সেনাছাউনি

তবু আমাদের সমাজবদ্ধ হতে হবে
সমাজ আবদ্ধ থাকবে অসভ্য সন্ত্রাসে মৃত্যুতে
তবু আমরা প্রশ্নহীন গর্বিত মানুষ
আগে ভারতবাসী, পরে মনুষ্যত্ব দেখা যাবে!

এই মুখগুলো একদিন সুবর্ণরেখা হয়ে যেত
হাতে শুধু হাত ছাড়া অন্য কোন ইশারা ছিল না
আমরা ‘অচ্ছে দিন’ আজ আমরা শিল্প বিপ্লব
তুড়ি মেরে খুলে ফেলি সভ্যতার সমস্ত পোশাক...

এই নাও নগ্নতা, এই নাও আমার যাবতীয়
নিলামে তুলবে তাই এই নাও আমার আত্মা
এ মৃত্যু উপত্যকা আমারই তো, এই দেশ আমার

আমি তো মানুষ নই, আমি আগে ‘ভোটার-ভারতীয়!’










চণ্ডাশোক ১

আগুনের শলাকা দিয়ে লিখেছ আমার পিঠে নাম
লিখেছ মুছেছ ফের লিখেছ অক্ষরে অক্ষরে
রোমাঞ্চের জন্য তুমি হত্যা করতে ভালোবাসো?

শব্দের মধ্যে যে ভয়ংকর স্তব্ধতা আছে
সে তার ধারালো নখ রেখে যায় পাথরের গায়ে
তোমার অকথ্য দৃষ্টিতে আমাদের মুখ ছিঁড়ে যায়!

নিতান্ত শিশু আমি তবে এত উৎসব কেন
সমস্ত ছিনিয়ে নিয়ে তারপর লক্ষ্য করো আমায়
ধর্ম তার ঠোঁটের হাসিতে নিজেকেই তাচ্ছিল্য করে

ধর্মের ঠিকাদার বুঝবে না সেকথা কোনদিন

রোমাঞ্চের জন্য ক্ষুর টেনে দিয়ে সবার গলায়---

বলে যাবে ‘পক্ষ নাও পক্ষ নাও পক্ষ নাও এক্ষুনি কোন!’






















ঝিলম ত্রিবেদী

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন