তোমাকে বসন্ত 

দুয়ারে প্রস্তুত অডি ---- বেলা দ্বিপ্রহর
বার বার ডাক দেয় ফেলে আসা ভোর।
উড়াল পুলের কাছে ট্রাফিকের চাপ 
টেবিলে রয়েছে পড়ে ---- বিষন্ন গোলাপ ।
চলে যাবে তুমি আজ ---- শেষ হবে যোগ 
ভালবাসা পুষে রাখা জীবনের রোগ !
আমার বুকের নীচে অঝোর শ্রাবণে
কালো মেঘ এসে জমে পাঁজরের কোণে।
থেকে যাও, বাড়াবাড়ি ! কী হবে প্যারিসে ?
আমার শিরায় জমে ক্ষতিকর সিসে !
দৃশ্যগুলো মৃতদেহ, কবরে মন্তাজ 
কথাগুলো ভুলে গেলে, দাম নেই আজ !
আমি নিজে শীত হয়ে এমন শ্রাবণে 
তোমাকে বসন্ত দেব ---- শরীরে ও মনে ।









পয়ারের শ্লোকে

মরণ রে, তুঁহুঁ মম শ্যাম্পেন সমান
জীবনের ডানা মেলে এ যেন উড়ান ।
দিন দিন ধুয়ে যায় স্মৃতির প্রান্তর
আস্তে আস্তে ভেঙে যায় ---- আশ্রয়ের ঘর !
তবুও জড়িয়ে ধরা ---- দুহাতে এমন !
দশমীতে পুড়ে যায় সাধের রাবণ ।
এখন বাতাসে ডেটা শব্দ ঢোকে কানে
রাবন পুড়েছে কাল ডিজিটাল বানে ।
আমি দেখি, জন্ম হয় অসংখ্য দৃশ্যের 
আমার যা কিছু আছে, হোক তোমাদের  ----
কবিতার কিছু বই , কবিতার পাতা
বারোটা বাজানো ছন্দ ছেঁড়াখোরা খাতা ।
চরিত্র খারাপ খুব, বলে কিছু লোকে
সে কথাই লিখে রাখি পয়ারের শ্লোকে ।










দধীচির হাড়

আমাকে হয়তো তুমি ভাব না এখন
মাল্টিপ্লেক্সে হলিউড, সঙ্গে পপ কর্ন ।
কার হাতে রাখ হাত ---- জানা নেই আর !
এক্স রে করিয়ে আনি দধীচির হাড়।
মাঝে মাঝে মনে হয় কেমন পৃথিবী  !
আজ যেটা সমতল কাল সেটা ঢিবি  !
জীবন হারিয়ে যায় নদীর ধারায়
রকে আড্ডা জমে ওঠে তোমার পাড়ায়  !
উত্তর দিতেই হবে এমন তো নয়
একাকিত্ব,সঙ্গী নেই,  রাতে সেক্স টয় !
এভাবেই কেটে যায় প্রচুর জীবন
বাইরে সুগন্ধি মাখা, ভিতরে পচন ।
এখানে জীবন পোড়ে বিষাদের গানে
চিমনি থেকে ধোঁয়া ওড়ে ---- কুচিনা শ্মশানে !










অন্তহীনতায় 

অন্ধকারে তুমি রূপ ---- আলোয় স্তব্ধতা
শরীরের মূর্তি তুমি ---- গাঢ় নীরবতা।
আষাঢ়ে আকাশে মেঘ শূন্যতম আলো
তোমার চুলের ঢল তার থেকে কালো !
আমি তো তরুণ কবি থাকি অন্ধকারে 
ছন্দ রাতে লাফরা করে ফাটল সংসারে ।
তবুও তোমাকে লিখি ---- বুকের কম্পন 
কলেজ স্ট্রিটের মোড়ে পাল এন্ড সন ।
সেখান থেকেই কিনি কবিতার বই
এসব চিতার ছাই ---- উড়ে যায় খই ।
তবুও তোমাকে ভাবি আলো থেকে সরে 
তবুও তোমাকে দেখি অন্ধকার ভোরে !
যেখানে ঘুমায় চাঁদ দিগন্ত রেখায়
আমার কবরে মাটি ---- অন্তহীনতায় !





তথাগত দত্ত

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন