?

সবই ধোঁয়াশা, রহস্যময়
সবই সংশয় মাঝে
বড় হয়ে উঠছে তোমার পরিধি 
বড় হয়ে উঠছে তোমার জীবন!

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন