মহাকালের ভিতর
ঋণ
যতিচিহ্ন লাগোয়া রাস্তায় নেমে এসো
অপেক্ষা করতে করতে ছাউনিহীন হও
আরোগ্যকে যদি নৌকা ধরা হয়
আয়ু তাহলে নির্নিমেষ বৃক্ষ
সেই বৃক্ষের সাথেই বেড়ে ওঠো
ক্রমশ ভেঙে দাও অতিরিক্ত যা কিছু
হিসেব লিখে রাখা ছাড়া উপায় কি আছে আদৌ?
তবু ঝুপ করে মেঘলা হলে...
জানি না কেন ঋণ বেড়ে যায় ওই হলদেটে দু'চোখে
জল
নিঝুম দ্বীপের ওপর প্রাচীন ছায়া
ডাকহরকরার কাঁধে যে খাঁচা--
তাতে শুধুই মহাসাগরীয় স্রোত, ঝিনুক প্রবাল
ঝাঁক বেঁধে আছি। খোলসের গায়ে সাদা আলপনা
ভিতরঘরে মায়াটান স্নানছবি খোলসত্যাগ
দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে সাধের পিঠ বুক নখ জিভ
মন্বন্তরের ওপর শামুক
ফেরৎপথ পিছল করছে এইসব যুগ্মদরজা
ধ্যান
নাভিকুণ্ডে ওজন আর দালানের বিগ্রহ
মৃত্যু এসে দাঁড়ালেই হলুদ ফুল ।
নিরবতা ভাঙে, নৈঋতের কান্না জমিয়ে রাখে পূর্বের ফসল
বুক কাঁপা হার্টবিটে সেতার বাজায় রাখাল
নুনের হিসেবে গরমিল হলেই ঝরে যায় তার গায়ে লেপ্টে থাকা দোআঁশ
পোশাক থেকে ক্রমশ পলিমাটি হয়ে ওঠে ধ্যানীপুরুষ
বিয়োগ
সুতো ছিঁড়ে যাবার পর...
আমকলকা জরির পাড়ে এখন শীতের নদী। মৃতপ্রায় পাহাড়ের ঢালে অগুণতি ধোঁয়াটে মেঘ
সাদা ধুতি। খসে পড়া পালক।
এইপর্যন্ত দেখে যারা হুড়মুড়িয়ে জড়ো হচ্ছেন দালানকোঠায়
গুণিতকের মধ্যে তন্নতন্ন করে চলেছেন নিরুদ্দেশ ময়ূর
তাদের উদ্দেশ্যে জানিয়ে রাখি -- বসন্ত এলে পরবর্তী বিয়োজক খোঁজা হবে
আপাতত ঘোষণা স্থগিত হল
শূন্য
এইবার যাতায়াত স্থির হবে, ওজন থেকে নেমে যাবে লক্ষকোটি ভার
পকেটে হাত ভরে সরলরেখায় হেঁটে যাবে সেইসব মানুষ
তাদের জন্য বরাদ্দ হবে খিদে আর খরা
বুকের খাঁজে বিভক্ত হয়ে গেছে যত সমান্তরাল পথ
যাবতীয় শোক স্থগিত রেখে সেসব জায়গায় বেজে উঠবে ডঙ্কা
দুটো চড়াই । ঠোঁটে ঠোঁটে বিলিয়ে দেবে আগামীর ধান
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন