শবযাত্রা
সারাদিন যত বেজে যায় অসংগত। এলোমেলো হেঁটে ফিরে আসে দ্রুত
ব্রহ্মতালু প্রশমন হয় না যেহেতু
একাকি শ্বাসযন্ত্রে বয়ে বেড়াই
ঘৃণাহীন এক শবযাত্রা
উচ্ছিষ্ট
লিভিং কোস্টারে চেয়ে দেখি
স্বপ্নেরা পড়ে আছে রোদের উচ্ছিষ্টপাতে
স্পটলাইট
মন থাকলে সেতুর দুপ্রান্তে যেমন চলতে পারে মনের গড়িমসি
তাকে নামতা করে তুমি এগিয়ে দাও
বিজনবাদের হাঁড়িকুঁড়ি
শুধু এপথে ভাঙন এলে
শব্দ খুঁটে খুঁটে পুরানো স্পটলাইটটির জন্য
সন্ধ্যার তলানিটুকু নিয়ে উল বুনো
এতই অদ্ভুতুড়ে এই ঘড়িইজম!
চিত্র
ঢেকি স্বর্গে গেলে ধান ভানে। আর,
তীব্র সম্মুখসমরের কোনো দলীয় ভাষণে
কাদাভরা পোশাকটার বেলুনস্ফীতি
এক একটা ঘটমান চিত্র
কনফেশন রুম
ছাইয়ের সমমূল্য যদি বিনিময় করি
খাড়া হওয়া সময় ধরে এগিয়ে যায় সরণি
তার শৌখিন মুখে ফোটে কাব্যিক মেকওভার
মুখও তার পরিভাষা জানে
শুধু বর্ণ, শব্দ, বাক্য...
এই সামান্যতম আয়োজনে
খড়িমাটি আলপনা সহযোগে নৈবেদ্য তুলে ধরলাম
কনফেশন রুমে
তন্দ্রা
গৃহতম পর্বের দিন। টানটান যদি শুরু করা যায় বৃত্তজাত দুইয়ে তবে শেষ--
ডায়ামিটারের মনোটোনাস ঘাম মুছে
এখানেই পেতে রাখা এক লাইন সরলরৈখিক রাত
তাও কখনও কখনও নীল মশারি
প্রুফশিট মেলানোর পর ছেঁটে দেয়
যত উড়ুক্কু তন্দ্রালু যাপন
শাটারওয়ালা
বিকেলের কতিপয় স্মৃতিদংশন
শাটারওয়ালা কিন্তু কোনো মুগ্ধতাবশত ভাঙছেন শামুখের খোল
সুতো টানার সরগম বাতাসে ওড়ে
রুহু পার করার এই অসাবধানতাটুকু আপলোড হবার অপেক্ষায়
কারা যেন বোধকে সংশয়পাত্রে রেখে
গিলে নেয় এক পেগ চ্যাটচ্যাটে রাত
এমনও বিদীর্ণতর সত্য
আকাশে রোজ মেঘ হয়ে ভাসে
আপেলের খিদে
ঝোপদুরস্ত করে তবু চলে গেছো অনেকদিন হলো
কষ্টিপাথরের নির্যাস খেয়ে প্রতিদিনের মিলে রাখা এমন ডানা
ঘরমুখো বেদানার যাত্রাকথা লিখতে লিখতে
কখন যেন বেড়ে গেল
আপেলের খিদে
আর বটের চারা
প্রশস্ততা
তোমাকে সোনালী ছায়ার দ্রব্যগুলো চালান করে
ঘুমের কোমরবন্ধে বেঁধেছি বাদামি খোসা
শাঁসালো ফলাফলের অনিশ্চিত
ঝুলে আছে শূন্যে
তবু পরিণতি প্রসঙ্গে মনে হলো আম-আদমির কথা
যদিও আমাদের বেলোয়ারি ভবন আছে, আছে আষাঢ়ে স্রোত
কিন্তু জনস্থানে?
প্রশস্ততা
নেই তো...
অনুপ্রবেশ
দুর্ভোগদিন মাড়িয়ে দ্বৈতসত্তার বাড়বাড়ন্ত...
পোশাকের ভাঁজ থেকে, মাল্টিপ্লেক্স নিষ্ঠা থেকে খোলা ছাড়িয়ে তুমি এক স্ট্রবেরি খেতের মালিক
সাঁতার কেটে এসে আমি
সেই অমিতাভ আয়োজনের খাবার বেড়ে রাখি আর হাঁক পাড়ি
বসন্ত তরজায় বসে থাকা দেবতাকে
দ্বিধাহীন এই চুম্বক প্রতিলিপির জন্য
ধুনোর পেছনে গুঁজে দেওয়া হাঁমুখের অসামান্য ব্যয়
ইচ্ছা হয় -- শেষ ঢাল করে
পরিপুষ্ট হোক নিরাময় অন্ন...
জন্মের অনুপ্রবেশে
প্রতিটি কবিতাই অসাধারণ
উত্তরমুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন