সৌরভ বর্ধন-এর কবিতা



ভরা হদের তলদেশ 


এখন নগ্ন হবে
নিজেদের আঁখিছল ছলছল নয়ন করো প্লিজ!

পিতৃস্পৃহার চেয়ে ছোটো অতি ছোটো প্লিহা 
এবং অন্ত্রের অন্তরে বাসা বাঁধিয়াছে কৃমি
তাকে স্বপ্নের আহার দাও, বশংবদ জননী হয়েছ যেমন
ক্ষেত্রজ প্রেমিকার বলে আঁশটে বীর্য ঘেঁটে 
আয়নায় মাখিয়ে দিয়েছি তারামণ্ডল ------
পিণ্ডের সরবে তুলেছি রড়, বিসূচিকা
অথচ মনেটনে কিছু রাখেনি সে
রেখেছে শিলনোড়া হাঁয়ের কোটরে

আমিও তার বসবাসী কাচের কন্ঠে চর্মে লোমে 
ঘোলাটে পথ ছেড়ে, হে পিতা
আমাকে তুমি কোন শ্রমে রুষিতেছো
বলো, নিজের আকুল ও বিগত শব্দাবলি ঘেঁটে
কোন ক্রীড়নক পুতুল সকল প্রখরে আলোকে
হাতের খাড়ু খুলে, সিদ্ধ করে লণ্ড ভণ্ড করেছে সমর

তাকে ভরাট জেনের ব্যথা দাও
দাও ছেঁড়া জলের ভেজাল সিক্ত -----
সুনিবিড় শ্লেষের কাছে সে স্থবির হয়ে হয়েছে ঝরনা
হয়েছে এক অগ্র মৌলের দেবাদিদেব। 


২.

সকালের প্রতি প্রান্তর সর্গ করা প্রভু আমি
আমার স্বামিত্বে ভীত হও বিষ -----
এই কদলীখণ্ড ধরো বিবরের গ্রিপে
তুমি গর্ববতী দায় এক, অসংখ্য ঋতুভার তোমার পেছনে
ডেসপারেট সোমরসের ঘড়া নিয়ে ছুটছে
তাদের মঞ্জরিত উষ্মা দাও, দাও পূর্ণতাপ্রাপ্ত কোষের ঘ্রাণ
যাতে তোমাকে দেখে মনে হয় একটি বিশৃঙ্খল তেজ
মনে হয় তোমার দেহে অজস্র দাগ 
যেন ধাপ্পার সাহচর্যে বেড়ে উঠছে
আর জিওল হয়ে নেমে যাচ্ছে শরীর, একান্তে ----

সুতরাং প্রিয়তম
রঙিন চুরির ছুতোয় জেগে ওঠো এবার
একদিন এই সিদ্ধির লভ্যাংশ পাবে তুমিও
অথবা চিরন্তন হাই তুলে নামো, সাবধানে
ধরে রাখো শক্ত করে বয়স্ক মেলানিনের আসন
অথবা তিনশত পঞ্চাশ কোটি আলোকবর্ষ দূরে 
আমাদের স্বীয় ডোলড্রামস্ বানিয়ে ফেলেছে মানুষ

সেখানেই প্রবাল কাগজে, সেরাদের কাতারে কাতারে 
নেমে আসে বিলাসবহুল ম্যাপলের দুটি ডানা -----
শুধু বক হতে একটি বক আরও একটি বকের 
চারপাশে হেঁটে চলে ------ ধবল সাদার মতো নিঃশব্দ সে

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন