স্পর্শহীন স্পর্শ -

আমাদের গন্তব্য এক
অথচ, এখনো প্রসববেদনায় কাতর বর্ণমালা 
রোদের ঔরসে আতুরে শব্দের ঘ্রাণ।
যেহেতু,
পিতৃত্বর আধিপত্য সমাপ্ত করে জন্মের সকল তত্ব!
আর, আমরা রহস্য কিনতে চাই
ফেরি করে মৌচাকের নকশা।
ছেদকোনে মিলিত হয়ে
জন্মেরও কিছু মুহুর্ত পরে 
রম্বসের শেষ বিন্দে হয়তো আবার কিছু হবো
আমাদের যে পেয়ে যেতে নেই!







থমথমে কলিংবেল-

মধুমাসের তোড়জোড় 
তলসমুদ্রে হলদে তৃষ্ণা 

তার কানের দুল তাহার বুকপকেটে
খুব বেমালুম মুছে যায় 

ফাগুনে রোদ সল্পতায় 
এন্টাসিডেও বাড়ে জ্বলন 

ফিসফিস ব্যাঙের  জানালায় হুল্লোড়

থমথমে তুমি

বিজলিরা সিগন্যাল মানেনা বলেই
পাখিটা শব্দ খুলে 
আধেক আঁধার পোয়াতি হয়

কলিংবেলটার নিরুদ্দেশে
তাহারে আর দেখা হলোনা 

পরগমনের সময় হলো

আমায় ঘুম পাড়িয়ে দাও বর্ণ
৮-৬-২১








উন্মুক্ত বর্গ-

মতের অদম্য মিলনে ভিন্ন ঘড়িতে এলার্ম বাঁজলো 
অথচ,
আমদের 
         এক ভোর+এক বালিশ=আমরা
হওয়ার কথা ছিলো
যেহেতু, শেয়াল নোলক পড়েনা
আর, বক্ররেখা অনির্দিষ্ট ভূমিতে
উন্মুক্ত হবেনা তাই বর্গের পরিমিতি 
হাসনাহেনার ঘ্রাণে কুঁচকোবেনা বিছানার আয়তন 
উচ্চবিত্ত আলনায় ভাঁজ করা রবে খুচরো চমক 
লাল চালের গল্পে খানিক ক্ষুধা মজলেও পোয়াতি হয়না সীঁথি 
আলগা হাঁড়িতে টগবগ করে আঁচলের ওয়ারিশ 
পরের গল্পেও পরিশোধ হবেনা দিলমোহর 
কারণ, ঘৃণার ও ঘেন্না আছে
আমরা খুলে রাখবো আমাদের 
বেরহম অহং! অহঙে!









বৃষ্টির রঙে বিবাহ-

রোদথেকে খুলে পড়ছে নিয়তি জবাফুলের বিকর্ষণে 
নিউটনের বেখেয়ালে তলানি সূত্র উড়ুক্কু হলো ফের 
রাঙা ছোঁয়ায় প্রসব করলো কাশফুল
চুলের সাথে যেহেতু বনের বিভেদটা রয়েই গেলো 
কেয়াবাৎ হুইসেলে কুঁচকালো রাত 
তারাগাছটি মুড়ালো ভুমিকায় তবু
মেহেদী পাতা
রাজস্ববোর্ডের খোলাচিঠিতে সে এবং সে
অবশেষে বৃষ্টির রঙে বিবাহ





বহুগামী সম্মোধন

আপনি-তুমিতে আপনা আপনিই খুব আদুরে হয় তুমি ডাক
তবু আপনির পটেলুটে  স্বরবর্ণের ওম
বিলিকাটে তুলতুলে সিঁড়ি 
পেয়ারের ছলে নতজানু একগুচ্ছ ঋতু  গিলে নেয় ভাবনার দেহ

কবিরা তুমি হয়না, অন্তর্বাসের সেলাই খুলে নিঃস্ব রঙে 
খোঁচাখোঁচা দাড়ির আঁচড়ে, দিলমোহর করে শীৎকার 
বৈঠাহীন তত্বে আয়ত্তে আনে লোমহর্ষ বাগানের অর্বুদ  কূপ
ইশারার গণিত জব্দ করে শীতল গর্তের তরজমায়
উঁচুনিচু ঘ্রাণে ঘুরে আসে উপসনালয়
ঘনায়িত ঢেউয়ের রসে নিম্নস্তরে বহিয়ে গঙ্গা 

অথচ,তারা পিতা হয় না!

এমন সুপ্ত ডাকাতির হয়না চার্জশিট 
স্বঘ্রাণ ঠোঁটে পুষে এঠো গ্লাসটা কখনো কাঠগড়ার শপথ জপে 
একটা তুমিতেই কবর হোক সকল সকালের!

কইতর লাল হয়না বলেই
মৃত্যুর স্বাদে তোলপাড় করে বলপেনের নিপল উস্কানিমূলক ঝিরিঝিরে ফের উঁকিদেয়
ঋতুবতী দুপুরের চিবুক







ব্যক্তিগত আলিঙ্গন -

ভেজা মেহগনির পাতার দ্বন্দে সন্ধ্যার  ঘনত্বের তারতম্য হয়নি 
টুপটুপ দূরে যাওয়ায় কেঁপে উঠেছিলো শুধু দশ কিলোমিটার আড়াল
হলদে অন্ধকার তারে রূপবান করতে পারেনি
ছাওনির ঘুরপাক, তিতিক্ষা শুধু মাংস পোড়ার ঘ্রাণে বেজেছে দুরুদুরু 
তোমারে রাখা যায়নি ব্যক্তিগত কাজলে
পথের শরীর তাই যায় ঝলসে 
ঝিমঝিম কি আলিঙ্গনে সাজালো তোমায়!
একচালা স্বপ্ন বোতল বন্দি করতে পারলোনা বেপরোয়া মধুমাস 
আমাদের আর হেলে যাওয়া দেওয়াল পরিমাপ করা হলোনা
বোঝার ক্ষোভে নিভে গেলো এমন নোনা পুকুর





তানিয়া হাসান 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন