যাত্রাসুখ
বৃষ্টি লিখে পাতা ভিজে গেলে
চৌম্বক ক্ষেত্রের রাত
এখনো সবুজ হতে পারে
আত্মগত মৈথুনের মত
আপামর কথাগুলো একমাত্র
অসমাপ্ত সেতু বৃদ্ধি করে
নিজস্ব দর্পণ হাতে নিয়ে
মুখ আর বিমুখের মাঝামাঝি
কতটুকু স্থান দিলে ধৈর্যের
নিরাসক্ত কেন্দ্র হওয়া সাজে
নৈঃশব্দের এই কারসাজি
বুঝে নিতে হয় আমাদের
বাণপ্রস্ত গোধূলির দিগন্ত বলয়ে
প্রকৃতি রুষ্ট হবে না স্থির জানি
বল্কলের প্রাসঙ্গিকতায়
তবে হাত ধরো সখী, অনন্ত সজনী
কাজ নেই কোন আব্রুতায়
তুমি...
এক মহতী সুষম গোলকের পৃষ্ঠদেশে
ঘূর্ণায়মান অমূলদ তূরীয় সংখ্যাটির
নির্লিপ্ত ঘানিজীবির উটসুলভ অভাগা
গুরুজী বললেন তোর ভক্তির
কাঁঠাল এঁচোড়েও পাকলোনা
এখনো মিল চলছে !
ইংরেজির একটি মিলে
তবু পেট ভরাতে পারে
এখানে তো মিল বন্ধ
তার বদলে হপ্তাহীন শ্রমিকের
হাতে পাকা কাব্যের কাঁদি
মিল এখানে দূগ্গা মিছিলের
স্বয়ংক্রিয় সুখদুঃখের চন্দননগর
কিন্তু তূরীয়ানন্দ স্বামীটিতো
গবেষকদের কম্পিউটার গারদে
অনির্ধারিত অসীমের বিচারাধীন
তবু আমি স্বপ্ন দেখতে পাই.....
তিন টুকরো
(১)
অবস্থান বিন্দুগুলি সরে সরে যায়
সমস্ত সম্পর্কের বন্দরে
উড়ান আর অবতরণের গদ্য পড়ে আছে আমাদের কৌতূহল শুধু
বদলে যাওয়া অজ্ঞতার দিকে
(২)
জীবনমুখীনতা বুঝি না
তবে আজ পায়রা দম্পতি
তালুবন্দি শস্য খুঁটে
ভেসে গেছে দিগন্তের দিকে
এরপর মুক্তির প্রসব প্রহর
(৩)
শহরের এলোমেলো হাঁটাপথে
সমস্ত উদ্বিগ্নতার পিছনে ব্যস্ত থাকে
হিসেবের কড়ি বাঁচানোর অংক যাপনে
তবুও দীর্ঘ ইটের কুয়ো ফলনশীল
আর সবার চোখেই তো স্বপ্ন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন