শিমুল মাহমুদের কবিতা




১.
মুগ্ধ হইলে রাক্ষসকেও নায়ক হিসাবে পাইতে ইচ্ছা করে


পাখিটা মানুষটারে খুটায়া খুটায়া দেখবার লাগছে। মানুষটার পাখনাপুখনা কিচ্ছু নাই মানুষটা কি ভয় পাইতেছে? আহারে হারামজাদা মানুষটা উড়বার পারতেছে না, বেহুদা ফাল পারতেছে । মানুষ, তুমি আমার নায়ক হইবা, আমার লগে উইড়া যাইবা? আয়হায় এইগুলা কী হইবার লাগছে, তুমি রাক্ষস হইবার লাগছ, আমারে ডানা ভাইঙ্গা খায়া ফেলতেছো!



২.
পাওয়ার, যেইভাবে আইনের শাসন জারি হইতেছে


ধান মাপতে মাপতে দাদাজান বিরবিরাইয়া কইতেন, এইসব দাড়িপাল্লা টারিপাল্লা দিয়া মাপামাপিটা ঠিক যুইতের হয় না, মানুষরে কেমনে মাপবা? এইসব পাল্লাপুল্লা দিয়া মানুষ মাপন যায় না। এই রকম বিরবিরাইন্না শুইনা আমি আমার আব্বাজানের বাপের চোক্ষের উপ্রে বিরক্ত হয়া তাকায়া থাকতাম। মাপামাপি শেষ হইলে কইতাম, যতসব ফালতু কথা, তাকায় দেখো, দেখবার পাইতেছ না? এক পাল্লায় আমরা বইসা আছি, আরেক পাল্লায় জজ সাহেব আইনের এক টুকরা ভাঙ্গা অংশ তুইলা দিছেন ওরে আমার খোদা, কী হইতেছে এইগুলান, ওরে আমার আব্বাজানের বাপ, তাকায়া দেখো, আইনের পাল্লা ভাড়ি হইতে হইতে জমিনে গিয়া ঠেকতেছে। এইটারে কয় আইনের শাসন। বালের মানুষ, আইনের চেয়ে এক্কেরে ঠনঠনা। মনে লয় ওজন নাইক্কা।



৩.
মার্কেটিং পলিসি


তরঙ্গকণা থেকে তৈরি হচ্ছে মন। আকাঙ্ক্ষা থেকে চোখ। শিশুদের মায়া দিয়ে ঠোঁট। অতঃপর বিগবাজার, কাস্টমার কেয়ার। মনছবিতে জিসা। ভার্চুয়াল মিউজিক। জিসা জিসা কিউট ক্যাট। এনার্জি থেকে জন্ম নিচ্ছে স্পর্শ। ভার্চুয়াল মাইন্ড। কোকাকোলা থেকে কাছে। গৃহ থেকে দূরে। শব্দ তরঙ্গ কনভার্ট হচ্ছে হৃদপিণ্ডে। কাচা ও সেক্সি মাংসের শরীর নিয়ে ছুটছি বাজারের দিকে। মিউজিক থেকে ছুটে আসছে ভার্চুয়াল সেক্স। তাড়া করছে আলোকতরঙ্গ। টেক কেয়ার, লাইফ ইজ আ স্যাডো অব মার্কেট।



8.
সময়গুলারে লাগাইয়া ফাটায়া ফালাও


কোমড়ে রশি বাইন্ধা ঝুলায়া দেওয়া হইছে আমারে। ঘড়ির কাঁটা হয়া ঘুরতেছি। তরঙ্গকণা থাইকা সময়কে আলাদা কইরা ফালাও। জিহ্বার তলায় সময়কে আটকায়া ফালাও। আগায়া যাও পাখি থাইকা আলাদা হয়া যাও। সময় থাইকা আলগা হয়া যাও। সময়ের মাইয়ারে চুমা খাইতেছিলাম সময়ের মায়েরে জড়ায়া ধরতেছিলাম। সময় বিছানায় যাইবার লাইগা কাঁপতেছিল। ব্রা-পেন্টির দোকানে সময়গুলার ইনার পাওয়া যাইতেছে। ওইগুলাকে বলা হইতেছে সেক্সকালার। সেক্সকালারগুলা আগায়া আসতেছে। আগায়া আসতেছে আর সময়ের পুটকিতে সাঁতার কাটতেছে। সময়গুলারে লাগাইতে চাইতেছি। মাগার, এখন আর স্ট্রং হইতেছে না।

3 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন