আফজল আলি -র কবিতা





Rose day

আমার কবিতায় বেশিরভাগ open অর্থাৎ গোপেন কিছু নেই
প্রভাতদা একসময় বলতেন আমাদের সব open
No গোপেন
গোপনের যেমন রহস্য থাকে
Open এর তেমনি আলাদা একটা সৌন্দর্য আছে
এমনটা নয় যে কদাকার কুৎসিত সব open করে দেওয়া হচ্ছে
কর্মপ্রণালী  open থাকলে স্বচ্ছতা ধরা থাকে
আসলে আমি কিছু ঢেকে রাখতে পারি না কবিতায়
ভালোবাসাকে ভালোবাসা বলি
আবার খারাপ লাগাকে খারাপ লাগা-ই বলি
দ্রুত পায়ে যখন অন্যমনস্ক পার হয়ে যায়
যখন জীবনের অনেকটা বরবাদের কিনারায়
তখন আমার বয়েই গেছে এত ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে বলতে
এই দেখো  বুকটা আবার মোচড় কেন দিচ্ছে
কয়েক ঘণ্টা আগে তো ভালো ছিলাম
কী  একটা ঘটে গেল অলক্ষ্যে
মনে হচ্ছে এখন কেউ গোপনে কিছু করছে
সে হোক , চলো প্রিয় , একটু পিয়ানো বাজাই
মনের কষ্টগুলো open করে দিই , আজ কি rose day







ক্রমশ অভ্যাসের স্বপ্নে

বুকের ভিতর নষ্ট হয় আইসক্রিম,  ক্রমশ নিস্তেজ হয়ে আসে হাড়হিম
Capacity র বাইরে তাদের গমন ছিল সুশোভিত
মৃত্যু নিয়ে অঙ্কে একটি পেস মেকার
কোনো কিছু মিলছিল না তেমন
হত্যার প্রয়োজন ছিল নিকটে
আসলে একটা দক্ষ পথ এবং একটা সাঁকো
দূর থেকে যারা দেখছিল তাদের সপক্ষে এখন ফাল্গুন মাস কাছেই
জীবন পাল্টে দেওয়ার জন্য কী চাইছি
সমস্ত অপূর্ণতার জন্য কী চাইছি
এককাট্টা হৃদয়
হেরে যাওয়ার জন্য কিছুতেই আপোস করছি না
যে ভয় পায় সে আসলে মৃত
ছুঁয়ে দেখতেই হবে সেই আকর্ষণের তাপ
যা অখণ্ড থেকে ক্রমশ ক্রমশ অভ্যাসের স্বপ্নে ডুব দিচ্ছে
যদি এমনটা হতো আমিই তৈরি করছি আমার যাবতীয় সম্ভোগ
তাহলে আকাশ আমার নিকটবর্তী আর হাতছানি তো আছেই







একটি অনুসন্ধান

একটা সাদা অনুসন্ধান ধাওয়া করছে নীল গাড়িটিকে
কিছু যন্ত্রণা ওখানে লুকানো আছে
অতঃপর যা ঘটল
একটি সাইকেলের নিকটবর্তী হওয়া
ভাবনার  বাইরে প্রতিফলিত যে রং তাকে তাকে
আমি ঘামছিলাম মেঘের বিচ্যুতি দেখে
পূর্ববর্তী সব অবস্থান ক্ষণিক,  ঝুঁকছিল ওরা
ভীষণ অন্যমনস্কতায় ঢলে পড়ছিল সময়
দুঃখের হদিসে ওই তো দেখা যায় রক্তের দাগ
খুব বেশি চাপ লাগছে মাথায়
বুঝতে পারি সুন্দরের থাকে আরো কিছু প্রকোপ পরবর্তী
এখন এক একটা পর্ব কেবল ধরাশায়ী করছে







নিঃশব্দের নিশ্বাস

ছেঁড়া জামার শব্দ হয় না , অথচ কাগজ ছেঁড়ার সময় বলছিলে চুপ থাকো
ঘূর্ণাবর্ত এসে পৌঁছেছে হাতে
আগ্রাসন জুড়ে তাদের ভালো থাকার উপলব্ধি
শীত প্রকৃত পক্ষে উচ্চ শ্রেণীর
তবু বিলিবন্টন হয় ওদের জন্য কিছু খোয়াব জুড়ে
আত্মগোপন পছন্দ করা মানুষেরা বলছিল না কথা
দূরে হচ্ছিল শব্দের আওয়াজ
কিন্ত নিঃশব্দের নিশ্বাস যেন বড়োই উপোসময়
বন্ধুরা ছেড়ে চলে যায়
যাদের জন্য লড়াইটা ছিল জরুরি ছুরি হাতে বেরিয়েছিল তারাই
না না এখন মনখারাপের সময় নয়
নির্দোষ প্রমাণ করেই বা কী হবে
বরং টানাটানি করে মন ছিঁড়ে দাও , কুয়াশা ভালোবাসবে এসে







নীল রঙের জ্যোৎস্না

সমস্ত negative এর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আমি ঘোষণা দিচ্ছি
আমার সোয়েটারের রং কালো
হাতে ফলের রস , ওদিকে নীল রঙের জ্যোৎস্না
একটা হাইব্রিড মন অত্যন্ত দোলাচল
আমার নিশ্বাসে স্থির হয়ে আছে কিছুটা বিশ্বাস
প্রেমের কবিতাগুলো ধরে এনে দু চারটে গালাগাল দিই
চোখ কি এখনও সেই মোহময়
ধ্যান বিন্দুতে অতিরিক্ত মেদ সহ্য হয় না যাদের
তাদের কথা আজ বলব না
তাহলে কি  ঢিল ছুঁড়ব আন্দাজেই
নাকি গোরুর গল্পে টেনে আনব পাতা-ঝরার সংলাপ
দেখেছ , ঠিক ভুলে গেছি
প্রচন্ড যন্ত্রণার পর যখন কান্না নেমে আসছিল
ঠিক তখনই ট্রেনের হুইশেল,  পাশ দিয়ে দিলরুবা মেরি জান
ওহ হো , কেন যে স্মৃতির কথা মনে পড়ছে না
এই উতলা নিয়ে কীভাবে সমৃদ্ধ হব
ডানদিকের শিরায় হদিস নির্ণয় করছে যাবতীয় নির্দোষ
মনে পড়েছে গতকাল ছিলে পাশে
আমি হাত ধরে বেড়াতে গিয়েছিলাম তখন কলিজা পোড়া দেখতে

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন