হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটি কবিতা 










সভ্যতা দাঁড়িয়ে আছে 


সভ্যতা দাঁড়িয়ে আছে 

পাখিদের ফেলে দেওয়া বীজের গাছের ছায়ায় 

বর্ষার বৃষ্টিকে সাজিয়ে দিলে দেখতে পাই 

বেশিরভাগ জায়গায় মেঘের চিহ্নমাত্র নেই 

বাকি জায়গাগুলিতে আঁকশি দিয়ে নামিয়ে আনা হচ্ছে 

মেঘেদের পরিবার 


মেঘ সরে যাওয়া আকাশের উঠোনে

কালো গর্তের শরীর 

যন্ত্রের অহংকারে অন্ধ স্টেশনগুলোর 

নাক দিয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে


এই ভরদুপুরে 

বেশিরভাগ বইয়ের পাতাই গেছে কুঁচকে 









বৃষ্টিদিনে


বৃষ্টিদিনে টিনের চালের গ্রামের পাঠশালায় 

বইয়ের পাতায় দেখা মেঘকে 

আমি সারা আকাশ হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছি 



আমার সামনে থেকে একটা শালিক 

শিস দিয়ে এমনভাবে উড়ে গেল যেন 

বোকারাই আকাশে গণ্ডি কাটে 



বাবাকে দেখতাম 

মাটির দেওয়ালে হেলান দিয়ে সারা দুপুর 

আঁকার খাতায় বৃষ্টি আনতো

বৃষ্টি বেশি হলে 

এক আধদিন নদী বাড়িতে থেকে যেত 

অথচ মেঘ নিয়ে বাবার কোনোদিন কোনো প্রশ্ন শুনি নি



ক্লান্ত হলে বাবা 

মাটির দুয়ারে এমনভাবে শুয়ে পড়ত যেন 

সভ্যতার জন্মগ্রামে নদী শুয়ে আছে 

1 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন