পুড়িয়ে নিয়েছি যাবতীয়।
রাজপুত্র আর রাজকন্যে।
প্রত্যাশা নারী পুরুষের। কেও মনের মানুষকে পায় আবার কেও পায় না। অলিখিত এক জীবনধারা। এ আকাঙ্খা মিটেও মেটে না। ঘষতে থাকো মনকে। শরীর আসলে এক পাওয়া না পাওয়া জীবের রূপকথার মতো। কি পেলাম আর কি হারালাম এর হিসেব নিকেষে এক সুপ্ত যন্ত্রণা। তবুও তো মানুষ ভাবে। আর এই ভাবনায় তার অস্ফুট চিৎকার - আমি বাঁচতে চাই। সুখ চাই পৃথিবীর যাবতীয়।
কিন্তু.......
এ এক খেলা। যে খেলায় হারজিৎ তো আছেই। তবুও ......
সন্ধিক্ষণ পেরিয়ে নীলিমা যে প্রতিদিন জানালা দিয়ে দেখে নীল জামা পরিহিত এক দিব্যকান্তি পুরুষকে। ভাবে একদিন সে তাকে বলবে - আমি তোমাকে চাই। পারেনি। এই না পারার যন্ত্রনা তাকে কুরেকুরে খায়। একদিন জানালা দিয়ে মুখ বাড়িয়ে চিৎকার করে বলে - আমি তোমাকে ভালোবাসি। মানুষটা মুখ ঘুরিয়ে বলে - আমি তোমাকে চাই না।
শুরু.....
জন্মের শরীর। মুক্তির শরীর। কি হবে লালন করে? নীলিমা হাঁটছে কাঁটাগাছে। ঝরছে রক্ত। কখনো বা কাঁচের টুকরোতে। পা ছড়িয়ে অট্টহাসি - তোমরা দ্যাখো আমি কেমন আলতা পড়েছি। কাঁচের টুকরো আর কাঁটা উপড়ে ফ্যালে। আগুন শলাকা দিয়ে নগ্ন শরীরে পোড়াতে থাকে। সারা অঙ্গে কালো কালো পোড়া দাগ। নাচতে থাকে। লাফাতে থাকে। তার মনেও হয় না সে একজন না পাওয়া নারী।
আনন্দের চিৎকারে সেই মানুষের মুখ জানালায়। এক ছুটে তার ঘরে। জড়িয়ে ধরে। বলে - নীলিমা আমি তোমারই।
নীলিমা শান্ত এখন। চোখ ভেজা জলে অস্ফুট শব্দ ...... দ্যাখো,দ্যাখো আমি কেমন পুড়িয়ে নিয়েছি যাবতীয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন