পাজামা-মন্ত্রে দীক্ষিত
১
চার-চারটে গরম গরম বেগুনি গিলিয়ে দিয়ে
কেউ আমকে পাজামামন্ত্রে দীক্ষা দিয়েছে
আর আমি সাদা-শুয়োর চরানোর ছল করে
পাগলা-নদীর অঙ্ক-ক্লাস ফাঁকি দিলাম
২
এমন চাঁদের আলোয় যারা ফেভিকল দিয়ে এঁটে রাখা
সুখী গৃহকোণে হারানো গ্রামাফোনের কথা ভাবছে
তাদেরও জানা এবং বোঝা উচিৎ
ওয়ার্ক-ফ্রম-হোমের চারিভিতে ছুটে চলা সুরমা ভূপালিতে
কত রকম রূপোলি বাষ্প জমে আছে
৩
আর থেকে থেকে ঝরাপাতার আলোড়নে
তুমুল ডুবে যেতে পারে
দক্ষিণের বারান্দার সুখ-দুঃখ
আমার না-হৃদয়ের পাঠশালা ক্রমশ গ্রাস করেছে
টলমল জলাভূমি, যাতে ঘরেফেরা পাখিরা
খানিক তান-শেখানো পেতে রাখলেও
কারো কারো না-ফেরা পুরোনো দিন
আমাকে পাঁজরে নিয়েছে
৪
রাত একনিবিষ্ঠ হলে বোঝা যায়, গ্রামের পুকুরঘাটে
লাজুক গৃহবধূর বিকেলের গা-ধোয়ার জলছবিতে
কত মালপোয়া অন্তর্গত আছে
অনেক চিরদিনের ভিতর সেভ করে রাখা বেহুলার ভেলায়
বিশুদ্ধ বেপাড়া ফুরোনোর সঙ্গে
তারও খুব ঘর করার ইচ্ছা
৫
পথে পথে বিপদ হাতে
চোখের সামনে দিয়ে
কত সশস্ত্র ঠোঁট হেঁটে চলে যায়
সঙ্গে বুনোমোষের নিতান্ত নিয়ে
সারাটা না-জীবন এই-আমি
কেন এত সিদ্ধান্তহীনতায় ডুবে যাই
কেন কেন কেন
কোনো কোনো পথের অগভীর প্রান্তরে, কেন লেখা হয় এত উদভ্রান্ত
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন