গৌরাঙ্গ মোহান্তের তিনটি কবিতা
গ্যালাটিয়া
প্রস্রবণের কাছে শুভ্র প্রস্তরখন্ডে ছায়ার কম্পন দুর্বোধ্য ধ্বনির ইন্দ্রজাল সৃষ্টি করে; আমার আঙুলে উদ্ভিন্ন স্বপ্নকোরকের স্পর্শে প্রস্তর থেকে বেরিয়ে আসে গ্যালাটিয়া; মুহূর্তে তাঁর ঠোঁটের উষ্ণতা আকাশে তরঙ্গিত হতে থাকে; মৃদু বৃষ্টি থেমে যায়, কেয়ার উল্লাস ছুঁয়ে অনিন্দ্যশোভনা আমার সহযাত্রী হয়; দূরে নীল পপির গানে কাঁপে সীমাশূন্য মাঠ।
পার্পল দল ও পল্লব
বজ্র নির্ঘোষিত হওয়ার সাথে সাথে আমার শরীরে ইকারাসের চেয়ে দৃঢ়তর পালক জন্মাতে থাকে, আমি উড়ে চলি শ্যামল মাঠের দিকে যেখানে মৈত্রেয়ী দাঁড়িয়ে থাকে; সমস্ত নীলের ভেতর দিয়ে প্রসারিত তার দৃষ্টি দিগন্তে সাজিয়ে রাখে শতপত্রের পার্পল দলমণ্ডল; আকাশের তাপমাত্রার সাথে পরিবর্তমান বর্ণচাপ রচনা করে উড়ন্ত আশ্রয়; সেখানে আকাঙ্ক্ষার পল্লব জমিয়ে রাখে দ্বীপের সমস্ত চিত্রকল্প।
সানডায়ালের নোমন
অঞ্জন ফুলের আড়ালে একটি মাঠ; রাতদিন মাঠে শুয়ে থাকি, ধুলোর ভেতর আকাশের অযুত স্মৃতি-তরল নীলে মাঠের রূপান্তর ঘটে বলে আকাশ অঝোরধারায় নীলের গাঢ়ত্ব ঘুচিয়ে দেয়, কিন্তু নীলের গন্ধ থেকে ধুলোর পরিত্রাণ নেই-নীলগন্ধী মৃত্তিকায় জেগে ওঠে অঞ্জন ফুল; অঞ্জনবেষ্টনীর ভেতর নিভৃত মাঠে আমি সানডায়ালের নোমন-শিহরন পরিমাপ করি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন