বাসুদেব দাস: ১৯৫৮ সনে অসমের নগাঁও জেলার যমুনামুখে বাসুদেব দাসের জন্ম হয়। শৈশব কেটেছে গুয়াহাটি শহরে। ১৯৮২ সনে গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্য ও ভাষাতত্ত্বে এম এ করেন। আজ পর্যন্ত অসমিয়া অনূদিত গল্পের সংখ্যা পাঁচশো পঞ্চাশটির ও বেশি। সরকারি চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়ে নিয়মিত ভাবে অসমিয়া গল্প,কবিতা,প্রবন্ধ এবং উপন্যাস অনুবাদ করে চলেছেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়,নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়,ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমন্ত্রণ পেয়ে সাহিত্য এবং অনুবাদ সম্পর্কে গবেষণা পত্র পাঠ করেছেন। গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপরিচিত সন্থা NEINAD এর পক্ষ থেকে অসমিয়া ভাষা-সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসারের জন্য Distinguished Life Membership এর দ্বারা সম্মানিত করা হয়। প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ২৪টি।
নীলিমা ঠাকুরীয়া হক-এর কবিতা
বাংলা ভাষান্তরে: বাসুদেব দাস
১
নদীরও নরক থাকে
কোমরের বিহুবতী ভাঁজ যখন আমন্ত্রণ করে মানুষকে
নারী হয়ে উঠে নদী
উন্মুক্ত দুইপারে জেগে উঠে জনপদ
আশ্চর্য বেগবতী গ্রামগুলি আর নগরগুলি
নগরগুলি এবং মানুষগুলি পাড়ি দেয় মহানগরের দিকে
হরিণার মতো থেমে যায় নদী
আবেগহীন স্রোতে জমা হয়
মর্মান্তিক ক্লেদের স্তর
এখান থেকেই আরম্ভ হয় নরক
আবর্জনা বয়ে বয়ে ক্লান্ত নদী
কামিহাড়ের সেতুতে পা ঝুলিয়ে বসেছে ঘুম
কী ধরনের ঘুম!বিকেলও চোখ বুজে নেয় এই জলে
নাকে রুমাল চেপে পার হয়ে যায় সন্ধ্যা
সজল চোখে সোনালি অতীতের ছায়া
সেই ছায়া কাঁপে কি জলে
মরা মাছগুলির শাপে জ্যোৎস্না কাঁপে
আমার ইঙ্গিতময় আঙ্গুলগুলি
আত্মাহীন সুখে-ভোগে নগ্ন সাবলীল
কেমন ধড়ফড় টেনে আনার জন্য নদীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ঘর
ঠাঁই না পাওয়া প্রাণবায়ুতে নদীও ডুবে
মরা মাছগুলির শাপে জ্যোৎস্না কাঁপে
এক খণ্ড নরকে ভেসে থাকে নদীর ভেলা
ভেসে থাকে,পথ চেয়ে থাকে
পথ চেয়ে থাকে,ফুলে থাকে
বর্ষা এলে আঙ্গুলগুলির খোঁজে আসে
ফিরে পেতে শ্বাস-প্রশ্বাসের ঘর
সেটা কি আক্রোশ নদীর
টীকাঃ
কামিহার-বুকের চ্যাপ্টা হাড়
গর্ভপাত
২
কথা না বলা বিছানা
না বলা কথার বিছানা
ধাতব শীতল শয্যায় জমাট বাঁধে যন্ত্রণা
সোপান যেখানে স্বপ্নের ভগ্ন মুখ
ধাপে ধাপে ভাঙ্গা কাচ মাড়িয়ে
উঠে এসেছে মেয়েটি
প্রেম থেকে অপ্রেমের পাটিতে
দস্তানা পরা হাতগুলির পাশে
সজল সকরুণ একটি ভ্রুণের চিৎকার
পিছলে পড়েছে। থেমে থেমে কাঁপছে
নাভির নিচ থেকে উঠে আসা অন্য একটি চিৎকার
কামড়ে ধরছে কলজেয়
কে জানে যে খসে পড়েছে আজ
আজীবন খসাবে তাকে।নির্জনে
নিরালায়
একটি ভ্রূণের চিৎকার
এখন তো কিছুই বলতে পারি না
দস্তানা পরা হাতগুলি ফিসফিস করছে
সবকিছু ঠিকঠাক আছে
কথা না বলা বিছানায়
ঠিকই আছে
পরিচ্ছন্ন সমাধি প্রেমের
সমাজের সম্ভ্রান্ত চাহনি
গর্ভ চেঁছে আনা রক্তে
ডুবে আছে মেয়েটি
বিজয় শংকর বর্মন-এর কবিতা
বাংলা ভাষান্তরে:বাসুদেব দাস
১
ঘুড়ি
নির্জন পাহাড়ের মন্দিরের একটা ঘন্টায়
একটা কোমল সুতোয় বেঁধে রেখেছ আমাকে
আর তুমি
উড়ে বেড়াচ্ছ
পশ্চিম থেকে আসা বাতাসে
ঘণ্টাটা কেঁপে উঠছে
বর্ষার প্রথম বৃষ্টির মতোই
আমি পড়েছি
ঘাসের বুকে
তুমি কোথায়
পাহাড়টার চুড়োয়
শীর্ণ গাছগুলির আড়াল দিয়ে
নেমে গেছে সূর্য
ঝাউবনের আগে বিদীর্ণ করা খোলা বুক
রাত অপেক্ষা করছে
উড়ে উড়ে গিয়ে
তুমিও কি পথ হারিয়েছ
খসে পড়েছ কি
বাঁশবনের মধ্যে
সবার অজান্তে
২
তিনি
শ্রাবণের এক রাতে
ধারাসার বৃষ্টিতে
গ্রামের বটগাছের নিচে
মানুষটাকে ভিজে থাকতে দেখেছিলাম
ল্যাম্পের কাঁপা আলোতে
তাঁর আঙ্গুলগুলি কুঁচকে যেতে দেখেছিলাম
বেরিয়ে আসা হনুর ওপরে
দাড়িগুলি নিয়ে তিনি যেন জ্বলে উঠেছিলেন
আমি তাকে পথ দেখিয়ে দিয়েছিলাম
পা টিপে টিপে তিনি যেতে পারছিলেন না
পাহাড়িয়া পথটা দিয়ে
বসে পড়েছিলেন তিনি শেওলা পড়া একটা পাথরে
আমাকে হাতে ধরে টেনেছিলেন
আমিও বসে পড়েছিলাম সেই পিছল পাথরটাতে
সমস্ত সময়টা
তিনি কিছুই বলেননি
ওপর দিকে তাকিয়ে
কিছু যেন শুনতে চেষ্টা করেছিলেন
তন্ময় হয়ে
বজ্রপাতের আলোতে
চোখে চোখ পড়ায় আমি দেখেছিলাম
ফুলে উঠা তাঁর চোখের কাদা ভেঙ্গে
রক্তের দুটো ধারা
বয়ে আসা
বাংলা ভাষান্তরে: বাসুদেব দাস
১
মানুষ হওয়ার চেয়ে গাছ হওয়াই ভালো
মানুষেরা গাছ
এটাও একটা লজিক
গাছ হওয়া সহজ
যেভাবে সহজ-
কবি হওয়া
ডাক্তার হওয়া
অফিসার হওয়া
সহজ নয় কেবল
গাছের ভেতরের মানুষ হওয়া
মাঠের ভেতরের নদী হওয়া
মানুষ হওয়ার চেয়ে গাছ
হওয়াই ভালো
নদী হওয়াই ভালো
নদী হলেই বয়ে যেতে পারি
মানুষ হলে
কথা বলতে হয়
প্রতিবাদ করতে হয়
এখন কথা মানেই বিশৃঙ্খ্লা
প্রতিবাদ মানেই বিশৃঙ্খ্লা
ডাকের বচন
‘কথায় কথা কাটা যায় কথায় পুরস্কার পায়’
বুদ্ধিমানরা কম কথা বলে
কথা কম বললে
আয়ু বাড়ে
প্রিয় মাঠ
তোর বুকের গাছগুলি মরেছে
কঠিয়া জন্মাতে গিয়ে
ঢেঁকীয়া জন্মেছে।
২
ঈশ্বরের ঠিকানা
সিকোয়েন্স এক
মসজিদের দুয়ারমুখে
জীর্ণ একটি হাত
অন্য একটি হাত লাঠিতে ভর করে আছে ।
শূন্যতার একবাটি দীর্ঘশ্বাস থলেতে ভরে
পূর্ণতার ঠিকানার খোঁজে চলে যায়
সিকোয়েন্স দুই
মন্দিরের দুয়ারমুখে
জীর্ণ একটি হাত
যে হাত আপনি মসজিদের
দুয়ারমুখে দেখেছিলেন
অন্য একটি হাত লাঠিতে ভর করে আছে ।
শূন্যতা থলের সহোদর
সিকোয়েন্স তিন
গির্জার সম্মুখভাগ
দীর্ঘ সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠছে
যিশুর আত্মীয়
সিঁড়িতে সেই জীর্ণ হাত
যাকে আপনি শূন্যতার সহোদর বলে জেনেছেন
হাতের তালুতে দুঃখ নামে একমুঠো ক্ষুধা
সিকোয়েন্স চার
সময় গোধুলি
মদিরালয়ের বহির্ভাগ
সেই জীর্ণ হাত
দেখতে দেখতে ক্ষুধা দূরীকরণের মুদ্রায়
উজ্জ্বল হয়ে ওঠল হাতটা
হাতের তালুতে পূর্ণতার একবাটি ফটিকা
সিকোয়েন্স পাঁচ
একটি দীর্ঘ নিঃসঙ্গ পথ
ক্ষুধার অন্ধকার,নির্বাপিত হওয়ার আশার একটি পথ)
সুখের বৃষ্টিতে ভিজে এগিয়ে চলেছে হাত পেতে থাকা মানুষটি
অন্য হাতে স্বপ্ন মেখে
দুরে মিটিমিটি জ্বলছে প্রদীপ
হাত পেতে থাকা মানুষটি আলোর পথ খুঁজে অন্ধকারে
হারায়
অফ ভয়েস
প্রভু কী যে তোমার মহিমা
তুমি থাক এক জায়গায় আর ঠিকানা দাও অন্য কোনোখানের।
বাংলা ভাষান্তরে: বাসুদেব দাস
১
সুখী মানুষ
সুখী মানুষগুলি নগরে থাকে
নাগরিক
দুঃখী মানুষগুলি গ্রামে থাকে
জনগণ
সুখী মানুষগুলি নগরের উঁচু ঘরগুলির বাসিন্দা
তাঁদের ঘরের উঠোন থাকে না
তাঁরা টবে রোপণ করে তুলসী
দুয়ার মুখের কুড়িজোড়া স্যান্ডেল ঘিরে রাখে সেই টাব
তাঁরা ড্রয়িং রুমে বাগিচা পাতেন
প্লাস্টিকের ফুলে ভরে থাকে তাদের মণিকোঠা
সুখী মানুষগুলির গোয়াল থাকে না
তাঁদের ঘরের ভেতরে কুকুরের জন্য থাকে
আলাদা বিছানা
সুখী মানুষদের প্রিয় নেশা ব্যবসা
তাঁরা ব্যবসা করে,মানুষ এমনকি ঈশ্বরের ও
সুখী মানুষদের প্রিয় খেলা নির্বাচন
প্রিয় শিকার ন্যায়
সুখী মানুষেরা শ্রম অথবা বুদ্ধি বিক্রি করে না
বিক্রি করে বিবেক আর স্বাক্ষর
তাঁরা পান করে দুঃখী মানুষের স্বপ্ন
আর বমি করে ক্ষুধার মহামারী
সুখী মানুষেরা দর্শন করতে পারে না সূর্যোদয়,
স্পর্শ করতে পারে না মাটি
সুখী মানুষেরা বৃষ্টিতে ভিজতে পারে না
সুখী মানুষেরা ক্ষুধা থাকলেও খেতে পারে না
শোক থাকলেও কাঁদতে পারে না
তাঁরা মেনে চলে
বর্ধিত কোলেস্টরল আর উচ্চ রক্তচাপের হুশিয়ারি
সুখী মানুষেরা খবরের কাগজ পড়ে না
খবর হয়ে প্রথম পৃষ্ঠায় থাকে
সুখী মানুষের স্বপ্নের নাম দুঃখ
সুখী মানুষের পত্নীর নাম দুঃখ
সুখী মানুষের সন্তানের নাম অসুখ
সুখী মানুষদের ঘাম বেরোয় না
যদিও ঘন ঘন কাপড় বদলায়
সুখী মানুষদের পোশাকের নাম সুখ
পোশাকের নিচে তাঁরা বয়ে বেড়ায় দুঃখ
সুখী মানুষেরা
পৃথিবী জুড়ে ছড়ায় দুঃখের বীজাণু
দেশে দেশে আকাল আক্রান্ত সোমালিয়া
গ্রামে গ্রামে পুষ্টিহী্ন জনগণ।
২
নির্যাতিত নাগরিক
আমি কে
স্বভাবে দৃঢ়
দেখি সহজ স্বপ্ন
কখনও দেখিনি ঈদের চাঁদ
কে আমি
শ্রাবণে মাঠ সাজাই,
অগ্রহায়নে কার উঠোন উপচায়।
ঋণের দায় সারার জন্য আমিই দুপুর রাতে
তেঁতুল গাছের খোঁজে যাই
আমি কে
কলকারখানায় ঘাম ফেলি,
ভোগের সাম্রাজ্য সাজাই।
ফটিকায় দুঃখকে পরাই শিকল
যুগ যুগ ধরে আমিই বুঝলাম না
কীভাবে করা হয় মজুরি চুরি
বুঝলাম না শেয়ারবাজারে কখনও বাজে
সকরুণ বাঁশি
আমি কে
অকাল বৈধব্যের মতো দুঃখ যাপন করা
আমিই নাকি নিউইয়র্ক, প্যারিস, লন্ডন
অথবা দুবাই- মুম্বাইর অসহায় ছাঁটাই শ্রমিক
কে আমি
তাঁতে স্বপ্নের বীজ বুনি
দুঃস্বপ্নের আঁচলে চোখের জল মুছি,
তুলসি তলায় প্রদীপ জ্বালিয়ে সুদিন তাড়াই...।
প্রাঞ্জল হাজরিকা-র কবিতা
বাংলা ভাষান্তরে: বাসুদেব দাস
একটি রাজপথ এবং ডাস্টবিনটা
রাজপথ
আমি নিজেকে ছেঁচড়ে নিয়ে এলাম
একটা কোলাহলপূর্ণ আবর্জনা থেকে
নিজেই নিজেকে
মুক্ত বলে ঘোষণা করলাম।
টকটকে ফর্সা মেয়েটি পড়ে আছে ফুটপাতে,
সামাজিকভাবে মৃত
কাক পড়েছে
মেয়েটি লাল থেকেও লাল হয়ে উঠেছে।
এতো গন্ধ ছড়াচ্ছে!
ডাস্টবিন
কতদিন আর তুমি অনাহারে থাকবে
একটা পচা লাল আপেল সেজান আঁকছে ।
ছবিতে না থাকা কথাটা
ফিসফিস করে বলছি শোনো…
( এক টুকরো রুটির জন্যই
কুকুরটি এবং পাগলি মেয়েটির মধ্যে সব সময় ঝগড়া)
বিপরীত
মূল অসমিয়া থেকে বাংলা অনুবাদ– বাসুদেব দাস
সূর্যটা কিছুক্ষণ পরেই ডুববে রক্তের নদীতে।
জানালাগুলি বন্ধ করে ফেলা হবে, যার ফাঁক দিয়ে
দেখেছিলাম ফুলের সঙ্গে এক টুকরো নিঃসঙ্গ মেঘ।
আমি দুঃখিত, সূর্য চলে যাওয়ার জন্যই
এখন উষ্ণতা অন্ধকারে
ঘুমিয়ে পড়বে ছোট শহরটা।
ভয়াতুর রাতের মোমটি
হলদে পুড়ে ফেলবে।
ক্যানভাসে, আমি আমার দিকে তাকিয়ে থাকি
আমার বিপরীতে।
যেভাবে আকাশটা তারাগুলির সঙ্গে নাচছে
এত উজ্জ্বল।
আর ছোট শহরটা শুয়ে আছে
অন্ধকার
অন্ধকারে।
(ভ্যান গগের বিখ্যাত ছবি The Starry Night এর দ্বারা প্রভাবিত)
গীতুমণি তালুকদার-এর কবিতা
বাংলা ভাষান্তরে: বাসুদেব দাস
১
ডানায় হেলান দিয়ে
কালের ডানায় হেলান দিয়ে
একটা স্বপ্ন
দালানে
দাঁত বের করে হাসছে
দেওয়ালের আভিজাত্যে
ধাক্কা খেয়ে
ছিটকে পড়ে
নৈশব্দে
উলম্বে দুলতে থাকে
পেটের সূর্য
কপাল দিয়ে বয়ে আসে
লবণাক্ত স্রোত
পিঠে সূর্যটাকে নিয়ে
মহলগুলি যেতে থাকে
ওপরের দিকে
ওপরের দিকে
ছিনিয়ে আনবে
আকাশের তারা
মহলের যাদুকরী মায়ায়
আকাশ পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত হয়
স্বপ্নের পথ
আর
তখনই
ভূমা থেকে ভূমির খোঁজে
উল্কার আঁচলে
নেমে আসে
সময়...
২
যন্ত্রণার একটি স্রোত
হঠাৎ বিস্ফোরণ হল
একটি নিষিদ্ধ বিস্ফোটক
হন্তদন্ত হয়ে
উজিয়ে এল
প্রচন্ড একটা ব্যথা
পরিত্রাণ নেই
পরিত্রাণ নেই
বিস্ফোটক
পায়নি
মাত্রার পূর্ণতা
ডাক্তারঃ ইনজেকশন
কবিরাজঃ বজ্রলেপন
কাঁটা ফুটানো
ইনি রণচন্ডী মহিলা না
পুঁজের আগ্নেয়গিরি
নিঃশ্বাসের মধ্য দিয়ে
নিষিদ্ধ বেড়ার ফুটো দিয়ে
পরম স্বস্তিতে বয়ে গেল
লাভার একটি যন্ত্রণার স্রোত….
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন