তুমি সেই আঙুলের নটরাজ 

রোজের এই পাশাখেলা
রোজেরই পিয়াসী বেলা

খোলস পেছনে ফেলে তবে আমাকেই আঁকছ কাচের পেয়ালা সমেত

নিশ্চিত আমি গড়িয়ে পড়ছি রঙে...

নেপথ্যের ক্যানভাসে তুমি সেই আঙুলের নটরাজ 
তুলি হওয়ার পর নামিয়ে দিয়েছ কল্পনা

আমার কোনো জটায়ু নেই বলে
প্রণম্য তুমি যুগলে 
---প্রথমে সামর্থ্য ও শিলাবতীস্নানে পূর্ণ লেপ্টেছো সাদায়
---সমর্পণের চৌষট্টি কলায় ভাগ করে বৃত্ত করেছ লাল

সুরের নীলজোৎস্নায় নেমে তখন আমি নীলসাগর
ফুরন ধার করে এক আংটির মতো
মার্জনা করে করে
নেমে যাচ্ছি জলে

স্থলে তুমি সেই পুরানো তোরণ 
পাল্লা খুলে গন্ধ নিচ্ছি যার, পাল্লিশে পাল্লিশে মেজে রাখছি জং

হরফ ও প্রতীক্ষার সমার্থক করে তুমি 
আমাকে কখনও আর শীতের কথা বলো না, কেমন







২  
উদাসীনতার কখনও জিভ দেখা যায় না

ঝিনুক পকেট থেকে বের হওয়া আপনার কনফেশনের চিহ্নগুলো
আত্মতুষ্টির পতাকায়
এক একটি সিঁড়িগোছের সেলিব্রেশন 

এখান থেকেই ঠিকানাবিহীন নিজেকে তাই অনাথ করে
শোয়া যায় গুহ্যশিখার নরম আঁচলে

উদাসীনতার কখনও জিভ দেখা যায় না
নাড়া বাঁধায় খই পুড়ছে যেখানে
হাতের দৃশ্যগুলোও যেন হাড়মাসহীন শৈশবকাল 

অদৈহিক সত্যতারই তো 
অনিবার্য ছাই ওড়া

তখন এমনিই প্রমীলা মেঘের ভেতর ঘর বানাবে, ঘরের ভেতর ঘুম
গ্রন্থসুলভ দিন ওল্টাবে
আবার গ্রন্থ থেকে মুখ ওঠালে তার মনে হতে পারে কেউ নেই কোথাও

না মাতলা, না সুবর্ণরেখা... 








৩ 
দালান

আধোঘুমে ঢাকা কুলুঙ্গির কপালে এপর্যন্ত জুটেছে
শুধু ছাগলের মাথা। অথচ দেখো, তিথির বলিদানের কথায় 
গুঁজে রাখা হলো লিমিটেশন নিয়ে যত আনাগোনা
মার্বেলের বিশ্বাসগুলো এমনিই ছিল 
ঠান্ডা দুপুরের স্রোতস্বিনী যেন। আরও কত ব্যর্থ কফিনের মোনাস্টিক ফুল
আমাদের চোখ থেকে নামিয়ে রাখল অগ্নিসংযোগ 

দালানের থামে লুকিয়ে একটা বনবাসের গল্প
বাড়তি কোনো চাঁপাগাছ দেখা হয়নি। কখন যেন কমে গেল এক একটা পিলার

সন্ধেটা তাই ছাতিমতলায় 
টাঙিয়ে রাখছি ফিল ইন দ্য ব্ল্যাংক। সবই অলরাইট, ভেরি গুড

ভেরেণ্ডাডালের নিচে 
এই ছোট্ট আমার পাটাতন। হাতে ভেলিগুড় 







৪ 

বাগানবাড়ি

এই ইভনিং এডিশনে মাতালের দরগায় প্রায়ই 
দেখি সপ্তম আশ্চর্যজনক---
তরঙ্গের অভিসন্ধি নিয়ে দোদুল্যমান ছই

সেই অনিবার্য সময়ে ইমন স্বরের পাশে যখন জুড়ে বসে ব্রহ্মসাধ
নিনাদস্বর পায় মন

ঘোড়া এগিয়ে যাওয়ার আগে
ষোলোপৃষ্ঠার বইয়ের জন্য কোনো সাইন্টিফিক রিজন নেই আমার

ঘাই মারার ফেয়ারি সুইমিং পুল 
নামা ওঠার পরিনয়ে একটা নিটোল ভাসান

হাওয়ায় হাওয়ায় এরকমই একদিন ছুঁয়ে যায় হরাইজেন্টাল ইশারা
আর নদের জলের ওপর
                 বাঁকা চাঁদের লিরিকাল ঢেউ

তবে শোনো বন্ধু, প্রমোদভবন এখন আড়ম্বরপূর্ণ 
নৈশ সিগনাল বাগানবাড়ির দিকে কয়েকপ্রস্থ... 








উপঢৌকন 

এই যে ঘড়ির নিচে শুয়ে থাকে সলিলকিউ শব্দরা
পাখির মত উড়েও যায় বিনা কসরতে 
আবার পতনের পরে
জমে ওঠে বাক্যের ঋণ 

পাঠঘরে প্রতিদিন বেড়ে যায় এমন অক্ষয় বটগাছ
টানাপথে অন্তরের আঘাত
আসলে দৃশ্যত এক মাতালদেব

এই সেই বিনিময়, অনিশ্চিতভাবে
হাঁটাপথে মানসিক রথ

আশ্চর্য এক গুহা উদযাপিত 
রিডারবনে ঝরনার সুললিত আঁচল পেতে রেখেছেন যেন গর্ভিণী হাতদ্বয়

এখন নির্গত সকল সম্ভাবনা ঠেলে আপনিও আসুন
গাণ্ডীবের দেহ নিয়ে
খুলে ফেলি মগজের উপঢৌকন 




রুমাঢ্যাং অধিকারী

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন