বাদল ধারা-র কবিতা
অন্তর্বৃত্ত...
~
একটি বৃত্ত আঁকো ~ কেন্দ্রে, একটি অশ্বত্থ গাছ লাগাও
পাতাগুলো ঝমঝম বেজে ওঠলে, দেখবে,
একঝাঁক রাতের পাখি, নিস্তব্ধতা ফেড়ে ~ উড়ে যাচ্ছে
কোথাও কোথাও ~ স্বতঃস্ফূর্ত ~ বয়ে যাচ্ছে বিষণ্নতার সুর
একটি ত্রিভুজ আঁকো ~ বিষম
যেকোনো একটি বিন্দুতে ~ আমাকে বসাও,
আর একটি বিন্দুতে তুমি ~ যে বিন্দুতে আমরা
পৌঁছাতে চাচ্ছি ~ তা ফাঁকা থাক, শূন্য,
~
সময়গ্রন্থির চোরাজাল ...
~
আকাশ সীমানা পার হয়ে ~ একটি ফুসফুস ~ উড়ে আসছে
আর একটি ~ ফুসফুসের কাছে
বৃত্ত আঁকার পর ~ পেন্সিল কম্পাস ~ শুয়ে পড়ে ~ আঁধিয়ার বাক্সে
পূর্ণিমার চাঁদ ~ আবরণ খুলে ~ ধীরে ধীরে জ্বালা ধরায় ~ চোখে
সামুদ্রিক বড়শিতে ~ উঠে আসে ভোর
রৌদ্রের ~ চিৎকারে ~ ভেঙ্গে যায় ~ ঘুম
অনন্ত ঘুম ও জাগরণের মাঝে ~ একটি লিফট ~ নির্মাণ করতে পারলে
সময়টাকে ~ ছিঁড়ে ফেলা যেতো
ত্রিমাত্রিক সম্পর্কের মাঝে ~ একটি মধ্যমা ~ টানতেই
সম্পর্কগুলো ~ প্রজাপতি হয়ে ~ উবে যাচ্ছে
অনন্ত ~ অনন্তকালের ভেতর দিয়ে ~ ছুটে যাচ্ছে ~ আমার বিষণ্ন স্পেইসশিপ
~
তিনটি সুতীক্ষ্ণ আইসোবার তীর...
~
একটি নিঝুম ~ এলিমেন্টস থেকে ~ প্রতি রাতে ~ পঞ্চম স্বীকার্য ~ ডানা মেলে
নীল লিবিডো বুদ্ বুদ্ ~ বের হয়ে আসে ~ রাত্রির গহ্বর থেকে
স্ট্রিং এ অগ্নিনৃত্য ~ কামশাস্ত্রে ~ উঁইপোকার চোরারাস্তা
তিনটি সুতীক্ষ্ণ ~ আইসোবার তীর ~ আমাকেই ~ ভালোবাসে
স্বপ্নের চোখে ~ আমি বসিয়ে দিয়েছি ~ লাল সমুদ্র ~ কপালে ~ নীল আকাশ
দশটি মসৃণ নখর ~ জ্যোৎস্নার মতো জ্বলজ্বল করে
তীব্র হিম ~ হিম ~ আঁচর কেটে যায়
খনিজ বেদনা ~ কী কারণে ~ কী কারণে ~ জেগে উঠতে চায়
~
স্থানচ্যুত...
~
নিষিক্ত আঁধারে ~ বিদ্যুৎ শিকড় ~ অস্থির বিন্দুর মতো
উত্তুঙ্গ কামনার ~ আগুন রাঙা ~ বৃষ্টি
সমস্ত নক্ষত্রমণ্ডল ~ প্রেমিকার গুপ্ত তিলের মতো ~ লাজুক হয়ে ওঠে
ক্রমাগত দূরত্ব ~ বেড়ে যায় ~ অদৃশ্য
তবু তার শিহরণ ~ নিবিড়তা ~ নিবিড় মহাকর্ষের মতো ~ গুপ্ত
সুপ্ত প্রেষণায় ~ যুক্ত হয় ~ আরো কিছু ~ অতিরিক্ত ~ রঙ
বিষদাঁতের দাগ ~ আমার অধর আঁধারে ~ বিষণ্ণ গ্রহের মতো ~ নীল হয়ে ওঠে
পোড়া ইতিহাস ~ পিঠ তুলে ~ দাঁড়াতে চায় ~ সবুজ সমাহারে ~ নক্ষত্রের দঙ্গলে
ধ্বসে যাওয়া পার ~ পালক ~ স্মৃতি ~ বিস্ফোরক হয়ে ওঠে
স্থানচ্যুত ~ হতে হতে ~ দৃশ্যের উল্টোপিঠ ~ উন্মাদনার ঢেউ তুলে
কেঁপে উঠে ~ অনন্তের পিরামিড ~ অনন্ত অনন্তে
~
কার্বনরেণু...
~
আমার সমস্ত, প্রেম ~ কার্বনডাইঅক্সাইড ~ হয়ে
উড়ে যাচ্ছে ~ অনন্তের দিকে
সমস্ত ব্ল্যাকহোলের নেশা ~ নেশা নেশা ঘুম ~ জমে উঠছে চোখে
আমার প্রতিটি কোষ থেকে প্রতিনিয়ত ~ উড়ে যাচ্ছে হিগস্
নিউরনের সিন্যাপাসের কার্নিশ ধরে ~ বইয়ে যাচ্ছে
অন্য এক ~ অন্য এক, উন্মাদনা
একটি সোনালী কম্পাসের ~ নীল তীর
ভুল তেজস্ক্রিয়ায়, পুড়ে পুড়ে ~ আমাকেই আবিস্কার করে
আমি পুড়ে আছি ~ কার্বন ~ কার্বন রেণু হয়ে আছি
অসীম, অমীমাংসিত, কলংকের দাগ ~ দাগ হয়ে আছি
বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের হৃৎপিণ্ডে ~ তোমাতে ~ প্রেমে
মাধ্যাকর্ষণ কাটানো প্রেম ও তার উপগ্ৰহসুলভ ভ্রমণ। বাদলধারার লেখায় আবেগ প্রজাপতির মতো বসে না। মথের মতো বসে ডানার রঙ দেখিয়ে।
উত্তরমুছুনঅফুরন্ত ভালোবাসা দিদি,❤️
মুছুনঅনুপ্রাণিত হলাম, 🌼
শরীর ব্যক্তি নক্ষত্র নির্যাস নিজেকে কেন্দ্র ক'রে ভ্রমণরত এক মহাবিস্তারের জ্যামিতিক মডেল। তার প্রতিটি শব্দচয়নে শ্রম ও অনন্তদৃষ্টি আমাকে ঘুরিয়ে আনে। ভালোবাসা বন্ধু।
উত্তরমুছুনঅফুরন্ত ভালোবাসা বন্ধু, ♥️
মুছুনও নিরন্তর শুভ কামনা, 🌺
বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গী এবং মানবিক এক উন্মাদনা-♥️
উত্তরমুছুনআন্তরিক ধন্যবাদ ও
মুছুননিরন্তর শুভ কামনা, ❤️
আমি দেখছি কবিতায় ক্রীড়াপদের সফল ব্যবহার।জীবননান্দে দেখেছিলাম শব্দের কি তীব্র আবেগে আশ্লেষে কবিতায় প্রাণ জেগে ওঠে! বাদল ধারার কবিতায় সে চেষ্টাটা দেখতে পেলাম।ভাল লাগলো!শব্দে যদি সংবেদনের দোল না থাকে, বেগ না থাকে তাহলে আর কবিতা কি, মৃত শব্দের ভাগাড়!! শুভেচ্ছা, ভাল থাকবেন!!!
উত্তরমুছুনআন্তরিক ধন্যবাদ ও
মুছুনঅফুরন্ত ভালোবাসা,♥️
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন