রুবি রায়-এর গুচ্ছ কবিতা 





জুতো

১০ পার্সেন্ট ডিসকাউন্টে সূর্যরশ্মি উচ্ছ্বলিত
হলে রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো কতগুলো
কালো মেঘের দলা--
ডার্কস্পট হয়ে লেগে থাকে 
যাদের গায়ে আকাশনীল জামা সেঁটে 
থাকে না...
               ভাঁদুলী ব্রতের মতো সমবেত সুন্দর হাসি 

রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ডিপি চেঞ্জ করে হেটে যাই 
      হাইহিলে পিষে যায় ছায়াদের মন,আনন্দ ।
স্বপ্ন দেখে পাংশা ঘাম নিয়ে উঠে বসি 
নির্মেদ দুটোর ঘন্টা সম্বোধনী ইঙ্গিতে 
জানিয়ে দিচ্ছে --
মেঘেদের সাথে ঘুমিয়ে পড়েছে লালু-ভালু-বুলেট 

আমি দেখলাম মেঘেরা গলে ডুবিয়ে দিচ্ছে শ্বাস 
         
            কতগুলো মানুষ চিৎকার শুনেও
                     চলে যায় 
             তারা পিছনে তাকাচ্ছে না 
                     তাকায় না 
ভায়োলিন ফ্ল্যাশব্যাকে তীব্র হচ্ছে
আরও কিছু নানান মাপের 
          জুতোর শব্দ ।

                              



আমি আর খুন 

                জীবন
                      তারপর গামী

ইছামতীর কোলে বেড়ে ওঠা যৌবন
কচলে নেয় সাড়ে সাত সকাল
  
                অভিমানী ভরসা
সদ্যস্নাত মৃত্যুর কাধে বেলি ড্যান্স করে

এইভাবে প্রতিটা গ্রহণের যৌনাঙ্গে লুকিয়ে
থাকে তারপর....
আর তন্দ্রালু বুদ্ধির পিছন মেরে ভাবি
রাধার প্রেম গড়িয়ে নামুক আমার পাকদন্ডি বেঁয়ে--

কোনো বাসন্তী হৃদয়ের মুখাগ্নি করে 
গাভীন টাইপিং-এ খেলিয়ে নিই
            আমার আঙুলগুলো

ব্ল্যাককফির ঘন চুলে ডুবে যাক
শতাব্দীচ্ছিন্ন জোনাকির আলো ।





ফিরে যাই 

এই যো বাতাসে কিওকার্পিন গন্ধ
     তোমার থুতনি থেকে সম্পাদিত 
                 আদর....
           ঘন আদর
যেখানে কস্তুরী বিকেলে তারারা ছটফট করে

হাঁসুলী বাঁকের পশ্চিমে রেখেছি
                               গোটা সমাজ 
কোঁপাই জলে ডুবে তোমার তিন দশ সাতে দন্ডী কাটব 
দুটো জিভে বাঁজিয়ে তুলব বিসমিল্লা সুর 

                সাম্যানুপাত ছায়া....

বিষ্ণুপুরী কীর্তনের মতো মুক্ত হয়ে ছুটে বেড়াবে--
ঘেটে দেবে রুয়েলিয়ার বন

তোমায় একটা চিঠি লিখব ভেগা--
আমাকে কুয়াশার মতো মেখে নাও 
            নচেৎ
ফিরে যাই সবার টেলিস্কোপে ।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন