কী শাড়ি পড়েছো
চুপ! দ্যাখো -- কেমন পথ ভেসে আসছে নৌকোয় উঁচু কার্নিশের রোদে পাশ ফিরে শুয়ে আছে ঋতুজল, থাকা
পায়রার পালকে ধানক্ষেত গন্ধ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পলাশ দাউ দাউ বুনো মৌমাছি ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসে স্নানের জল মধুময় আজ কী শাড়ি পরেছো ঋতু গুলিয়ে যাচ্ছে ঋতুর হিসেব।
টর্চ জ্বেলে
এখন আঁধার
টর্চ জ্বেলে জ্বেলে নতুন করে খোঁজা শুরু চেনা রাস্তাও কেমন রহস্যময়...
হোঁচট যেন হেঁচকি, থেকে থেকে চমকাই, অস্থির, এই পড়ি এই পড়ি...
কোথায় বুক খুলে রেখেছে মাটি? ভাবি, কবরের আশ্রয়ে কীভাবে কেউ হেঁটে হেঁটে যেতে পারে
অন্যের বিছানা ঘুমোতে দেয় না কিছুতেই মুখোমুখি আঁধারে কী ভীষণ অচেনা লাগে চেনা গায়ের গন্ধেও ভয়... টর্চ জ্বেলে জ্বেলে নতুন করে খোঁজা শুরু
সারারাত
সারারাত আজ কাঁদব -- কাঠের তক্তা গরম তেলের কড়াই ঘুম ছেঁকে নেবে উল্টেপাল্টে ডান দিক বাঁ দিক, বাঁ দিক ডান দিক প্রতিটি আঘাত চিহ্নে সারারাত জেগে তোমাকে মলম বানিয়ে মাখানো আঙুল ভুল করে ফেলে আসব আবারও ভাঙা আয়না লাগানো বাথরুমে
পাঁজরের প্রতিটি রিডে ছুটে বেড়াবে যখন আশ্রয়হীন আগুনের পায়ের কাছাকাছি বসে পড়ব উস্কখুস্ক শীতকালীন গাঁদা ফুলটি হয়ে আর সারারাত গলা মেলাব শিশির বিন্দুর পতনোন্মুখ গানে
চন্দ্রবিন্দুর দিকে
রাধে, দ্যাখো আমরা পালক স্পর্শে ছুঁয়ে দিতে যাচ্ছি অন্য মাটির যৌবন
তুমি, ভেঙে ভেঙে গুঁড়িয়ে ভেসে থাকলে
নীল শূন্যে, বাঁশিওয়ালা কী জানে
আমরা চোখ তুলে উঠিয়ে রেখেছি চন্দ্রবিন্দুর দিকে চন্দ্রমুখীর পাঁজরের লুকানো জ্যোৎস্নায় আমাদের রাত গভীর হবে ভোরের স্নানে তোমার কথা ভেবে কেউ কেউ কেঁদে উঠবে কী বাঁশিতে?
তুমি ডেকেছো
প্রবেশ সহজ ছিলো, কিন্তু ঘর ছোঁয়া যে সহজ ছিল না। বসতে আসিনি, শুতেও অসংজ্ঞায়িত রহস্য উন্মোচনে দরজাই এসে দাঁড়িয়েছে, খুলে গেছে, আবারও এসে দাঁড়িয়েছে, খুলে গেছে, অনন্তকাল
মাঝে মধ্যে ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে ছায়ারা, মুখোমুখি নিজের মতোই লাগে কখনও তাদের, একের পর এক দরজা মুক্তি দিতে দিতে তুমি ডেকেছো গভীরে তবু বলি ঘর ছোঁয়া যে সহজ ছিল না...
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন