পাজামা-মন্ত্রে দীক্ষিত





১ 

চার-চারটে গরম গরম বেগুনি গিলিয়ে দিয়ে
কেউ আমকে পাজামামন্ত্রে দীক্ষা দিয়েছে 
আর আমি সাদা-শুয়োর চরানোর ছল করে 
                  পাগলা-নদীর অঙ্ক-ক্লাস ফাঁকি দিলাম 







এমন চাঁদের আলোয় যারা ফেভিকল দিয়ে এঁটে রাখা 
সুখী গৃহকোণে হারানো গ্রামাফোনের কথা ভাবছে 
তাদেরও জানা এবং বোঝা উচিৎ 
ওয়ার্ক-ফ্রম-হোমের চারিভিতে ছুটে চলা সুরমা ভূপালিতে 
                  কত রকম রূপোলি বাষ্প জমে আছে 








আর থেকে থেকে ঝরাপাতার আলোড়নে 
          তুমুল ডুবে যেতে পারে 
দক্ষিণের বারান্দার সুখ-দুঃখ 
আমার না-হৃদয়ের পাঠশালা ক্রমশ গ্রাস করেছে 
টলমল জলাভূমি, যাতে ঘরেফেরা পাখিরা 
             খানিক তান-শেখানো পেতে রাখলেও 
                  কারো কারো না-ফেরা পুরোনো দিন 
                              আমাকে পাঁজরে নিয়েছে 








রাত একনিবিষ্ঠ হলে বোঝা যায়, গ্রামের পুকুরঘাটে 
             লাজুক গৃহবধূর বিকেলের গা-ধোয়ার জলছবিতে 
                               কত মালপোয়া অন্তর্গত আছে 
অনেক চিরদিনের ভিতর সেভ করে রাখা বেহুলার ভেলায় 
                     বিশুদ্ধ বেপাড়া ফুরোনোর সঙ্গে 
                                 তারও খুব ঘর করার ইচ্ছা 








পথে পথে বিপদ হাতে 
         চোখের সামনে দিয়ে
কত সশস্ত্র ঠোঁট হেঁটে চলে যায় 
                        সঙ্গে বুনোমোষের নিতান্ত নিয়ে 
               সারাটা না-জীবন এই-আমি 
                       কেন এত সিদ্ধান্তহীনতায় ডুবে যাই                           
             কেন কেন কেন 
কোনো কোনো পথের অগভীর প্রান্তরে, কেন লেখা হয় এত উদভ্রান্ত






মুরারি সিংহ 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন