গ্রন্থালোচনা: সুজিত কুসুম পাল



কাব্যগ্রন্থ: ডিয়ারলি 
মার্গারেট অ্যাটউড 
প্রকাশকাল: ১০ নভেম্বর ২০২০ 
(ক্যানাডা, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুগপৎ প্রকাশিত)
প্রকাশক: ম্যাকলেল্যান্ড অ্যান্ড স্টিওয়ার্ট
প্রচ্ছদ: কেইট ম্যাকগয়ার
মুল্য: ৩২.৯৫ ডলার 


মার্গারেট অ্যাটউড 




কবিতার শরীরের নাম ‘লাশ’


বেশির ভাগ কবিতাই দেরিতে পৌঁছে-ভীষণ দেরিতে। প্রিয়জনের কাছে নাবিকের লেখা চিঠি এইসব কবিতার মতো দেরিতেই পৌঁছে। জাহাজ ডুবে গেলে প্রেরক পৌঁছে যায় ডুবে যাওয়া ঠিকানায়; তরঙ্গের সুরঙ্গ পেরিয়ে নাবিকের লেখা চিঠিটিও পৌঁছে যায় দেরিতে পৌঁছানো কবিতার মতো প্রাপকের দরজায়। ভাসমান জাহাজে বসে লেখা অসমাপ্ত চিঠির অবারিত অন্তর্বাসে, হয়তো, লড়াকু নাবিকের অনিষ্পন্ন যুদ্ধের কথা ছিলো, ছিলো রোদেলা ঠোঁটের না-বলা বার্তায় কামার্ত দিবসের মীমাংসিত বেদনার কথা; সঙ্গমশয্যায় জোছনার রাত্রিযাপন কিংবা একটি সমাপ্ত কবিতার অসমাপ্ত সংলাপের কথা। 
বাষট্টিটি গ্রন্থের লেখক মার্গারেট অ্যাটউড (জন্ম: ১৯৩৯) বিশ্বসাহিত্যের দরবারে ‘কুইন অফ ডিস্টোপিয়া’ নামে খ্যাত হলেও তিনি আবির্ভূত হয়েছিলেন ষাটের দশকে অসাধারণ কাব্যরসের মহিমায় অলংকৃত ‘সার্কেল গেম’ শিরোনামের একটি কাব্যিক পাল্কির সওয়ারি হয়ে। উপরোক্ত কাব্যিক বচনগুলো তিনি উপস্থাপন করেছেন তাঁর ‘লেইট পোয়েম’ কবিতায়। ১০ নভেম্বর ২০২০, ক্যানাডা, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুগপৎ প্রকাশিত তাঁর ‘ডিয়ারলি’ কাব্যগ্রন্থের প্রার্থিত উদ্বোধন হয়েছে এই ‘লেইট পোয়েম’ কবিতা দিয়ে। এবং এই কবিতারই এগারোটি লাইন দিয়ে তিনি পরিপূর্ণ করেছেন গ্রন্থের পশ্চাদ মলাটের পূর্ণ ললাট। পঞ্চান্ন বছরের রাইটিং ক্যারিয়ারে তিনি একুশটি কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা হলেও, গত তেরো বছরের মধ্যে ‘ডিয়ারলি’ হচ্ছে অ্যাটউডের প্রথম কাব্যগ্রন্থ। দীর্ঘ তেরো বছর পর কাব্যিক ভুবনে প্রত্যাবর্তন করে ‘ডিয়ারলি’ কাব্যগ্রন্থের পাঠকদের তিনি বার্তা পাঠিয়েছেন; তাঁর কাব্যনদী ‘চেতনা’ পর্বত থেকে উৎসারিত শাশ্বত অবিকার্য এক অজর ঝর্ণাধারা। রসবোধ আর পর্যবেক্ষণ কৌশলের কারণে বার্ধক্যে এসেও তিনি ফিরে যাবার ক্ষমতা রাখেন উল্টোস্রোতের যৌবনে। তাঁর কাব্যিক ঘটকালির দৌরাত্যে অতীত ও বর্তমান এখনো সহবাস করে চিত্রকল্প দিয়ে নির্মিত বর্ণশয্যায়। ‘পাসপোর্টস’ কবিতায় ড্রয়ার থেকে পুরনো পাসপোর্ট বের করে তিনি নির্বিকার চিত্তে বলতে পারেন ‘আই ওয়াজ মি’। ঝরাপাতার রঙের ক্রম রূপান্তর আর দৈহিক বৈকল্য দেখে তাঁর মনে হয়, মোমের আগুনে পোড়ানো খণ্ডিত কাগজটিও সেদিন দুমড়ে মুচড়ে উঠেছিলো অগ্নিশিখার আওতায় এসে। ঝরাপাতার বর্তমান আর বর্তমানহীন কাগজের অতীত এভাবেই একাত্ব হয়ে যায় অ্যাটউডের রৈখিক স্বচ্ছতায়। 


প্রচ্ছদ: কেইট ম্যাকগয়ার

... the fallen leaves
turn brown and writhe, like paper
held to candle. 
[Aflame]
পাঁচ খণ্ডের এই দুর্দান্ত কাব্যিক সম্ভারটি তিনি সাজিয়েছেন জীবন ও জগতের নানান কীর্তন-কথনে পরিপূর্ণ একশ’ একুশটি কবিতা দিয়ে। যাপিত জীবনের বিবিধ আখ্যান স্বেচ্ছায় কারাবরণ করেছে অসাধারণ অ্যাটউডীয় শব্দজালে। জীবন, মৃত্যু, বার্ধক্য, ব্যাধি, প্রিয়তার বিচ্ছেদ, জলবায়ুর পরিবর্তনে আবর্তিত বিরূপতায় আমাদের বিপন্ন অস্তিত্ব উজানমুখি তরঙ্গ হয়ে সারাক্ষণ ছুটে বেড়িয়েছে বর্ষীয়ান কবির বর্ণস্রোতে। যাঁর কাব্যিক আশ্রম হয়ে উঠেছে দূষণ ও ধর্ষণের শিকার নারী ও প্রকৃতির নিরাপদ আশ্রয়। তিনি গ্রন্থটি উৎসর্গ করেছেন তাঁর একমাত্র কন্যার জনক ২০১৯ সালে প্রয়াত সাহিত্যিক গ্রেম গিবসন(১৯৩৪-২০১৯)কে। গিবসনকে নিয়ে লেখা যে ক’টি কবিতা তিনি এই গ্রন্থে সংযুক্ত করেছেন, তার সবই রচিত হয়েছে প্রিয়তম এই প্রাণের প্রয়াণপূর্বকালে; এই এক অসাধারণ বিস্ময়! কিন্তু পাঠকালে, একবারের জন্যেও ব্যক্তিগত কোনো শোকের ছায়ার সন্ধান মিলেনি তাঁর এই কাব্যগ্রন্থে। বরং দিনশেষে পাঠক শোকার্ত হয়েছেন মানবসৃষ্ট দূষণের শিকার প্রকৃতির মুমূর্ষুতায়। ‘ইনভিজিবল ম্যান’ কবিতায় তিনি অতীতের বৃত্তকে খুঁজে নিয়েছেন বর্তমানের একটি বিন্দুর মধ্যে, অংকন করেছেন ‘the shape of an absence’। কবিতার শব্দগুলি মিছিল নিয়ে বেরিয়ে পড়েছে আপনজনের সন্ধানে, এবং তাঁর থাকা নিশ্চিত করেছেন তাঁর না-থাকার মধ্যে –
You will be here but not here,
a muscle memory, like hanging a hat
on a hook that’s not there any longer.
[Invisible Man]
গ্রায়েম গিবসন, যিনি ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন মাত্র বছর খানেক আগে, প্রত্যাবর্তন করেছেন ‘গোস্ট ক্যাট’ কবিতায়, যেখানে পাঠক প্রত্যক্ষ করেন বিড়ালও স্মৃতিবৈকল্য়ের শিকার হয়। পাঠকের হৃদয় বেদনার্ত হয়, যখন বদ্ধ শয়নকক্ষের বাইরে দরজার সাথে সেটে দাঁড়িয়ে প্রয়াত অতিথি বিড়ালটি আত্মপরিচয়ের সন্ধানে মনিবের কাছে আকুতি জানায়, ‘Let me in, / enclose me, tell me who I was.’ তাঁর মাকে নিয়ে লেখা ‘ব্লিজার্ড’ কবিতায় আমরা দেখেছি মৃত্যুর জীবন্ত স্পর্শে উঁচু পাহাড়ের পাথরও কুঁচকে যায়। এই মৃত্যুর আখড়া খুঁজে পেতে হলে শ্বেতনদীর স্রোতে ভেসে যেতে হয় কিংবা বরফের সীমানা পেরিয়ে এগিয়ে যেতে হয়, যেতে হয় আরও পথ পেরিয়ে আরও গভীরে – ‘It’s time for her to go deeper, / into the blizzard ahead of her’। মেক্সিকোর সান মিগুয়েল শহরে ফ্রিডা জাদুঘর পরিদর্শন করে শিল্পী ফ্রিডা কাহ্লোর জন্যে শোক প্রকাশ করতে গিয়ে অ্যাটউড সমগ্র পাঠককুলকেই শোকার্ত করে তুলেছেন। জাদুঘরে রক্ষিত শিল্পীর চিতাভষ্মে পুনর্বার তিনি ফুলকি জাগিয়েছেন, চেতনার ধুম্রজালে অতি যত্নে সৃষ্টি করেছেন পোড়া গন্ধের আবহ; লেলিহানযজ্ঞের কবল থেকে ঘুমন্ত হৃৎপিণ্ডটিকে বের করে তুলে ধরেছেন জাগ্রত পাঠকের সামনে।
... a heart in flames, 
We breathe you in, thin smoke,                                                              
grief in the form of ashes.
[Frida Kahlo, San Mriguel, Ash Wednesday]
কাব্যগ্রন্থের নাম ‘ডিয়ারলি’ (Dearly) হলেও, কিংবা গিবসনকে ‘ডিয়ারলি’ ভালোবাসলেও তাঁর  মনে হয়েছে ‘ডিয়ারলি’ শব্দটিকে আজকাল আর খুঁজে পাওয়া যায় না। এটি যেনো একটি ভুলে যাওয়া অপ্রচলিত শব্দ। ‘ডিয়ারলি’ শব্দটিকে মিস করার জন্যে অ্যাটউড খুব ‘ডিয়ারলি’  দুঃখ (Sorrow) প্রকাশ করেছেন। পরক্ষণেই তাঁর মনে হয়েছে, এই ‘দুঃখ’ শব্দটিকেও আজকাল খুব মিসিং মনে হয়ঃ
Dearly …
fading now, I miss you.
… 
I miss you all dearly.
Dearly do I sorrow for you.

Sorrow: that’s another word 
you don’t hear much anymore. 
I sorrow dearly.
[Dearly]
সত্যের উদ্ভাসনকে উন্মোচিত করার লক্ষ্যে ব্যঙ্গাত্মক ব্যঞ্জনা তৈরিতে অ্যাটউড বরাবরই অপরাজেয়, প্রদ্বিতীয়। ‘প্রিন্সেস ক্লদিং’ কবিতার সপ্তম পর্বে পৌঁছার আগ পর্যন্ত রেশমপোকার দাফনের বিষয়টিও যে কাব্যিক ভাবনার অংশ হয়ে উঠতে পারে, পাঠক কোনোদিন ভাবতেই পারেননি। প্রজাপতি হয়ে উড়ে বেড়াবার স্বপ্ন থাকে প্রতিটি রেশমপোকার। স্বপ্ন পূরণের পথে ককুন স্তরে পৌঁছার পর পরই স্বপ্নবাজ পোকাটিকে গরম জলে সেদ্ধ করে স্তব্ধ করে দেয়া হয় তার কৌশেয় জীবনচক্র। অ্যাটউড আবেদন জানিয়েছেন, জীবদ্দশায় যাঁরা সিল্ক বস্ত্র পরিধান করেন তাঁদেরকে যেনো সেই সিল্কের পোশাকেই কফিনে বিদায় জানানো হয়; তাতে প্রয়াত ব্যক্তির সাথে গরম জলে সেদ্ধ কৌশিক প্রাণিটিরও দাফনপর্ব সম্পন্ন হবে। ব্যঙ্গাত্মক কথনে বেদনার এমন ব্যঞ্জনার উপস্থাপনা অ্যাটউডের পক্ষেই সম্ভব। 

Silk, however, 
is best for shrouds 
That’s where it comes from, … 
 … hoping they will be butterflies. 
Then they get boiled, and then unscrolled. 
[Princess Clothing]

ক্যানাডিয়ান প্রকাশক ম্যাকলেল্যান্ড অ্যান্ড স্টিওয়ার্ট কর্তৃক প্রকাশিত একশো চব্বিশ পৃষ্ঠার এই কাব্যগ্রন্থটির প্রচ্ছদ করেছেন ব্রিটিশ ভাস্কর্য কেইট ম্যাকগয়ার (জন্ম-১৯৬৪)। এই প্রচ্ছদে পাখির পালক হয়ে উঠেছে কাব্যিক ক্যানভাস। শিল্পী কেইটের প্রচ্ছদে হাল্কা ধূসর আর বাদামী টোনের স্পর্শে পরিপূর্ণ দুর্দান্ত এক ঘূর্ণায়মান নীলরঙা পাখির পালক একাকার হয়ে গেছে কবির বিষয়ভাবনার পরিধি জুড়ে, যেখানে আকাশের চাঁদ আর পাখি বারে বারে বিভিন্ন কবিতায় প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে জীবন ও পরিবেশের অসহায়ত্বের চিত্রকল্পনায়। রাগের মাথায় তিনি অনুরাগের সলতে পাকিয়েছেন কল্পজজ্ঞের পৌরোহিত্যকালে। কখনো শোকের আড়ালে প্রজ্ঞার প্রদীপ জ্বালিয়েছেন। অসাধারণ পর্যবেক্ষণ-ক্ষমতার বৈদগ্ধ আর সার্বক্ষণিক রসবোধের ঝলকে দীপ্তিময় হয়ে উঠেছে তাঁর সমগ্র কাব্যসম্ভার। নারী নিষ্পেষণ ও পরিবেশ দূষণের ভয়াবহতার নানান রূপকল্পে ঠাসা কবির ভাবনার জগত। ‘সংস ফর মার্ডার্ড সিস্টার্স’ কবিতায় কবি তাঁর নিহত বোনের অস্তিত্ব খুঁজে পান চেয়ারের শূন্যতায়, কখনো বা জাদুকরের পাথুরে অখণ্ডতায়।

Or locked her in a tower
Or hidden her deep inside a golden flower
I would have to travel 
West of the moon, east of the sun
To find the answer;
[Songs For Murdered Sisters]

তাঁর মহান কাব্যমঞ্চের উচ্চারণে যন্ত্রণা ও সহিংসতার চৌহদ্দির মধ্য়ে নিবন্ধিত জীবনও বন্দিত হয় প্রমিত প্রমায়, স্পন্দিত হয় নিতান্ত নিখরচায়। ‘ইফ দেয়ার অয়ার নো এম্পটিনেস’ কবিতায় জীবনের পূর্ণতার প্রয়োজনে শূন্যতার অনিবার্যতাকে তুলে ধরার জন্যে তিনি নির্মাণ করেছেন কণিকা পদার্থবিজ্ঞানের রূপকল্প, যেখানে তিনি ইলেকট্রন-প্রোটনের মধ্যকার শূন্যতাকে অনিবার্য করে তুলেছেন প্রানজ পরিপূর্ণতার প্রয়োজনে।  
ভাবনার আবাদভূমিতে অতীতকে বপন করে বর্তমানকে পরাগিত করার কাজে অ্যাটউডের নিজস্ব একটি প্রক্রিয়া আছে। এই প্রক্রিয়ার পরিপূর্ণতাশেষে পাঠককে ঋদ্ধ করার সাধনযজ্ঞে তাঁর নান্দনিক সফলতায় ঈর্ষান্বিত হতেই হয়। আইরিশ কবি ইয়েটসের ‘হাউন্ড ভয়েস’ কবিতার প্রথম লাইন দিয়ে শুরু করা ‘ডিয়ারলি’ কাব্যগ্রন্থের ‘ইম্প্রভাইজেশন অন অ্যা ফার্স্ট লাইন বাই ইয়েটস’ কবিতায় তুষাররাজ্যের অ্যাটউড সন্তর্পণে অতিক্রম করেছেন টুকরো আকাশের নীচে দাঁড়িয়ে থাকা নিরাভরণ গিরি, বাক্রুদ্ধ তরুলতা, উত্তরার্ধের শিলাময় তটরেখা, সীমান্তের জলাভুমি আর অরণ্যের অদূরে নুইয়ে পড়া বৃক্ষহীন প্রান্তর। যে শিকার-বিলাসী সামাজিক নেকড়ের শৃঙ্গার ধ্বনি শুনতে পেয়েছিলেন আইরিশ কাব্য-কারিগর ইয়েটস, সেই ইয়েটসের কাব্যিক সরণি থেকেই অ্যাটউড আহরণ করেছেন আবেশজ প্রাণের খুইয়ে যাওয়া আবাস; সমীরণসঙ্গীতের তরঙ্গ থেকে খুঁজে নিয়েছেন নির্ঘুম আত্মার নিঝুম নির্যাস। 

Everything once had a soul, 
even this clam, this pebble.
Each had a secret name.
Everything listened.
… 
All we hear in the wind’s plainsong 
is the wind.
[ Improvisation On A First Line By Yeats]

বিশ্বসাহিত্যের বর্তমান অভিভাবক তথা ‘হ্যান্ডমেইড’স টেইল’(১৯৮৫)-এর মতো একটি মডার্ন ক্ল্যাসিক উপন্যাসের স্রষ্টার কল্পজগত থেকে বেরিয়ে আসা ‘ডিয়ারলি’ কাব্যগ্রন্থের ব্যবচ্ছেদ আজকের এই স্বল্প পরিসরের থিয়েটারে সম্ভব নয়। ‘লেইট পোয়েম’, ‘কোকোনাট’, ‘সেপ্টেম্বর মাশরুম’, ‘স্পাইডার সিগ্নেচার’, ‘অ্যাট দ্য ট্র্যান্সলেশন কনফারেন্স’, ‘ফেদার’, ‘হার্ট অফ দ্য আর্কটিক’, ‘ট্র্যাকিং দ্য রেইন’ প্রমুখ কবিতা নিয়ে বিশেষ আলোচনা থাকছে ‘অ্যাটউড দ্য ক্যানলিট প্রফেট’ শীর্ষক আমার প্রকাশিতব্য গবেষণা গ্রন্থে। এই আলোচনায় থাকছে ‘জম্বিস’ নামের কবিতাটিও, যেখানে হৃদয়ের গলিতে কবিতা আসে অগলিত অতীতের মতো, সংক্রমিত হয় ভাইরাসের রাজ্যবিস্তারের মতো। যেতে যেতে কবিতা কাঁধে রাখে হাত; সবশেষে একদিন, শরীরের মালিকানায় কবিতার দৃষ্টিপাত। ‘ডিজএন্চ্যানটেড কর্পস’ কবিতায় পাঠক অবলোকন করেন, মালিকানা ছেড়ে চলে গেলে কবিতার সেই শরীরের নাম হয় ‘লাশ’, ফ্যাকাশে অগ্নিশিখায় কঙ্কাল হারায় তার হৃদয়ের উচ্ছ্বাস। 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন