অমল বসু-র কয়েকটি দশ লাইন
হেলা বটতলা
বটগাছটা পড়তে গিয়েও পড়েনি
হেলে থেকে নামিয়ে ছিল ঝুড়ি ঋ
রাস্তা হল লাইট এলো বাসস্ট্যান্ড
হেলা বটে মানতের সুতো ওঁ
অগুনতি লাল দু-একটা নীল
নীল মানে রিংটোন ময়ূরনাচ ইঃ
বুড়ো বটে কচি পাতা চাটে রোদ
শুশ্রীর দ্রাঘিমায় কী যে সুখ ঙ
পাতকুয়োয় এক ছিলিম আকাশ
ছলাৎ জলে কোমর পেন্ডুলাম লে
আমলকী
বনের সুখে হারিয়ে গেছি মনে
খুঁজে চলেছি দিন তারিখ সাল
কোমর পর্যন্ত মাটির নীচে আঃ
ডালপালায় চার প্রহরের কীর্তন
আধার কার্ডে কী নাম দেবে শ্রী
কী নাম কী নাম– আমলকী!
খশখশে বাকল ঢাকা শরীর ছি
ঝিরি ঝিরি পাতা আদরের ইস
জন্মসূত্রে স্থাণু আস্বাদ বাউন্ডুলে
ফুলের সুখে সর মেখেছে চাঁদ
সাইকেল
সাইকেলটা শিখতে হয় কঞ্চি যখন তিড়িং
বাঁ হাত হ্যান্ডেলে ডান বগলের নীচে ঞ
সাইকেল ক্যাপিটাল পিকিং নীল জিন্সে মাও
নীলজামা আর বাইসাইকেল জনগণমন হে
বাঁ কাঁধ ডান কাঁধে গামছা নিয়ে ঝুঁকে প
কথা শুনে কাত হনুমান চল্লিশায় পরণাম
পাহাড় ডিঙিয়ে চলল রোম নাকি ইস্তাম্বুল
ইয়াংকি হাটুরের দেশ বাবুয়ার ডাকে থ
ক্রিং ক্রিং সাইকেল বন বন গন গন চাকা
বেচা কেনার সোরগোল হে ময়দান ফাঁকা
বিছানার অসুখ
চোখে ঘুম নেই বিছানার অসুখ
দিনে ক-টা পিল?
ষোল চাকার ট্রাক
বর্ডার বন্ধ রাস্তায় নিলডাউন হাঃ
ড্রাইভারের ধৈর্য কিলোমিটারে মাপ
ছায়ার পায়চারি পশ্চিম ঘুরে পূবে
জোনাকির জ্যামেতিক নকশা ইস
শামুকের পিঠে সূর্য এবং উদয় থৈ
চল ঘুমোই সবুজ বাঁশির মাঠে রা
স্বপ্ন ও দুঃস্বপ্নের জলতরঙ্গে হরিণ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন