দিবারাত্রি

একদিন...
স্বকন্ঠে হত্যা করছিলে কয়েতবেল গাছ
পিছন থেকে অনেকদূরের আকাশ সেদিন মনে হয়েছিল মৃত

তবু এখনও ঘ্রাণ নিই লবন জলের
আর মাত্রাদি ছুঁয়ে 
পৃথক করে রাখি দিবা-রাত্রি






রশ্মি

ক্লান্তির কাছে আসে ঘুমপাড়ানিরা
ঘুম সঙ্গীত হয়ে বেজে ওঠে 

আর সুফলার পাশাপাশি 
পড়ে থাকে তার বেগুনি রশ্মি







অকুলানসমগ্র

তবু অকুলান
বর্ষাতির প্রয়োজনে ভূমিষ্ঠ হলো এখন 

একটা হলুদ সমাজ আমাকে চিনিয়েছে 
মোরগের ঠোঁট ও চোখ 

তারপর থেকে খুঁটে চলি
ব্যর্থতার মটরদানা 







প্রবৃত্তি

কিংবদন্তি ঘুম, তার গায়ে জড়িয়ে থাকা অধাতব মোড়কে 
যে দ্রুতি ছড়িয়ে পড়ে, যে নিঃশ্বাসের স্পর্ধা ভেঙে 
রাতের নায়িকারা দ্বিমাত্রিক 

তার কৌতূহলে উলটে যায় নীলাচল
পূর্ণিমা সেদিন ভুলে যায় প্রচলিত অভিমান 

শুধু প্রবৃত্তিগুলো এক দারুণ বাস্তবতায়
গড়ে নেয় জোছনার অভ্যাস। তার সমর্থনগুলো
দুই গোলার্ধে কেবল লুটিয়ে পড়ে 

দিনের ঝলকানি হয়ে







ধ্বজা

কাশফুলের গ্রীবার কাছে দেখি ঝুলে আছে নিষিদ্ধ পান্থশালা
কিন্তু স্বাস্থ্যের মীমাংসা আমাকে দিয়েছে ভারবহুল ছুরি

নিছক অন্নের প্রেরণায় জলের ভেতর তাই 
গুঁজে রাখছি তার আহত শরীর

অক্ষরে মিলিয়ে যাচ্ছে ঘড়ির প্রশ্রয় 
উড়িয়ে দিচ্ছি কালশিটে দিনের ধ্বজা








রোদগল্প 

রামধনু ভেঙে দিনের প্রভেদটুকু বুঝে নিতে
গোধুলি বিছিয়ে দিয়েছে শীতলপাটি 

এইবার বসো, লাস্যময়ী অভিলাষ 

দিনের সারল্যে লেখা হলো যে রোদগল্প 
পাঠ করো সেসব কাহিনীর 

ছত্রিশরকম উপচার 







উপকরণ 

শাল দিয়ে ঢাকা রাস্তার অষ্টাঙ্গ 
তবু টগরের নিরক্ষরতা সমাপ্ত হয় রাস্তার বিভেদে 

রাস্তার বিভেদে ঔকার ভাঙে পথযাত্রী
তার পায়ের চাপে পুড়ে যায় পথ 

পথের মোহে শালুকদুহিতা 
জল দিয়ে ধুয়ে 
তুলে রাখে যাবতীয় শ্রীজাত উপকরণ









উপলব্ধি

এক নিস্তব্ধ মেঘ
বাঁশপাতার উপকূলভূমি মনে করে
নিভিয়ে রাখে বিস্ময়ের আলো

এখানে দর্শনীয় কোনো স্থান নেই
তাই বোঝাতে চেয়েছি এইসব 

দ্বারভাঙা উপলব্ধি





রুমা ঢ্যাং অধিকারী


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন