শীতল চট্টোপাধ্যায়





ভুবনডাঙা

ভুবনডাঙার ঘাসেরাই
শান্তিনিকেতন সৃষ্টির ইতিহাস বুকে
অপরিবর্তনে বেঁচে আছে এখনও ৷
ঘাসেদের শিকড়ে-শিকড়ে
এখনও আটকে আছে
রবি ঠাকুরের পদচিহ্ন ৷
ঘাসের উল্টোদিকটায় লেগে আছে
নির্মল দিনের রবি বসন্তের
আনন্দ আবির ৷
ঘাসেদের চোখে লেগে আছে -
নির্ভয়ে ভুবনডাঙার মাঠে এসে দাঁড়ানোর
দোলপূর্ণিমার সেই চাঁদ ৷
ঘাসেদের কান থেকে এখনও খসে পড়েনি
মানবিক চেতনা জাগ্রত করানোর
বাউল মেলার কিছু বাউল গান আর
শিশির ভেজা ঘাসের সবুজ বুক ছুঁয়ে
রবীন্দ্রকালীন রবি উদয়ের
সেই সব শান্ত - শান্তির
শান্তিনিকেতনী ভোরেরা ৷





কিন্তু

চৈত্রের তপ্ত জলও -
জল খোঁজে বৃষ্টির শান্তি ধারায় ৷
পুকুর - ঝিলের জলচোখ তাকিয়ে থাকে
মেঘ পিওনের অপেক্ষায় ৷
অপেক্ষা চৈত্র মাসে বহুরূপীতে
শিব -পার্বতী সাজার লোক দু'টোরও ৷
শিব আর পার্বতী দুই পুরুষই
মাঠে পাট নিড়াচ্ছে এখন ৷
তারই মাঝে কান খুলে রাখে
কখন যেন পৌঁছুবে
গাজনের ঢাকের শব্দ !
ক'দিন দেহকে রং লাগিয়ে রঙিন থাকবে
শিব - পার্বতী রূপে ৷
ওই রূপেই রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময়
পাট চারাগুলো হেঁকে বলে -
আমাদের জন্মভূমিকে জঞ্জালমুক্তো রাখতে
তাড়াতাড়ি ফিরে এসো কিন্তু !



Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন