আজব পাগলপনার আজগুবি 

ধুর্ ধুর্ আমাকে কে ভালোবাসা খেতে দেবে। আমিতো একটা পাগল। পাগলের খিদে ঘুম বাঁশি কিচ্ছুটি থাকতে নেই আপন নেই পরও নেই। তবে খিলখিল হাসি, ভেউ ভেউ কান্না পরণের কাপড় ছিঁড়ে কুটিপাটি চলতে পারে। হ্যাঁ তবে একদিন কিন্তু ছিল। কি ছিল কবেছিল... উঁহুঁ পাগলের মন বলে কথা, সেখানে কিছু রাখা থাকে না। কিন্তু ঐ যে হাজার হাজার রং প্রজাপতিরং রূপো রূপা রূপালি মাছ গাছ সবুজ অবুঝ নীল আকাশ সারারাত জেগে থাকে বাদ্যি বাজে হীরাকুচি তারারা ছোটে। আর এসবই ঘটে। ঘটে কোথায়। ঘটে। নাচে। বেকার পাগলামি মাথায়। তবে পাগলাটার পণ। একটা ময়ূরপঙ্খী চাই। আদ্ধেক আকাশ-সমান বড়। সেখানে নিয়ে নেবে টগবগ পায়ে হাঁটা সুর হইহই লাল রক্তগন্ধ ভুরভুর। কী ভিড় কী ভিড়। কিন্তু ময়ূরপঙ্খীর রং। হ্যাঁ কী রং হবে। কোন রং পরাণ ঝিলিক ঝিলিক। পরাণের তো কোনো দেশ নেই পুলিশ নেই সেনা নেই বারুদ নেই। পরান তো ভালবাসা আকুল পাগলপারা। এ কী কাণ্ড। তাহলে সে কি পরাণ।  হাওয়া দোদুল দোলা।  তাহলে সে আকাশ ছুঁতে পারে না কেন। কেবলই পিছলে যায় এক গরাদ-অন্ধকারে। ওদিকে ঝুনঝুন ঝরনা বয়ে যায় আলো ছড়ানো কোন সে ঠিকানাহীন পারে। আর এ দিকে পাগলার পাগলাপনা কেড়ে আনতে ('ছিনাতাই' শব্দটা বসানো যায় কি) লাখো সিপাই আলতো অন্ধকারকে ছেঁচে ঘুপচি অন্ধকার বানিয়ে ফেলে। বাহবা কি বাহবা। মারহাব্বা হতচ্ছাড়া বাঁদর পাগলপনা এখনও পৃথিবীতে পৃথিবীতে গাছ থেকে মাটিতে লাফিয়ে বোকারামদের গলাগলি করতে করতে হারিয়েই হারিয়েই যাচ্ছে। সরকার সিপাই মন্ত্রী পিছন পিছন ছুটছে তো ছুটছেই। সোনা রূপা হীরে পান্না এ জন্মে না হোক পরজন্মেও যদি মিলে যায়। কেউ কি আছো শেষ করে ফেলা আমাকে কেড়ে এনে দেবে। সূয্যির পাপড়িরং লুকিয়ে লুকিয়ে এখনও যে এখনও যে তুমির চোখে লাগলো ওঃ নিয়ে গেল রে।  





ভুবনডাঙা দলিলে লেখা আছে পুঞ্জ পুঞ্জ আকাশছায়াকথা
আকাশ দলিলে লেখা আছে - লেখা আছে যখন ভাঙাচোরা বাঁশের সাঁকো ছিঁড়ে উড়ে মরে ঘুড়ি, তখন কি বাসন্তী রং লাশ হাফ কদম এগিয়ে যাবে কফিনে নামার জন্যে? মাঝরাতে পাথরকুচি মাঠের গন্ধ ধরে ধরে ডিভোর্সি মেয়েটা
মনখাতের বোতামটা খুঁজছে, আর এই না দেখে, শীততাপনিয়ন্ত্রিত কক্ষ থেকে রঙিন চশমাপরা ইঁদুরটা ভালবাসার জঙ্গল ফাঁক করে গান ধরলেন -

এই পাতকুড়ুনি, এঃ ছি ছি না না এই ডিজিটাল রাজকন্যি শোনোনা শোনো - সই সাবুদ করে মেঠো ষাঁড়কে তো অনেকদিন গ্রীন সিগন্যাল দেখালে। এই বার এই বার গ্রীলগাছ ঘেঁটু গাছ ঘুঁটে গাছের ছায়া ছেড়ে বেরিয়ে এসো। এসোনা। হয় জলজান্ত এ্যালবামে ছোট্ট শৈবাল-শরীরটা বুকে জড়িয়ে বিলুপ্ত রং জঙ্গলে দেবতা-দূতদের জোছনাত্বকে পাথর ছোড়ো, আর তা না পারতে পারোতো পায়ে দড়ি বাঁধো। বাথরুমে ঢোকো।  এইবার এইবার তোমায় তোমার ঘামের সাথে রক্তক্ষরণ-খাটুনির ঘ্রাণের সাথে তেঁতুলগোলায় ডোবাই। আহা তোফা, উপচেপড়া ডাষ্টবিনে গারদের ধূসর শিরায় শিকড়-বীজ কুড়ে কুড়ে খাই

এরপর। হ্যাঁ এরপরও তুমিতো আছো।
এরপর চ্যাটচ্যাটে শরীরের ভাষাভেজা একজোড়া মোজা ছুড়ে মারো। মারো দেখি ঠিক মারমুখি জনতার মদ্দিখানে - 

এবং অতঃপর কালপুরুষ এসে খুঁজে নিক, না প্রজাপতির রং নয়, খুঁজে নিক খড়খড়ে পরিযায়ী সংসার ঝাঁপিতে-   স্তব্ধ গান মরুভূ- ভাসনে অনবরত ইঁদুর হতে থাকা নারীপুরুষদের আকুল হয়ে নির্ভরতা ছুঁতে চাওয়াটাকে--
হাঁটুজল হাঁটুজল            ডোবা আর যায় না
মরণরে শিহরিত মরণ     মরা আর হয় না




স্বপন দত্ত

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন