প্রশান্ত গুহমজুমদার-এর গুচ্ছ কবিতা 





বেলাছোটর ক্যাকোফোনি 

৫। 
এবং ভ্রান্তি। বাজারের এই সব ফুল। সমূহ সিক্ত। আলোছায়া বহুদূর যায়। মাস্তুল অবধি। ডানার বিস্তার। লোককথার। বিশেষণে পথ আসে। গ্রহণের। দাওয়াত-এ বিশ্বাস করি। এবং সরল গ্রহণে। বিছানায়। অতঃপর ধুলো কালি ছাই। বর্জন উড়িতে থাকে। অপরাহ্ণকথা বলি। শরতচন্দ্রের রাত্রি। কখনো কবিতা।


৬। 
যেটুকু পারি আর যেটুকু পারি নাই, সেই সবই একদিন পরী হয়ে যায়। আহা, দুলুনি কোল দেয় আর ঘুম আসে। আর ঘুমের মধ্যে দরজা, একটি মেয়ে আর একমাথা চুল। এসব হয়, হইয়া থাকে, দুলুনি আনে তাহাদের। এক সাদাচুল চুলের মধ্যে চুল আঁকে। স্তনদুটির মধ্যে অতীব স্তন। আর ওষ্ঠ। চুল, মাথায় এক চুল লইয়া ভাবিতে থাকে দুপুর কি দুপুর ভাঙিয়া! এর পর অন্ধকার, সাদা দরজা, কেউ উঠিয়া আসিবে, কেহ নামিবে? জানালাটা বন্ধ করে নাই কেন! জোড় হইতে বিজোড়ে শব্দ যায়, স্মৃতি। এক মাথা চুল, দেখি, আড়ালে যায়, ক্রমশ যাইতে থাকে।


৭। 
রজ্জু বলিয়া ভ্রম না হওয়াই বাঞ্ছনীয়। বস্তুত কালের স্পর্শে ইহা গোপন সর্প। ছিন্ন সুতোসব।তাৎক্ষণিক আলোয় কেবল নিরীহ মাত্র। বিলম্বের হেতু। আজন্ম সঙ্গীতের সূত্রে। মস্যাধার, নিঃস্ব হইতেছে, যাহা স্বাভাবিক। তুমি সে জটের প্রারম্ভ উদ্ধার করিয়াছ। বহন করিয়াছ গোল সিঁড়ি অবধি সে সাদা। চুম্বনে তৃপ্ত। ফুরাইয়া আসিতেছে। এইখানে আর কোন অব্যয় অথবা সর্বনাম ভিড় করিবে না। সমুদায় পর্বের তো সীমারেখা আছে! নিকট হইতে দূরে যায় ক্রমে সে বৃত্ত, কালো। জল হইতে। আয়ুরেখা হইতে। সাদা পর্যন্ত। সে সর্পের,  আজ বলিতে দ্বিধা নাই,  সে সৌজন্যবোধ ছিল। স্বপ্ন ছিল না।

৮। 
অনবদ্য ছিল সে সংহার। কেবল বাতাবি। কেবল কামিনী। কেবল গন্ধ। মানুষের। কাঠকুটোর। রক্তের। তখনো জলের কল। তখনো আখা। তখনো সিঁড়ির ভাজে অশ্রু। কেবল অন্ধকার। কেবল নৈঃশব্দ্য।  কেবল দূরে যাওয়া। জলের শব্দ। পানা ছেঁড়ার শব্দ। আগামীর ছিঁড়ে যাওয়া। যাই আমি। আমি। কত কিছুতেই সে যাত্রা। মুখোশ অথবা সহ। এ প্রকারেই সহনীয় সাদা, গন্ধ, আলোর অন্ধ কিংবা ঘড়ি। কোলাহলেও।


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন