প্রদীপ চক্রবর্তী'র কবিতা
চাঁদনি
এক
বাগান বেগানে , গানে আঁকছে ওয়াটার লিলি
আঁকছে সাবলীল ছায়া নড়া' র শব্দ
ছায়াটি সবখানে ছড়িয়ে রয়েছে
মীনা ফুঁ দিলে সরে না ,
আমিনারঞ্জনের আঁচে রান্না হচ্ছি |
পরম হলুদ ডালিমে ভরে আছে আগুন ,
ঝিঙ্গর ডাকছে দূর বাংলাদেশে
গুণাগুণের আঁচে ক্রমাগত সুসিদ্ধ কায়া
ছায়া ওকেই পোড়াবে , গূঢ়তম মনের লাশ লোধ্র
দম্ভ দাপট দৃঢ় জলৌকার মতো লিঙ্গ ,
পোড়াবে , রক্ত ছেনে বের করে নিয়ে আসা
বিশ্বরূপ | যে কোনও নরকে থাকি
খুশিতে , ডোম্বীর মতো
ছায়ায় ছড়ানো বর্ষাবাসে হাহাময় , দেউলে প্রেরিতা
কোজা নদীর অলক তিলক রক্তে , প্রসাধনীর খেয়ালি গো
সঙ্গমে থেমো না | পাঁড় - মে তাল | ফুল বওয়া গন্ধ |
ব্লুরবিন মণিহীন বিজুরি ফুটছে পূর্বসখায়
যত ফুল নিঃশ্বাসের মধ্যে দিয়ে শরীরে নিয়েছিলাম , মন ফেলনায়
সে কী তবে তরুপিয়া ?
মানচিত্রহীন মনদেশের
কালো পচা জলাশয়ে কত আগেকার
পাতা - ডাল নির্জ্ঞান বুদ্বুদের মতো উঠে আসছে,
মন রে মুন , নিংড়ে পাঠাই ...
দুই
কুহকে কহতা ভাঙা রাধা
ধারাপাতের কণাদ কণিকা ওরা
কাকভেজা নদীও ভেঙে পড়বে
ভরা বর্ষায় , আঁঁতযন্ত্রের সুরে
নাভিমূল স্বল্প , সূক্ষ্ম , পাতলা ও হাল্কা রোমের রন্ধনপাত্র |
কেঁপে ওঠে গর্ভবাসে রাত্রিজল | আহারান্তিক আচ্ছন্ন বাঁশিবাবু ,
প্রধান জীবিকা : সম্মোহনচর্চা
শশীপুরী ছেড়ে যাচ্ছে গন্তব্যহীন পৃথিবী
স্বপ্নের শিশিতে বাসা বেঁধেছে ভ্রমর ,
জল বেঁচে ওঠে নৌকোবোধে
আমাদের মধ্যে একজন বাঁশিদের সুর দেখতে পেয়েছিলো ,
নৌকোর মৈথুনঋতু
বহুদিন পর শাওনপারাবারে পিছু নিয়েছে
কাগজের নৌকো ও কিছু হিড়িকবাজ শিশু ...
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন