১.
আকরাংশ থেকে : বহুদূর শারীরিক
বুকের হাপর
রক্ত
ঝরাও কারনেশন
নাগচাপা-পাপড়ি
ঝরঝর শীতল কান্না
দ্রুতগতির রাজহংসী—পক্ষিটি থিতু হও, প্লিজ
বন্দরের অ|শান্ত বৈঠা—খবর রেখেছো কে কবে!
বৃষ্টির হীরকখণ্ড এখানে ওখানে
দপ||দপ
শামিয়ানা
কথিত নীড়ের
গন্ধ মুছে গেছে
মিথ্যেবাদী কুয়াশায় ।
২.
গভীরতম রাত। যাবতীয় সূর্যের ৩য় পিঠ
প্রত্নতাত্ত্বিক রাত
বুকের কাছে
ছায়া ফেলে বিষণ্ন রোদ
বরফের আগুনে
মোহিত
গুনতে থাকি পদশব্দ নিজের
অথচ
পায়ে কোনো পা থাকে না
মায়ের জরায়ু
দাঁতহীন খি|ল|খি|ল
আনন্দ
নাকি বিবমিষা!
ঝিঁঝিঁ পোকাদের ঝুনঝুন হাসি
জ্যোৎস্না নামে বেগুনী
অরণ্যে
বৃষ্টির দংশন
যে অরণ্য হারিয়েছিলো সবুজ
নিঃশ্বাসে ঝড় তোলে দাহ্য নিকোটিন সিগারেটের ছাই জমা
জন্মপাপ
সাজিয়ে
রাখা
এ্যাসট্রে গহ্বর
৩.
মৃত মাছের আত্মদহন
একটি মৃত মাছ! উল্টোমুখে হাঁটছে কাঁটার জুতা পায়ে!
সারিসারি অপিরিচিত মুখের দিকে তাকাতেই
মাছটি জীবন্ত হয়ে উঠলো।
তারপর পৃথিবীর সমস্ত মানুষ তাকে বেষ্টন করে রাখলো।
দুঃখী শব তার দিকে আনত দৃষ্টি রাখলো,স্পর্শ করলো।
কোলাহলে থেকো না বন্ধু। ধারণ করো তোমার সূর্য।
এই বলে মাছটিঃ
প্রথম মানুষটিকে আলিঙ্গন করে হাঁটতে থাকলো...।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন