মন্দিরা  ঘোষ-এর কবিতা 



পাহাড়ি ফ্যান্টাসি 

১.
কাচের আড়াল ছাপিয়ে শিরশিরে শীতের নিব।হেয়ারপিন বেন্ড কাটিয়ে  কাটিয়ে যুবক রাস্তায় গেঁথে যাচ্ছে কিলোমিটারের সংজ্ঞা।অ্যাক্সিলেটর আর ব্রেকের মাঝখানে  ছটফটে দুরন্ত হিমেল  সকাল।দুপাশের স্মোকি ইশারায় ঘর্মাক্ত  পেনডেন্ট।বাইরের তাপমাত্রা  পাঁচ ডিগ্রির পার্কিং লটে জায়গা খুঁজছে।
সোনালি চুলের  দুপুরে  উৎরাইয়ের ফোলানো শিরদাঁড়া।হাড়ের ভিতর বরফ শিকারের দাপাদাপি। রোদের প্রস্থ আঁকছে রাস্তার ক্ষেত্রফল। 

২.
একটানা নামতে নামতে  বানানের জট খুলতে থাকে  সিঁড়ি । অ্যান্টিক করিডর ছাড়িয়ে  দিলখুশ বায়না।পর্দায় মাখামাখি মেঘকুয়াশার বন্দিশে ভেসে থাকে বরফের ডানা। হাট দরজায় কমা সেমিকোলন ফুলস্টপের দোলাচল  মুছে গতিমুখ পালটে দেয় রুমওয়েটার। ফোলানো মেঘের ম্যাট্রেসে টান টান একটা অঘটনের  জন্য নিশপিস  হয়রানি মেনে নেয় নীরবতা। 

৩.
জ্যোৎস্নার ঝিম মুছছে ভোরের পাহাড়।
অলীক কাচের  ডানায় মেঘের অতিশয়োক্তি থেমে যায়।টিন্টেড গ্লাস রাতের জলজ হয়রানির শিকার ।ভোরের প্রস্তুতিতে ফুটে ওঠে সাদা ঈশ্বর। ক্রমে ক্রমে ঈশ্বরেরও রং বদল । 
হিমের কুন্ঠায় রোদের এলার্ম বেজে চলে।
রোদের প্রথম  দুধ সাদা নিরিবিলিতে।

৪.
হারমিটেজের রুফটপে  আলোর শৈশব। ডি এস এল আরে চটজলদি ক্লিকে ধরা পরে যায় পাহাড়ি নাব্যতায় কুয়াশার ফ্যান্টাসি । মখমলি ভোর সরিয়ে একটু একটু  করে মুখ বের করে সমাহিত শ্বেত। 
 জাগ্রত  চাদরের নীলস্রোত আর গোলাপি  বরফে সমানুপাতিক ঈশ্বর।

৫.
পালকনীল স্কার্ফে  জড়ানো পাহাড়ের গ্রীবা ।যেন ছুটির আবদার নিয়ে কিশোরী ছল। ঠোঁটের কোলাজে বাষ্পীয়  রোদের দরবার সাজিয়ে বসে তরুণ গাছ গাছালি।সবুজ প্রাতরাশের গায়ে ঝিকমিক দিনের ক্যাটালগ । বিভঙ্গে গোপনীয়তার আড়মোড়া।লিপটন এলার্ম তাড়িয়ে দেয় ঘনিষ্ঠ উপকরণ । 
৬.
দুটি কফিমাগের উপস্থিতির বাড়বাড়ন্তে শীৎকৃত  মিথষ্ক্রিয়ার কুয়াশাঝাঁপ উপত্যকার  ফাটলে। নাম না জানা খুশির দরবেশ  রডোডেনড্রনের মুকুটে ।একদঙ্গল  তরুণ মেঘ ধোঁয়া বাড়িয়ে  দেয় রোদের শাসনে। পাললিক  ঔদ্ধত্য পিছু ছাড়ে না।
ভ্রমণের কবিতা ভুল ফেলে আসে পাহাড়ি স্কার্ফের অবাধ্যতায় ।
সমতলে তখন মেঘবৃষ্টির নানারকম।


1 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন