দেবীপ্রসাদ বটব্যাল--এর গুচ্ছ কবিতা 





স্যাপিও

এই নাও ,  খাও,
নাভি, --
উপরে ও নীচে  ক্রমান্বয়ে
স্তন আর যোনি

সন্তর্পণে ওঠো !
সাপের জিভের ন্যায় চেটে নাও ঠোঁট
এই নাও,  খাও
ঘিলু ও করোটি

আমি নীচে নেমে যাব কামড়ের শেষে
শিশ্নের অবশিষ্টে--

নংপুশক আনন্দের মতো
চুষে খাব তোমার মজ্জাটি

এই নাও, খাও,
না থাক, হাততালি দাও




জলপাই গাছ

আমার দু নম্বর প্রেমিকার বাড়ির গেটে
একটা জলপাই গাছ ছিল।

দীর্ঘ  আলাপী গাছ।

গায়ে হাত বুলোতে বুলোতে
গাছের মতো মুখবুজে মার খেয়েছিলুম যেদিন
'ও' বলেছিল, দৃষ্টান্ত হবার কথা।

তারপর থেকে কত
চাঁদ পেড়েছি! বৃক্ষ ধৈর্য্যে।

বেমালুম ভুলে গেছি খিদে অপমান।

আমার  দু নম্বরী প্রেমিকা খুশি হয়েছিল
'স্বপন' স্ব মিল যেদিন সদলবলে এলো।




ছায়া'গন্ধ

সব মায়া টেকে না।  টুকরো হয়।
পথের বাড়তি চাহিদায়
ধড় কাটা বকুলের মতো।

আমাদের ভিতরে অন্তবর্তী গন্ধটুকু
টিকে থাকে

যে মায়া মৃত, দিগন্ত পেরিয়ে  যায়,
তাকিয়ে থাকি তাদের ছায়ায়...

সেই গন্ধ'ছায়া আমাদের আয়ুর বয়সি

হাত ধরে পার করে দেয়--- দগ্ধ দিন ।




মাংসতন্ত্র 

এতদিন ভেবেছি
পান্নার রং লাল
আঙুলে  সবুজ চুনিটি

প্রথম খুনের আগে
হাত কাঁপা দেখে অনুমান
খুনির হৃদপিণ্ডের  নীচে
হৃদয় আছে আরেকটি

রাত অত্যাচারিত হবে বলে
সাজায় অন্ধকার।     পাশে তার,
আগুন নদীর বুকে একটি জলের তারার
বিম্বছায়া রেখে দেয় চোখ

অণিমা লব্ধজ্ঞানে
মাংসতন্ত্রের ছুরির সিদ্ধাই
পরখ করে মারন ধার




বিম্ব

জলের শব্দ আমি চিনি,

যেমন তুমি আগুনের
হাতছানি

ঝড়ের শব্দ... গাছ

ভাঙা ডালের উড়াল পাখি,
পতন ধ্বনি

জানালায় এসেছিল বটে ,
আধো আলো। চাঁদেরও ভাগ্য ভালো,
আরশি  দেখেনি



1 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন