মায়িশা তাসনিম ইসলামের কবিতা
ইনফিনিটি সিনড্রোম
১৫
কি যে বেওয়াফা হয়ে থাকে তিনবেলা আহার
আর রক্তের জমজমাট সন্ধ্যা আচরণ কি যে হাস্যকর!
এসব লাফিং গ্যাসে দোষ আর আমার কি, যেখানে কবির ফায়ারপ্লেস হয়েও তুমি মহোত্তাপের বিপক্ষে পেটিশন দাঁড় করাচ্ছো
ভ্রম কি সবটাই? আসলেই? যুগচাষীও যদি খামোশ থাকে তবে মহাদুনিয়ার ব্রীজ মাড়ানোটা আসে না
কি যে মজবুত এ ভেঙে যাওয়া! সেই অতীত হওয়া সদ্য সাবালিকাই নাচে সরস্বতী আন্দাজে
নির্বাণরে নাঙ্গা করে প্রেম, তার শরীরে সাইকেডেলিক রোদের চিরুনি দাগ।।।
১৬
যে মৃতবৎসা বুকে কোনো প্রেমিক সন্তানের শ্বাস টেকেনি
সেই মাতৃগন্ধা প্রেমিকার বুকেই তোমার শান, বেঘরের কসম!
১৭
হাতুড়ি নিয়ে দৌড়াও প্রেমিক, ধাওয়াও!
এসব মজবুত ভেঙে যাওয়া আমি দাঁতের নিচে ভাঙতে ভালোবাসি
২০
মাবুদ, প্রেমিকের যদি স্বাধীনতাতেই রুচি না থাকে
তাইলে অযথা আমারে তার বাসার ছাদে লাগানোর জন্য পতাকা নকশার দায়িত্ব দিয়ো না
২১
জানো কি?
তোমার শ্বাসকষ্ট শুরু হইছে নিভৃত মহামারী হাসপাতালে
আমি অক্সিজেন সিলিন্ডার লুকায় রাখছি
২২
দেখা গেলো তোমার বিমুখ হয়ে থাকার সমাবেশ পেরিয়ে
এযাবৎকালের আরো উন্নত ভাইরাস সর্বপ্রথম আমার নিঃশ্বাসে মুখ রাখলো করুণায়
দেখা গেলো তোমার নিরুত্তর ঠোঁট আর আঙুলের তর্জমা মেখে
এক অজ্ঞাত সিরিয়াল কিলার তিনটা ছুড়ি বসিয়ে নিজেই মুখোশের নিচে ভেঙে গেলো
দেখা গেলো এসব অনশ্বর মৃত্যু প্রতিভার চেয়ে
তোমার উপেক্ষা কোনোকালে তেজস্বী জুয়ারি হতে পারেনি!
২৩
চোখ থেকে নানারকম ঔষুধি বীজ দিয়েছি--
গাছ লাগাও
ফাঁসি নাও।।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন