কবিতা পত্রিকাগুলির 'সাধারণ সংখ্যা'র দিকে ফিরে আসা উচিত এখন। 'বিশেষ সংখ্যা'র ধারে ভারে অত্যাচারে নতুন নতুন মননের, চেতনের কবিতাগুলি হারিয়ে যাচ্ছে ফেসবুক আর ব্লগজিনের গোলকধাঁধায়। তবে আমি মোটেও ফেসবুক বা অনলাইন পত্রিকাগুলির বিরোধী নই, আমি নিজেও 'দহর' ব্লগজিন চালিয়েছি টানা ১২ মাস। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, সাধারণ কবিতা সংখ্যাগুলির বেশিরভাগই গোষ্ঠীভিত্তিক পরিচিতজনেদের যা তা এলেবেলে কবিতাটবিতা ছাপিয়ে দেয়; ফলে সেখান থেকে বাছাই করে পড়বার ধৈর্য্য থাকে না। তাই পত্রিকাগুলি সুসম্পাদিত হওয়া প্রয়োজন, সম্পাদকদের কঠোর হওয়া। আবার কিছু কিছু পত্রিকা হয়তো সাধারণ সংখ্যা করছে ১০০-১৫০-২০০ পাতার, তার দামও তেমন; আসলে এগুলো ওই ৫০০ জন কবির কাছে বাধ্যতামূলক বিক্রির জন্য করা হয়। যাকগে, সে অন্য কথা। কিন্তু সেই ২০ টাকা/২৫ টাকা/৩০ টাকা ওয়ালা কবিতা পত্রিকাগুলো কোথায় গেলো? যারা চিনিয়ে দেবে কোনগুলো আসলে কবিতা, কোন কবিতার মধ্যে দম আছে, সংগ্রাম আছে, চিৎকার আছে, আর্তনাদ আছে, সমস্ত শৃঙ্খল ভেঙে নতুনের দিশা আছে। সেইসব কবিতার সাধারণ সংখ্যা চাই। গেরিলা কায়দায় সেইসব পাতলা পাতলা ছোটখাটো পত্রিকাগুলো মানুষের হাতে হাতে ঘুরবে, লোকে চেয়ে চেয়ে দেখবে নতুন বাংলা ভাষা, বাংলা সাহিত্য, বাংলা কবিতার নবযুগ; কাব্যিক আঘাতে আঘাতে আমাদের ক্ষতস্থানে জেগে উঠবে ফুল, পুষ্প, অঙ্কুর।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন