দেবকুমার দাস-এর কবিতা
ভাঙা রোদ ও টাইপ করা শব্দের সিরিজ
৬.
বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। জল কাদার সাইকেল
পুরোনো লেখাপত্র থেকে এক টানে নামিয়ে আনি
ভ্রমণ
আর হিমায়িত বিয়ার খুব নদী প্রবন
ডুয়ার্স জঙ্গলে দক্ষিণ রায়ের থাবা
কুয়াশা ভেদ করে রাত লন্ঠন দোলে
হাওয়া খোর পাখি। ঝিঁঝিঁ জঙ্গলে
সব ছেড়ে নেমে পড়ি। তড়িঘড়ি ভাত খাই শীতে
৭.
জল পাহাড়ের দিকে চলে যাই
অপঠিত জানলার দিকে, আর
গুজব ছড়িয়ে পড়ে শহরে
টান টান মন মেজাজ। বারান্দা পাখনায়
ফুরিয়ে আসছে জলবায়ু। কথা প্রসঙ্গ।
মাটি খুঁড়ে তুলে আনি ফসিল পাখি
নদীগুলো জন্ম দাগের গান গায়। হিম রাস্তার
ধারে বসত বাড়ি। নিম গাছ।
আর ব্যারিকেড ভেঙে বেরিয়ে আসে মেঘ দল
৮.
কলসের গঠন প্রনালী থেকে উড়ে আসে পাখি
আর ঘড়ির অন্তর্নিহিত সার হয়ে উঠতে থাকে
পাহাড়ি ঝর্ণা
কিছুটা দূরে বাস থামে। মিথ্যার আড়ালে সত্য।
খুঁজে খুঁজে বার করে বৌ। স্পষ্ট দেখা যায়
জলপাহাড়। পায়ে পায়ে চলা পথ।
৯.
শহর সম্পর্কে ধারণা তৈরি হয়ে যায়
নদীটির ভাঙা মন আছে....
সুপ্রাচীণ পুথ-পত্র থেকে উড়ে আসে মথ
আবহ সঙ্গীতে বন্ধুরা সংসার টেনে নিয়ে চলে
জলবিভাজিকার দিকে
সহসাই সংবাদ পত্রে শকুন্তলার হরিণেরা
প্রকাশিত হয়ে পড়ে
১০.
বারান্দা পাখনা রেডিয়তে শুনে নিতে চায়
ভ্রমণ ও শীতকাল
নদীটিও প্রেমিক চিনে ফেলে ঘুমন্ত এক্সপ্রেস
ট্রেনের গানের পাশে
তাহলেকি সমস্ত পথ ঘুরে গেছে গানবাউলের
চোখের পাতায়
লেগুনের তারা খসা জানলায় অন্ত মিল নেই
হরিণের মাঠ বুকের ভিতর
সমস্ত মা ও শিশু ভোর চারটেয় জেগে ওঠে
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন