নিমাই জানার কবিতা





ফ্যালসিফেরাম অথবা পুরাণ পাঠ

জিভের ও আজকাল ফ্যালসিফেরাম জ্বরের উপসর্গ আছে ঠোঁট থেকে তার কুমারী রঙের কালাজ্বরের উদ্বায়ী গ্রন্থিটি বেরিয়ে এসে কখন আমাকে তরল সায়ানাইড খাইয়ে গেল ত্রিভুজের ত্রিকোণ জুড়ে আমার এক কাঁচ রঙের শিরাপথ আলতা মাখতে মাখতে ট্যানজেন্টের ৯০ ডিগ্রির মান নিয়ে খুব চিন্তিত
আজকাল মধ্যপ্রহরের পর ৬২ অক্ষাংশের ও গর্ভপাত ঘটে
আমার দেওয়ালে থাকা মায়ের সাথে ছুমন্তর খেলে বেড়ায় ডিম ভর্তি সাদা তলপেটের টিকটিকি
মধ্যবিন্দু বেরিয়ে এসেও আমাকে কতোবার হত্যা করতে পারে একথা জেনে ছিল একমাত্র আমার কোমরে থাকা ডায়ালাইসিসের লিউকোপ্লাস্ট
আমি ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে বসে থাকা মোহগ্রস্ত পুরুষের শিরদাঁড়ায় শুক্ল ও কৃষ্ণ রাশিমালার দুটো জংঘা রেখে আসি ঋষি ক্রমশ মনু সংক্রান্তঃ পুরাণ পাঠ শেষে উঠে আসছেন বিদীর্ণ বক্ষস্থল থেকে ক্ষত্রিয় পুরুষদের প্রসব করলেন





অনিদ্রাজনিত উপসর্গ ও লিটমাস

সব মৃত মানুষের মাথায় সাপের খোলসের মতো চিরতা গাছের গেরুয়া মাটি প্রজন্ম কথা শোনায় আমাকে
কিছু ল্যাকেসিসের মতো বর্ণহীন লিটমাস মিশিয়ে মেধা পুত্রদের রেখে আসি জরায়ুজ অংকুর মৃত পাখিদের পিঠে কতোবার গজিয়ে ওঠে যোজ্যতাময় কুমারী কাম রিপু
শুক্র গ্রহের মতো পিঠের দিকে ভাঁজ করা মানুষেরা ঘন ঘন বমির উদ্রেক করে
একটি পুরুষ মানুষ মৃত্যুর আগে দুইবার বমি করে ফেলে একবার সব অন্তঃস্থ পরিপাকতন্ত্রের অবৈধ কথা , অন্যটি বৈধ যৌনসঙ্গম কালের শীঘ্রপতন জনিত অক্ষরের জন্য
কোন অনিদ্রাজনিত উপসর্গ রাতটিকে পর্ণমোচী উদ্ভিদের মতো দীর্ঘ মনে হয়
এমন রক্তজাত জ্যামিতিক চিত্রটি বারবার ফেলে গেছি এমন সাইকোটিক প্রেজেন্ট কন্টিনিউয়াস টেন্সে
আমার দুই হাতে তরল আপেল বৃক্ষ ও বিদীর্ণ কপালের ক্ষত
ঘন বরষায় ল্যাকেসিস খায়




লাইকোপোডিয়াম ও অচৈতন্য মানুষ

জিভের উপর রাখা লাইকোপোডিয়াম কাঁটাতার থেকে কিছু সর্পগন্ধার চারাগাছ উপড়ে নিলাম
কুয়াশাময় চোখে দেখলাম আমার পিঠে থাকা জরায়ু, তা থেকে বেরিয়ে আসা মুথা ঘাসের কান্না পাচ্ছে
আমি এক গভীর নৈনিতাল প্রদেশ থেকে বের করে আনছি এক কাশ্মীরা নারীকে , চোখে আপেল ফলের মতো ভেজা ডেলিশিয়াস রমন আর পাথুরে উপত্যকার মতো পিচ্ছিল সহবাস , লিভোসেটিরিজিন
কেউ আমাকে এমন অচৈতন্য মানুষের প্রার্থনা শুনিয়ে হিমঘরে রাখেনি আজকাল
আমার জিভে থাকা পাথুরে নৌকার ন্যায় এক তৃতীয় লিঙ্গের মানুষটি ঠিক বৃত্ত উপত্যকার দিকে চলে যাচ্ছে
এমন গ্রহণকালে প্রার্থনা করার আগে উদ্ভিদের জনন সম্পন্ন উচিত ,তাই
আমি সকল নারীদের দেহে যৌগিক রাশিচক্রের মৃত্যু নামক নৌকাটি রোপন করেছি
ম্যান্ডিবুলার মৃত্যু , এক গণিত  , মৃত্যু , নারীর যৌনক্রীড়া অবকল ক্রমশ উৎপাদক হয়ে নামছে কংক্রিট বারান্দা থেকে




গৌরিচৌরি অথবা কপিলাবস্তু

দেবতার মুর্তি উল্টানো থাকলে তাদের শিরদাঁড়ায় হলুদ অথচ মেধাবী গৌরিচৌরি ফুলের ব্লকেজ দেখা দিতে পারে জল ভর্তি পারদ মেশানো রাস্তা দিয়ে কতজন গভীর রাতে হেঁটে গেছে সাদা ধুতি পরে,  ভুলক্রমে দেখে ফেলেছি আমার জন্মদাতার আয়ুক্ষয় , প্রেম নাথ
বিপ্রচিত্তি ,পিয়ানো বাজানোর পর ক্রমশ নেমে যেতে থাকে আমার ঝুল মাখানো কালো পাহাড়ের দিকে
এখানেও গতজন্মের ভাত ফুটে ছিল , সোনালী রংয়ের দানাশস্য , উদরপূর্তি মেঠো রমন
আমি ক্রমশ একটি ঈশ্বর , দুটো রাক্ষস , তিনটি ধনাত্মক রাশির নাম বলে নেমে যাই কোন তরল রাশির শতকিয়া পাঠের দিকে , মহা বেদ মন্ত্র ও মনুসংহিতা
ঈশ্বর নতজানু হয়ে বুকে থাকা ঘাম শুষে নেয় গাঢ় আলপথ থেকে সন্তোষ , লাভ করো সব পিতৃ স্বাদ
মৃদু মৃদু পুরুষেরা হিমাঙ্ক ছুঁয়ে ছুঁয়ে নিজেদের কপিলাবস্তুর মাঠে চলে যায়





সাবকিউটেনাস ও সঙ্গমস্থল

এই মেঠো পথে কাঙ্গাল চাঁদ আবারো একবার বিপ্রতীপ ,
কিছু ডাইনামিক প্রেডনিসোলন রাখি সাবকিউটেনিয়াসের  উপর , জ্বলজ্বলে চোখ সরীসৃপেরা কামড় দিলেই উন্মত্ত গঙ্গোদক লাভ হয় , আদিম ধ্যানে
দধীচি ফেলে যায় তরল লিঙ্গকোষ অথবা ব্যাসার্ধ গান্ধীব, স্বয়ম্বর সভায় অলৌকিক রাশিচক্র থেকে কেকাধ্বনি পাথার ভাঙ্গে এমন সঙ্গমস্থলের পরম
দ্রৌপদী জানে পতি পুরুষের গায়ে কোন লোমছিদ্রের লবণাক্ত ঘনত্ব থাকে না
মহাজ্ঞানী এই তরল পাথারে মোচন করে শবদেহের বাকল অর্জুন ফেলে আসে সব তৃষ্ণার্ত শুক্রাশয় ,জটিল জনন তন্ত্র ভেঙে বেরিয়ে আসে কচ্ছপ ও বিশল্যকরণী
এমন অবৈধ জননীর পাশে রাশি রাশি  তীর্যক তরঙ্গ শাড়ি পরে দাঁড়িয়ে অদ্ভুত পিরামিডের গণিত করে
আমি আর নেফারতিতি প্রতিটি মৃত মানুষের অস্থিসন্ধিতে রজনীগন্ধার চারাগাছ লাগাই পর্যায় বৃত্ত শীতকালে 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন