শীতের গল্প

সময় আঁচড়ানো মাটির
স্তরে স্তরে –
বনানী উদ্যানে পাতাহীন
শুকনো গাছের ডালে
প্রকৃতি-জীবন চরিতের পাতায় পাতায়
দীর্ঘ-নিঃশ্বাসের গল্প।
রাঙ্গা গোলাপের অপ্রস্ফুটিত
শুকনো কলির গায়ে জড়িয়ে থাকা
মাকড়সা জালে
বরফের নতুন সুতো ঝুলছে
উত্তর মেরুর বনহংসের ঝাঁক
শরতের উপকূলে বিশ্রাম নিয়ে
উড়ে গেছে দক্ষিণের মেরু প্রান্তের দিকে
গ্রীষ্মের জীবনের উষ্মার খোঁজে
আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন–
আমার মনের বনহংস
অহর্নিশি উড়ছে– স্নেহের উষ্মার  খোঁজে
রৌদ্রোজ্জ্বল নদীর বুকের চরে
কাশবনের ছায়াতে
পল্লীগীতি শুনে শুনে
বিশ্রাম নিতে–।
শীতের নিঃশ্বাস হিমের
গুড়ো হয়ে আকাশে উড়ছে।।





একাকী

সাগর তীরে
উদ্বাউল ঢেউ এসে
ক্ষণিকের আলিঙ্গনের শেষে
আবার ফিরে যায়
মহানীল সাগরের বুকে।
এক নীলাকাশ
সাগরের তীরের উঁচু পাহাড়
একাকী নিস্তব্ধ, নির্জন
আকাশ পানে তাকিয়ে–
দুজনার মিলন অসম্ভব, অবাস্তব
ছাড়ে শুধু অতৃপ্ত দীর্ঘশ্বাস।
আমার দৃষ্টি জানালার বাইরে
কুয়াশা মাখা আকাশ
যেন নিঃশব্দ একটি কান্না
একটি পাখি উড়ে গেছে
দিগন্তের দিকে
নিঃসঙ্গ, একাকী










প্রবীন হাজরিকা



রিচয়: কবি প্রবীন হাজরিকার জন্ম গুয়াহাটির ভরলুমুখের মামার বাড়িতে। পিতা স্বর্গীয় নীলকান্ত হাজরিকা। নেফার চাকরি ছেড়ে শ্রী প্রবীণ হাজরিকা প্রথমে ইংল্যান্ডে এবং কম্পালে যান। পরে বিলাতে গিয়ে সেখানেই স্থায়ী ভাবে বসবাস করতে শুরু করেন। মিঃ হাজরিকা সাতটি ভাষা ভালোভাবে জানেন। অসমিয়া, পাঞ্জাবি, গুজরাটি, হিন্দি, ইংরেজি, সোহিলী এবং বাংলা ভাষা। এই সবগুলি ভাষাই শ্রী হাজরিকা লিখতে ও পড়তে পারেন। প্রসঙ্গত বলা যেতে পারে যে শ্রী হাজরিকা সুধাকন্ঠ ভূপেন হাজরিকার ভাই।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন