বিশ্বজিৎ দাসের কবিতা



অসুখ

১.

বিশ্বাসের মাঝে শুধু রক্তপচা পোঁকা
অস্তিত্বের মতো এমন দারুণ রাতে কিলবিল করে
আমার শুধুই মনেহয় এ এক পেচ্ছাপখানা,
থুতু ফেলি আর দেখি, এখানে প্রস্রাব...


তেইশ বছর পর আয়নায় ডুবেছি
তখন মাংসের দাম কম ছিল, চরিত্র উড়েছে
ঘেন্নার চেয়েও কম দামে; সময়টা গুলিয়ে যাচ্ছে
তেইশ না মাথায় ঘিলুর মৃদু শব্দ...

প্রতিরাতে জ্যোৎস্নার সাথে কথা বলি
ধুয়ে দাও সমস্ত শরীর, শব থেকে বের করো
শীতল রক্তের ঘুম; মিথ্যে আলাপের ফাঁকে রাখো
নির্মম ঠাট্টার সুখ। যেন মরতে পারি,

মরার আগেই; যেন বুঝতে পারি অসুখ কেমন?




২.

প্রতিদিন পাজরের কান্না শুনি আমি
শুকনো রক্তে হাসে গ্রহণের ধূর্ত চাঁদ
রাশি রাশি ভাত আর লজ্জাহীন ঘাম
মিশে যাচ্ছে নেভানো আলোর অবজ্ঞায়

আমি শ্বাস নিচ্ছি শ্বাপদের মতো। থামি।
সোজা রাস্তা বিড়ালের ঘুম ছিঁড়ে লিখছে
জন্মান্তরের ফাঁদে রাখা ইচ্ছা মৃত্যু,
যেন কিছু হয়নি; যেন শিরার অসুখ!

শব বেধে রাখা এই কষা জীবনের
পিছনে পিছনে হাঁটছি শুধুই একাকী...



৩.

এই মৃত্যুহীন লজ্জার শিয়রে বসে
মর্গের বিষণ্ণ হাত। ইশারায় ডাকে,
সমস্ত ব্যর্থতা ভুলে যখন হেসেছে
থ্যাঁতলানো মুখের লোকটি! বসন্তের দাগ মেশানো
সেই মুখে একদিন ভালোবেসেছিল,
ঘুমের ভেতরে থাকা অলীক অন্ধকারের পা'কে!


তারপর বহুদিন
আসন্ন থুতুর কাছে নুয়ে
ঘাড়ের দুপাশে হাত রেখে ক্ষত ঝেড়ে
আরও একবার দাঁড়ানোর চেষ্টা! শব হওয়া স্বপ্ন
মিশেছে অজ্ঞাতে তাঁর, আমি কি সে লাশ?

1 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন