শেষ কথাটি
মায়ের ভাঁড়ারে চাল বাড়ন্ত আজকে উপোসতিথি
তবু মেতে থাকি জীবনের মদে,ইহাই জীবন-রীতি
কখনো উঠেছি আবেগ-চূড়ায় কখনো বিষাদ-খাদে
আমার ছেলেরা ডাকলেই দেখি শুকতারা নামে ছাদে
জীবন-খাতায় জীবনই লিখেছে-ছুঁ মন্তর ছুঁ
শেষ কথাটি আমরা লিখব,লিখবে না মৃত্যু
ব্যথা বাসি হলে
বলি বলি করে হয়নি যে বলা,সেদিনও আছিল শাঁখা আর পলা
ব্যথা বাসি হলে মালসায় করে বিধেয় জলাঞ্জলি
তোর সুখে সুখ অ-সুখে অ-সুখ ঝরা বকুলের মালা
দু'জনে নেচেছি ঘ্রাণেই মাতাল চিলেকোঠা ঘরে অন্ধ পাতাল
বিরহ মিলনে সবে হাতেখড়ি জীবন যাত্রাপালা
বাসি কথাগুলো খুবই গুরুভার,নামাতে বলে না কোনও সংসার
গোপন ক্ষতটা যত ঢাকা দাও বেদনার মতো নীল
আমি চিনি গোড়া তুমি চেনো ফুল,ভুল যদি হতো গন্ধ বকুল
তুমিও কি তাহা খোঁপায় জড়িয়ে শ্রীমতী শঙ্খচিল!
বেলা পড়ে আসে বাসি কথা ভাসে বিদায়বেলায় বলি
ব্যথা বাসি হলে মালসায় করে বিধেয় জলাঞ্জলি
একলা মাধব
তুমি তো আছ তোমার মতো,আমরা এ-ধারে থাকি
হাতে হাত নাকি গল্প বলে,হয়তো পুরোটা ফাঁকি
এ-শহর একলা মাধব এ-শহর ঘুমেই কাতর
আপন খুঁজতে গিয়ে বাজেই ভেঙেছে ঘর
এ-শহর যখন জাগে বেসামাল অস্তরাগে
বেদনার গজল গানে কবিরাই সবার আগে
ভুখা পেট ভাবছে নাকি সোনাচুর গঙ্গাজলে
মানুষের ছেলেরা থাকে মানুষের আস্তাবলে!
খরায় কেবলি ভাসা কলুতলার আতর ঘ্রাণে
হৃদয়ের খেয়ালি কথায় এ-শহর ডুবতে জানে
এ-শহর একলা মাধব আজকাল জাগছে না আর
সকলেই নিজের নিজের মূলহীন পত্রবাহার
ও শ্রীমতী-১৩
গল্প তো সেই কুটনো কোটা আইবুড়ো সব সজনে ডাঁটার সালতামামি
তার চে' বরং জ্যোৎস্না বেয়ে ব্রহ্মলোকের মগডালে যাই
ও শ্রীমতী, চোখ মেলে দেখ
নদীর ওপার কেষ্টবরণ মেঘ জমেছে মনভ্রমণে পথভোলা পথ চন্ডীদাসের গোপন রামী
গল্প তো সেই ধান ভানতে শিবের গাজন সাতাশো কাহন জৈব বাঁচার বস্তাপচা দুঃখ ধোনা
ও শ্রীমতী,
তার চে' বরং চল্ না কোথাও পথ হারিয়ে লোকের মাঝেই একলা হওয়ায় মোক্ষ খুঁজি
ভাদ্র-মেঘের টিকিটবিহীন আকাশ-ভ্রমণ যেমন তোকে ফুসলেছিল মেঘ-ছেঁড়া নীল কুঁড়ি-বেলা
ও শ্রীমতী,
মোরগ ঝুঁটি ফুলের মতো রাগলে আকাশ দেখায় ভালো
তার রূপে তুই মজলে আমার আষাঢ় বিকেল সাতমহলা
চমৎকার লাগল প্রতিটা কবিতা। তৃতীয়টা অসাধারণ!
উত্তরমুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন