আমার আকাশে নক্ষত্র 






তামাটে ভাস্কর্য্যে দিগন্তরেখার
সাবলীল আলাপ ঘটলে
ডায়ালিসিসের অতিকথন গহীন পরিখায়
নক্ষত্র যেখানে পরিমল,প্রিয়ভাজনেষু

সহ বীর্যং করবাবহৈ  ...

সদ্য প্রেম স্নাত রাগিণী
আদর দিয়েছে স্বরলিপির ভূ-তলে
হংসধ্বনি কবিশব্দে নিরাকার  ,এবং

উষ্ণ প্রশ্বাস ঘরানা ছাড়লে
নক্ষত্র অভয়-মুদ্রা গামী হয়...

হে নটবর, সংলাপ দ্বিরাগমনে গেলে
শব্দ সাজে প্রাচুর্যে, আর
রাত নগ্নতায় অন্তর খোলে
প্রাক্তন অমাবস্যা  ,যেখানে

উন্মুক্ত জটায় নামে ভিসুভিয়াস, তাই
মিশরীয় কেশগোছা রানীর বশীভূত হোলে
ফসফরাস জ্বলে ব্রহ্ম চাতালে  ।







কৌণিক দূরত্ব মাপলে পরিধির ইন্দ্রপতন
সাঁঝ হাওয়ায় আলাপের সমাবর্তন ঘটলে
যমুনা প্রান্তর শিক্ষিত সবুজায়নে ___

হয়তো বাতাস গুপ্তচর
রাত তারার আতিশয্যে!
প্লিওনি শব্দরা ক্ষ্যাপা বাউলের একতারা ধরলে
নারী মুগ্ধতা রাখে  ...

শ্রাবণী হাওয়ায় নক্ষত্রের ঠোঁটে
দুরন্ত পুরিয়াকল্যাণ খেললে
বিস্তৃত সরোবর  গাত্রহরিদ্রায়
নামায় অচেনা সুখ...
দ্যাখো ,অলঙ্কৃত সরোবর ;যেখানে
তোমার গর্বে বাঁধা পড়েছে প্রেমিকার আঁচল, তাই

লজ্জা সঙ্কুচিত হোলে তাড়না প্রসারিত,আর
যুবতী প্রতিবিম্বের প্রশ্রয়ে
ভূমধ্যের আয়নায়
পুরিয়াকল্যাণ ভেজে
নির্লজ্জ সরোবরের অক্টেভে   ।






ব্রহ্মাণ্ডের কাল যাপন
সহনৌববতু...

সনাতনী প্রেম লাভ করে ব্রহ্মপ্রাপ্তি
তবু ,গুহ্য বিদ্যা অধরা মৃগশিরার

ধ্যানস্থ ডয়সন উপনিষদের জঠরে,তাই
'নি' উপসর্গের দ্রাঘিমাংশ জুড়ে
তৃতীয় মাসের চাঁদ যেন লালাভ

প্রেম তেজস্বীঅস্তু...

ঐতরীয় কন্যার নাভিমূলে হাসলে
নারীর পুরুষ ১'বচন হয়,যেখানে
যামের উপত্যকায় চাঁদ কে
নিষ্ঠুর বলি আমি, আর ব্যবহারিক পুঁথি
মাথা রাখে মগজ কিয়স্কে

নক্ষত্র ভূমি ছুঁলে আল্পনা আঁকে মন্ত্র
সর্বং খল্বিদং ব্রহ্ম...







যে সীমানা ছাড়ে প্রেমের শ্যাওলা
মিথুনে বসেছে সত্যাগ্রহ আন্দোলন

কান ছুঁয়ে হড়কে গেল যে গদ্য
সে প্রান্তরে আমি রচনা করি
পলাশীর মোহনলালের অবয়ব
অনুভূতি ,
প্রেম,
নক্ষত্র আমার  -
মৃত ভাগ্যের মরীচিকা দেখি না
শুনি জয়দ্রথের আর্তনাদ ...

দীর্ঘায়ু কামনায় বসত বাঁধে যে রাত
মূঢ় চাউনি দৃষ্টি খুঁজে পায়
দ্যাখো, নাট্যশাস্ত্রের গভীরতায়
লীনতাপ মাপছে সুচারু এসথেটিক্স,আর

গীতি আলেখ্যে নৈবেদ্য সাজায়
পূর্বরাগের অদ্বৈত অভিব্যক্তি 








মধ্যাহ্নের ক্ষুধার্ত অযোধ্যা
ব্ল্যাক অ্যান্ড্রয়েডে
বেসামাল আরোহণে শব্দরা শরীর জুড়োলে
এক আবর্তে জন্ম নেয়
শ্বেতাশ্বতর চিলেকোঠায়

নাজুক খোয়াইশ অলিভ গ্রিন স্ট্রিটে
তানপুরার কান ধরলে
এক পশলায় পুরাণ আলতা মাটি ধরে ;

ততক্ষণে চারমিনারের আসক্তি
বৃহতের পাঁচিল অবরোধ করলে
সর্বনাশা মন 
আগুন খেতে চায়

ডেনিম জিনস্ বাইকের গৃহকোণে
ব্যঞ্জনবর্ণে নিবিষ্ট
প্রতিবাদী ভাষা শ্লোগান নির্দিধায়
আকাশ ইজ ইকুয়াল টু নক্ষত্রের রসায়ন
মেহেফুজ প্রেম আমার বারান্দায়








কফিনের কোলে ঘুম শরীরে
লাল রঙ মাখে তামাটে চামড়া
নেমে এসো নক্ষত্র;ছুঁয়ে দ্যাখো...

প্রাচীর তোলা কফিন
শ্বাসের সারফেস মাপে, আর
স্বাধীন রিপুরা সহবাসে মগ্ন

তোমার সিগারের অক্ষ জুড়ে
পরিণীতা আগুন ফাগুন চায়
বইয়ে দাও আমার আজন্ম তিথি তে...

মরচে সিঁদুরে হাত রাখলে
আদুরে ক্যাম্পাসে কম্পাস ঘোরায়
আলসে নিঃশ্বাস

তোমার আগুনে  নারী কফিন ছাড়লে
নিস্পৃহ ঠোঁট শুকিয়ে কাঁদে
পটিয়সীর সহজাত ঘণঘটায় ,অথচ

তোমার ব্যস্ততায় স্বাক্ষর হোল
নীরব বাতায়ন...









পৌলমী ভট্টাচার্য 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন